তানহা আক্তার শুধু সাইক্লিস্টই নন, একজন রানারও। এ পর্যন্ত তিনি ৩০টির বেশি ম্যারাথন ও রানিং ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছেন। সাইক্লিং ও রানিং মিলিয়ে ৫০টির বেশি মেডেল বা পদক অর্জন করেছেন।
ফারিয়া বিনতে রহমান জুলাইয়ের শুরুর দিকে হঠাৎ গিয়েছিলেন টিএসসিতে। শাহবাগে তখন কোটা সংস্কার আন্দোলনের উত্তাল ঢেউ বইছিল। সেই ঢেউয়ে নিজের অজান্তেই গা ভাসিয়ে দিয়েছিলেন ফারিয়া। দাবি আদায়ের প্রতিবাদী মিছিলে কণ্ঠ মিলিয়ে সংহতি জানিয়েছেন প্রতিবাদে। তখনো ভাবেননি এই আন্দোলনই একদিন তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ
প্রতিটি নারীর সাফল্যের পেছনে থাকেন তিনি নিজেই। কারণ ইচ্ছাশক্তি ও মনোবল তাকে নিয়ে যেতে পারে বহুদূর। নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে আজকের নারীরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। করপোরেট জগৎসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে নারীর সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন।
সাধারণভাবে এতিম বলতে আমরা বুঝি যাদের মা-বাবা কেউ নেই। আবার যাদের বাবা আছে, মা নেই; মা আছে, বাবা নেই-তারাও এতিম। রাতের বেলা যে শিশুটি জানালার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে ভাবলেশহীন হয়ে আকাশের দিকে নির্বাক তাকিয়ে থাকে, ওই দূর আকাশের তারার মাঝে মাকে খোঁজে, কোথাও খুঁজে না পেয়ে নিষ্পাপ মনটা ভারাক্রান্ত হয়, ছোট্ট
রেহমুমা হোসেন রিংকি গড়ে তুলেছেন মণিপুরী শাড়ির অনলাইন দোকান। নাম রিংকিস অ্যাটায়ার। তার এই ব্যবসার শুরু ২০১৯ সালে, করোনাভাইরাসের আক্রমণের সময়। তিনি শিক্ষকতা করেন সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে। তখন স্কুল বন্ধ ছিল, মানুষজন ঘরবন্দি। রিংকি ভাবলেন সময়টাকে কাজে লাগানো দরকার।
নরসিংদীর প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীরা স্বাভাবিকভাবেই অনেকটা অবহেলিত। এর ওপর তারা যদি হয় প্রতিবন্ধী, তাহলে তো অবহেলার শেষ নেই। তাদের তাদের অনেকটা সমাজের বোঝা মনে করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ২০২৪-এ সারা দেশ থেকে যুক্ত হয়েছিলেন অনেক নারী। তাদের কেউ শিক্ষার্থী, কেউ চাকরিজীবী, কেউ উদ্যোক্তা, কেউ আবার গৃহবধূ। এসব নারীর সাহসিকতা আর অংশগ্রহণের ফলে আন্দোলন বেগবান হয়েছিল, সফল হওয়ার পথে এগিয়ে গিয়েছিল অনেক ধাপ।
শুরুতে তিনি অল্প পুঁজি নিয়ে স্বল্প পরিসরে ব্যবসাটি শুরু করেন। নিজস্ব পেইজ থেকে পরিচিতজনদের নক করতে থাকেন। যোগ হতে থাকেন ছোট ছোট আঞ্চলিক গ্রুপগুলিতে। এমন করেই পরিচিতি এবং বিক্রি বাড়তে থাকে। ব্যবসার সফলতার বার্তা পেয়ে স্থায়ীভাবে ছেড়ে দেন শিক্ষকতা।
ভোরের আলো যখন ঘুমচোখে কুয়াশার চাদর সরিয়ে একফালি সোনালি কিরণ রাখে পৃথিবীর কাঁধে, তখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুম জাগে না, ল্যাবের দরজা খোলে না, কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে ছুটে আসে না কেউ, মুখর হয় না চত্বর শিক্ষার্থীর পদচারণে। তবে তারও আগে, অতল নীরবতার ভেতর দিয়ে হেঁটে আসেন কিছু মানুষ—কারো হাতে ঝাড়ু
শ্রাবন্তী বলেন, আমি যেকোনো ক্রাফটিংয়ের কাজ করার পর ফেসবুকে শেয়ার করতাম। বন্ধু তালিকায় থাকা শিক্ষক, সহপাঠী ও পরিচিতজনরা প্রশংসা করতেন, উৎসাহ দিতেন।৷ তখনো বেশিরভাগ মানুষের কাছে ‘কুইলিং’ বেশ অচেনা এক ক্রাফটিং সেক্টর। টুকটাক আনাড়ি কাজগুলো দেখে সবাই অনেক প্রশংসা করতেন। এত এত প্রশংসা পেয়ে আমার উৎসাহ আরো
প্রগতিশীল নেত্রীরা বলেন, এ কর্মসূচি কেবল নারীদের স্বার্থরক্ষা নয় বরং এটি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির আন্দোলনের অংশ।
রাজধানী ঢাকার রাশিদা বেগম একজন রত্নগর্ভা মা। তিন সন্তানকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর ‘রত্নগর্ভা মা অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন। আরেক মা পঞ্চরত্নের জননী মোছা. ফরিদা বেগম।
জায়গাটি ঢাকা শহরের প্রায় সবারই চেনা। শাহবাগের ফুলের দোকানগুলো, অনেকেই এর সামনে দিয়ে গিয়েছেন। প্রতিদিন এখানে বসে ফুলের মালা গাঁথেন অনেক নারী। নারীরা ফুলের মালা গাঁথেন আর পুরুষরা ফুলগুলো বিক্রি করেন।
‘মা’ একটি অক্ষর, একটি বর্ণ, একটি শব্দ। যদি বলি মা মানে একটি পৃথিবী, একটি বিশ্ব, একটি জগৎ—ভুল হবে না এতটুকু। কেননা ঠিকই তো জন্মের আগে একটি শিশুর বসবাস, বেড়ে ওঠা, সে তো মায়ের জঠরেই। তাহলে মা কেন পৃথিবী নয়, বিশ্ব নয়, নয় জগৎ।
পৃথিবীতে সবচেয়ে প্রিয় এবং আদরের শব্দটি ‘মা’। মা শুধু প্রিয় শব্দই নয়, সন্তানের প্রিয় যতকিছু আছে, তার সবকিছুর সঙ্গে মিশে আছে মমতাময়ী মা। চরম আনন্দ কিংবা কষ্টের সময়টায় মনে প্রথম ভেসে ওঠে মায়ের মুখখানি। পৃথিবীর ইতিহাসে সব ধর্মই মাকে দিয়েছে মর্যাদাপূর্ণ আসন।
‘মা’ এই শব্দটির মধ্যে লুকিয়ে আছে ভালোবাসা, ত্যাগ আর অসীম মমতার গল্প। কিন্তু জীবনের কিছু মুহূর্তে মাকে নিয়ে কষ্টের ছায়া পড়ে। হয়তো মায়ের দূরে থাকা, তার অসুস্থতা বা তাকে হারানোর বেদনা—এসব অনুভূতি মনের গভীরে দাগ কাটে। জন্ম দেওয়া থেকে শুরু করে পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার যে প্রক্রিয়া পুরোটাই করেন মা।
ছবি কথা বলে। হাজার শব্দের চেয়েও একটি ছবি শক্তিশালী। একজন শিল্পী রঙতুলি দিয়েই মনের অব্যক্ত কথা, আনন্দ-বেদনা, দেশপ্রেম, ভালোবাসা-ঘৃণা সব প্রকাশ করেন। তুলির আঁচড়েই শিল্পী তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও ঘটনা জীবন্ত করে তোলেন। শিল্পীর বড় হাতিয়ার রঙ-তুলি। শিল্পী স্বপ্ন আঁকেন রঙ-তুলি দিয়ে; জীবনের প্রতিচ্ছবি