আব্দুল হক চরম বিরক্তি নিয়ে টেবিলে রাখা কাগজটার ওপর থেকে চোখ তুলে রুস্তম আলীর দিকে তাকালেন। রুস্তম আলী সেই দৃষ্টি সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে উদাস চোখে জানালার বাইরে তাকিয়ে রইল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) নিজে শিক্ষক ছিলেন। তিনি নিজ হাতে ‘ব্রহ্মবিদ্যালয়’ (১৯০১) নামে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন। এমনকি তার দুই পুত্র রথীন্দ্রনাথ ও শমীন্দ্রনাথকে এই বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন।
নবযুগ ছিল বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত একটি উল্লেখযোগ্য সাহিত্য পত্রিকা। ১৯২০-এর দশকে ভারতে তীব্র রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থানের সময়, ফজলুল হক কৃষক প্রজা পার্টি গঠনের মানসে একটি পত্রিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেন; একই সময়ে নজরুল ইসলাম, মুজফ্ফর আহমদ ও কতিপয় সমমনা ব্যক্তি ব্রিটিশবিরোধী গণজাগরণের
শিশুরা যেন বিজ্ঞানমনস্ক, দৃঢ়চিত্ত, মানবিক, প্রাণোচ্ছল, অনুসন্ধানী সত্তা হিসেবে গড়ে ওঠে- সেটাই ছিল নজরুল রচনার লক্ষ্য। শিশুমনের নির্মল অনুভূতি, ভাব-কল্পনা, স্বপ্ন- কবির রচনায় আশ্চর্য নৈপুণ্যে শৈল্পিক দ্যুতিতে ভাস্বর হয়ে আছে।
নজরুলের গ্রহণযোগ্যতা ও কদর পাশ্চাত্য, লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকাতেও ছড়িয়ে পড়বে, স্বাভাবিক প্রত্যাশা। কারণ, শোষণ-বঞ্চনার অভিশাপ নজরুলের কবিতাবলি ও গানকে সবসময় প্রাসঙ্গিক রাখবে।
‘বল বীর- বল উন্নত মম শির! শির নেহারি’ আমারি, নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!’
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যের নানা দিক তাত্ত্বিকভাবে অনুধাবনের জন্য, মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতা সহজবোধ্য ভাবে উপলব্ধি এবং কার্যকরী ভাবে তা বাস্তবায়ন জন্য বইটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
Jewish Standard যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদি সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করা প্রাচীন ইহুদি সাপ্তাহিক। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ যুক্তরাষ্ট্র সফর করলে এই সাপ্তাহিক থেকে তার এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। ইসরাইল প্রতিষ্ঠার বহু বছর আগে ইউরোপীয় জাতীয়তাবাদ, আরব-ইসরাইল সংকট এবং ইহুদিবাদ নিয়ে তার অভিমত-পরামর্শ ব্যক্ত করেন।
আমাদের কবিতা মাত্র একবার বিশ্ব জয় করেছিল ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির ভেতর দিয়ে। আর রবীন্দ্রনাথের জীবন এবং সৃজনশীলতাকে আমূল বদলে দিয়েছিল বাংলাদেশের যেসব জনপদ তার অন্যতম নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার পতিসর।
মিশরের আরবি ভাষা শিক্ষাঙ্গনে আলোড়ন তুলেছে বাংলাদেশি লেখক জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার আদব বিভাগের মুশরিফ মুফতি গোলাম রাজ্জাক কাসেমীর অনবদ্য আরবি বই "দুরুসুল ইমলা ওয়াত তারকিম"।
বাংলা ভাষা-সাহিত্যের অনালোচিত অধ্যায়
‘বাংলা ভাষার সৌভাগ্য যে, উদ্ভব-মুহূর্তে এক উদার রাজশক্তির সাহচর্য লাভ করেছে। যার ফলে তার পূর্ণ বিকাশ কেবল ত্বরান্বিত হয়নি, আত্মমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিপুল ঐশ্বর্যে সঞ্জীবিত ও নবশক্তির সম্ভাবনায় উজ্জীবিত হয়ে উঠতে পেরেছে।’
ফিলিস্তিন একটি ভূখণ্ডমাত্র নয়; এটি ইতিহাস, ধর্ম, রাজনীতি ও মানবাধিকারের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই ভূমি বারবার পরাক্রমশালী শক্তির লোভের শিকার হয়েছে। বিশ শতকের গোড়ার দিকে যখন ফিলিস্তিন ইহুদি বসতির নামে ক্রমাগত সংকুচিত হচ্ছিল এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির পাকে পড়ে স্বাধীনতা বিপন্ন
আধুনিক বাংলা কবিতার বিকাশকাল বিশ শতকের ঊষালগ্নেই। বিহারী লাল ও মধুসূদন বাদ দিয়ে রবীন্দ্র-নজরুল থেকে মাপ দিলে আধুনিক কবিতার বিকাশ পরিমাপে যে সময় পাওয়া যাবে, তা ওই শতবর্ষের সীমায় বেঁধে ফেলা যায়।
হিন্দুরা ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণের কারণে মুসলমানের সংখ্যাধিক্য হলে আদমশুমারিতে হিন্দুদের সংখ্যা কমার কথা, কিন্তু বেড়ে গেল কেন? বাঙালি মুসলমানের উদ্ভব নিয়ে বোদ্ধা মহলে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় গবেষণা সম্ভবত অসীম রায়ের।
মুকুল চৌধুরীও চলে গেলেন। শক্তিশালী কবি ছিলেন । একে একে সতীর্থরা অনেকেই চলে যাচ্ছেন। আলী ইমাম, মুহম্মদ জাহাঙ্গীর ও মাহফুজউল্লাহ। সম্প্রতিই গেলেন এরা। এবার মুকুলও।
দৈনিক আমার দেশ পাঠক মেলার পরিচিতি সভা উদযাপনকে কেন্দ্র করে ফেনী প্রেসক্লাবে এক প্রস্তুতি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আত্মপরিচয়হীন অনিকেত মানসিকতা আধুনিক কবিতার মূলমন্ত্র। আধুনিক কবিও তাই বোদলেয়ারের ‘প্যারিস সপ্লীন’-এ উল্লিখিত ‘অদ্ভুত অচেনা মানুষ’। বোদলেয়ার তাই ঘোষণাও করেছিলেন-“কবি কোনো ‘কাজে লাগেন’ না, যে বায়রনি বিদ্রোহের দিন গত হয়েছে, পূর্ণ হয়েছে সমাজের সঙ্গে কবির বিচ্ছেদ; প্রতিবাদ করলেও প্রতিবাদের পাত্রকে