হোম মেড পণ্যে মাহমুদার সাফল্য

রুশিতা রুপন্তী
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪: ০০

‘দেশ যখন করোনা মহামারিতে ছেয়ে গেছে, ঘরে বসে দিন কাটছে, তখন একজন পরামর্শ দিলেন অনলাইন বিজনেস শুরু করার। সে-ই পেজ খুলে, পেজের লোগো বানিয়ে দেয়। ২০২১-এর জুনে শুরু হয় ট্রিকজি বাজার, সেখান থেকে এখন পর্যন্ত চলছে।’ ট্রিকজি বাজারের উদ্যোক্তা মাহমুদা পারভীন এভাবেই শোনাচ্ছিলেন তার যাত্রা শুরুর গল্প।

বিজ্ঞাপন

ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা মাহমুদা চাকরির পথে না হেঁটে বেছে নিয়েছেন নিজস্ব ব্যবসায়ের পথ।

তিনি বলেন, ‘ট্রিকজি মানে আনন্দ। আমরা যাতে আমাদের প্রোডাক্টের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারি, সেই ভাবনা থেকেই ট্রিকজি বাজারের নামকরণ করা হয়েছে। হোমমেড চানাচুর, বিভিন্ন ধরনের আচার এবং হোমমেড বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায় আমাদের ট্রিকজি বাজারে। এ ছাড়া তার পাশাপাশি হিজাব, হিজাব পিনের মতো আরও কিছু জিনিসও রয়েছে।’

উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনের গল্প জানতে চাইলে মাহমুদা বলেন, “ছোটবেলা থেকেই আমি এমন কিছু করতে চেয়েছি, যা শুধু আমার জন্য নয় বরং অন্যদের জন্যও উপকারে আসে। এর পেছনের মূল ধারণা ছিল, আমি এমন একটি স্থান তৈরি করতে চাই, যেখানে মানুষ পণ্য কেনার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ অনুভব করবে এবং সেই আনন্দ অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করবে। এটি ছিল আমার ‘আনন্দ ভাগাভাগি’ করার একটি ছোট্ট উদ্যোগ। এ ছাড়া মানুষ এত ভেজাল খাবারের ভেতর হাতে তৈরি নির্ভেজাল খাবার খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে আমাদের মাধ্যমে, এতে তারা উপকৃতও হচ্ছেন।”

তিনি আরও বলেন, ‘উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছি আম্মুর কাছ থেকে। আম্মুর কাছ থেকেই টাকা নিয়ে উদ্যোগের যাত্রা শুরু করেছিলাম। এ ছাড়া পরিবারের বাকি সদস্যরাও আমাকে সহযোগিতা করেন।’ কাজ শুরু করার পর কেউ কেউ তাকে কটাক্ষ করে বলতেন, ‘চানাচুর, আচার বিক্রি করার জন্য মা-বাবা তোমাকে পড়াশোনা করিয়েছে?’ মানুষের মন্তব্যে মনোবল হারালেও আবার নতুন উদ্যমে কাজ করে গেছেন তিনি।

মাহমুদা বলেন, ‘গত কয়েক বছরে নারীদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। তবে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে, ওগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য শক্তিশালী মনোভাব ও সঠিক দিকনির্দেশনার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি।’ ট্রিকজি বাজার নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও জানালেন তিনি। নারীদের ব্যবহৃত সব পণ্য থাকবে ট্রিকজিতে এবং হোমমেড খাবারের আইটেম আরও বাড়বে, এমনটাই স্বপ্ন দেখেন মাহমুদা।

বিষয়:

হোম মেড
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত