
শিফা চৌধুরী

ইসলামের দৃষ্টিতে ‘পুরুষ’ ও ‘নারী’ মানুষের দুটি স্বতন্ত্র রূপ। সৃষ্টিগতভাবে নারী-পুরুষের মাঝে কিছু বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য রয়েছে। সে কারণে পুরুষ ও নারীর চলাফেরা, আচরণ, কাজ ও কর্মক্ষেত্রে কিছু সামান্য পার্থক্য রাখা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উভয় শ্রেণির মানুষকে একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরুষকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আবার অন্য ক্ষেত্রে নারীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যে ধর্ম নারীকে সব ক্ষেত্রে পূর্ণ অধিকার ও মর্যাদা প্রদান করেছে।
বেঁচে থাকার অধিকার : জাহেলি যুগে এবং পূর্ববর্তী ও পরবর্তী যেকোনো যুগের কন্যাসন্তান হত্যাকে ইসলাম জঘন্য অপরাধ বলে ঘোষণা করেছে।
ছেলেদের সমান মর্যাদা লাভের অধিকার : কন্যাসন্তান ও পুত্রসন্তানের মর্যাদার মধ্যে কোনো মর্যাদাগত পার্থক্য নেই। মা-বাবার উচিত কন্যাসন্তানকে পুত্রসন্তানের সমান আদর-স্নেহ করা এবং সবকিছু দেওয়ার ক্ষেত্রে সমতা রক্ষা করা। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পুত্রসন্তানকে কন্যাসন্তানের ওপর প্রাধান্য দেয় না, সে জান্নাতবাসী হবে।’ (আবু দাউদ)
স্ত্রী হিসেবে সদাচরণ প্রাপ্তির অধিকার : আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে সৎভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা আন-নিসা : ১৯)
সঙ্গে কেউ যেন খারাপ আচরণ না করে, সেজন্য বিদায় হজের ভাষণে মহানবী (সা.) পুরুষদের সাবধান করেছেন, ‘তোমরা নারীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। মনে রেখো, আল্লাহর সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে তোমরা তাদের গ্রহণ করেছ।’ (সহিহ মুসলিম)
মা হিসেবে শ্রদ্ধা ও খিদমত লাভের অধিকার : নারীরা সম্মানিত মায়ের জাতি। তারা সন্তানের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র। সন্তানের জীবনে যেমন মায়ের অবদান অনেক বেশি, তেমনি মায়ের প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য বেশি। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ)
শিক্ষা গ্রহণের অধিকার : ইসলামে নারীদের বিদ্যা অর্জন করার কেবল সুযোগই দেওয়া হয়নি, বরং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর ওপর ফরজ।’ (ইবন মজার)
শিক্ষাদানের অধিকার : নারীরা মেয়েদের এমনকি পর্দা রক্ষা করে পুরুষদেরও শিক্ষাদান করতে পারবেন। হজরত আয়েশা (রা.) ও হজরত আসমা বিনতে উমাইস (রা.) শিক্ষকতা করতেন। হজরত আয়েশা (রা.)-এর কাছে একসঙ্গে ২০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করতেন। তার মধ্যে ৩৮ জন ছিলেন মহিলা, বাকিরা পুরুষ।
বাবার সম্পদের অংশপ্রাপ্তির অধিকার : মা-বাবার রেখে যাওয়া সম্পদে মেয়েদের অধিকার রয়েছে। এর ফলে নারীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘বাবা-মা ও নিকটাত্মীয়দের রেখে যাওয়া সম্পদে পুরুষের অংশ আছে। অনুরূপভাবে বাবা-মা ও নিকটাত্মীয়দের রেখে যাওয়া সম্পদে নারীর অংশ আছে।’ (সুরা আন-নিসা: ৭)
বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র নির্বাচনের অধিকার : নারীদের সম্মানজনক ও সুখী জীবনযাপন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইসলাম নারীদের স্বাধীনভাবে তাদের জীবনসঙ্গী পছন্দ করার অধিকার দিয়েছে।
দেনমোহর প্রাপ্তির অধিকার : নারীদের অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতার নিশ্চয়তা স্বরূপ ইসলামি জীবনব্যবস্থায় বিয়ের প্রাক্কালে পুরুষের ওপর দেনমোহর ধার্য করা আবশ্যক করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে স্ত্রীদের তাদের দেনমোহর প্রদান করো।’ (সুরা আন-নিসা: ৪)
ঘরের বাইরে যাওয়ার অধিকার : নারীর প্রকৃত কর্মস্থল ঘরের ভেতর বা বেষ্টিত স্থানে। যদি প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তবে পুরুষদের মতো তারাও বাইরে যেতে পারবে। তবে সে ক্ষেত্রে পর্দা রক্ষা করতে হবে।
চিকিৎসা গ্রহণের অধিকার : রোগাক্রান্ত হলে নারীরা চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবে। তাদের চিকিৎসাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। মহানবী (সা.) হজরত ওসমান (রা.)-কে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন তার স্ত্রী অসুস্থ থাকার কারণে। হজরত ওসমান (রা.) বারবার অনুরোধ করার পরও মহানবী (সা.) তাকে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণের অনুমতি দেননি। কারণ স্ত্রীর চিকিৎসা করা যুদ্ধে অংশগ্রহণের চেয়ে বেশি গুরুত্বের দাবিদার।
রাজনৈতিক অধিকার : বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য নারীদের অধিকার দিয়েছে ইসলাম। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে রাফে (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক কর্মকাণ্ডের লোকদের সমবেদ করার জন্য ‘হে মানবমণ্ডলী’ বলে ডাক দিতেন, তখন হজরত উম্মে সালমা (রা.) সেখানে উপস্থিত হতেন। লোকেরা তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, ‘আমিও মানবমণ্ডলীর অন্তর্ভুক্ত। কেননা এখানে নারী-পুরুষের মাঝে কোনো ব্যবধান করা হয়নি।’ (সহিহ মুসলিম)

ইসলামের দৃষ্টিতে ‘পুরুষ’ ও ‘নারী’ মানুষের দুটি স্বতন্ত্র রূপ। সৃষ্টিগতভাবে নারী-পুরুষের মাঝে কিছু বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য রয়েছে। সে কারণে পুরুষ ও নারীর চলাফেরা, আচরণ, কাজ ও কর্মক্ষেত্রে কিছু সামান্য পার্থক্য রাখা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উভয় শ্রেণির মানুষকে একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরুষকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আবার অন্য ক্ষেত্রে নারীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যে ধর্ম নারীকে সব ক্ষেত্রে পূর্ণ অধিকার ও মর্যাদা প্রদান করেছে।
বেঁচে থাকার অধিকার : জাহেলি যুগে এবং পূর্ববর্তী ও পরবর্তী যেকোনো যুগের কন্যাসন্তান হত্যাকে ইসলাম জঘন্য অপরাধ বলে ঘোষণা করেছে।
ছেলেদের সমান মর্যাদা লাভের অধিকার : কন্যাসন্তান ও পুত্রসন্তানের মর্যাদার মধ্যে কোনো মর্যাদাগত পার্থক্য নেই। মা-বাবার উচিত কন্যাসন্তানকে পুত্রসন্তানের সমান আদর-স্নেহ করা এবং সবকিছু দেওয়ার ক্ষেত্রে সমতা রক্ষা করা। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পুত্রসন্তানকে কন্যাসন্তানের ওপর প্রাধান্য দেয় না, সে জান্নাতবাসী হবে।’ (আবু দাউদ)
স্ত্রী হিসেবে সদাচরণ প্রাপ্তির অধিকার : আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে সৎভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা আন-নিসা : ১৯)
সঙ্গে কেউ যেন খারাপ আচরণ না করে, সেজন্য বিদায় হজের ভাষণে মহানবী (সা.) পুরুষদের সাবধান করেছেন, ‘তোমরা নারীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। মনে রেখো, আল্লাহর সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে তোমরা তাদের গ্রহণ করেছ।’ (সহিহ মুসলিম)
মা হিসেবে শ্রদ্ধা ও খিদমত লাভের অধিকার : নারীরা সম্মানিত মায়ের জাতি। তারা সন্তানের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র। সন্তানের জীবনে যেমন মায়ের অবদান অনেক বেশি, তেমনি মায়ের প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য বেশি। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ)
শিক্ষা গ্রহণের অধিকার : ইসলামে নারীদের বিদ্যা অর্জন করার কেবল সুযোগই দেওয়া হয়নি, বরং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর ওপর ফরজ।’ (ইবন মজার)
শিক্ষাদানের অধিকার : নারীরা মেয়েদের এমনকি পর্দা রক্ষা করে পুরুষদেরও শিক্ষাদান করতে পারবেন। হজরত আয়েশা (রা.) ও হজরত আসমা বিনতে উমাইস (রা.) শিক্ষকতা করতেন। হজরত আয়েশা (রা.)-এর কাছে একসঙ্গে ২০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করতেন। তার মধ্যে ৩৮ জন ছিলেন মহিলা, বাকিরা পুরুষ।
বাবার সম্পদের অংশপ্রাপ্তির অধিকার : মা-বাবার রেখে যাওয়া সম্পদে মেয়েদের অধিকার রয়েছে। এর ফলে নারীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘বাবা-মা ও নিকটাত্মীয়দের রেখে যাওয়া সম্পদে পুরুষের অংশ আছে। অনুরূপভাবে বাবা-মা ও নিকটাত্মীয়দের রেখে যাওয়া সম্পদে নারীর অংশ আছে।’ (সুরা আন-নিসা: ৭)
বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র নির্বাচনের অধিকার : নারীদের সম্মানজনক ও সুখী জীবনযাপন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইসলাম নারীদের স্বাধীনভাবে তাদের জীবনসঙ্গী পছন্দ করার অধিকার দিয়েছে।
দেনমোহর প্রাপ্তির অধিকার : নারীদের অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতার নিশ্চয়তা স্বরূপ ইসলামি জীবনব্যবস্থায় বিয়ের প্রাক্কালে পুরুষের ওপর দেনমোহর ধার্য করা আবশ্যক করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে স্ত্রীদের তাদের দেনমোহর প্রদান করো।’ (সুরা আন-নিসা: ৪)
ঘরের বাইরে যাওয়ার অধিকার : নারীর প্রকৃত কর্মস্থল ঘরের ভেতর বা বেষ্টিত স্থানে। যদি প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তবে পুরুষদের মতো তারাও বাইরে যেতে পারবে। তবে সে ক্ষেত্রে পর্দা রক্ষা করতে হবে।
চিকিৎসা গ্রহণের অধিকার : রোগাক্রান্ত হলে নারীরা চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবে। তাদের চিকিৎসাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। মহানবী (সা.) হজরত ওসমান (রা.)-কে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন তার স্ত্রী অসুস্থ থাকার কারণে। হজরত ওসমান (রা.) বারবার অনুরোধ করার পরও মহানবী (সা.) তাকে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণের অনুমতি দেননি। কারণ স্ত্রীর চিকিৎসা করা যুদ্ধে অংশগ্রহণের চেয়ে বেশি গুরুত্বের দাবিদার।
রাজনৈতিক অধিকার : বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য নারীদের অধিকার দিয়েছে ইসলাম। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে রাফে (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক কর্মকাণ্ডের লোকদের সমবেদ করার জন্য ‘হে মানবমণ্ডলী’ বলে ডাক দিতেন, তখন হজরত উম্মে সালমা (রা.) সেখানে উপস্থিত হতেন। লোকেরা তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, ‘আমিও মানবমণ্ডলীর অন্তর্ভুক্ত। কেননা এখানে নারী-পুরুষের মাঝে কোনো ব্যবধান করা হয়নি।’ (সহিহ মুসলিম)

সামিনা জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে চিত্রকলায় স্নাতক সম্পন্ন করেন। প্রাচ্যের শৈল্পিক ঐতিহ্য, লোকজ মোটিফ, নারীর সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা ও প্রকৃতির রূপ এসবই তার কাজের মূল অনুপ্রেরণা।
১ ঘণ্টা আগে
সন্ধ্যার আলো নিভে এলে শহরের ঘরগুলোর কেউ টিভির নাটকে হারিয়ে যান, কেউ আড্ডার চক্রে রাত কাটান। তবে শহরের এক নীরব ঘরে ফারজানা আফরিন তখন নিজের অবসরের ভাঁজে লুকিয়ে থাকা অলসতাকে দূরে সরিয়ে নতুন পথ খুঁজে নেন। উপস্থাপনার ব্যস্ততা ও গৃহিণী জীবনের দায়িত্ব সামলে তার ভেতরের আরেক মানুষ সবসময় জেগে থাকে।
২ ঘণ্টা আগে
কোভিড-১৯ মহামারির স্থবির সময়ে যখন পৃথিবী থেমে গিয়েছিল, তখনো থেমে থাকেননি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার ইভা। ঘরে বসে একঘেয়ে সময়কে সৃজনশীলতায় রূপ দিতে ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট তিনি খুলেছিলেন ছোট্ট একটি অনলাইন পেজ ‘কর্ডিয়াল কেকস’।
২ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও বিভিন্ন সুবিধাজনক পদে পদায়নের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নোবিপ্রবি ছাত্রদল।
৮ ঘণ্টা আগে