নারীদের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলা

মাহমুদুল হাসান আশিক
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৫৮

চলমান আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলায় নারী পাঠকদের উপস্থিতি এবার বিশেষভাবে লক্ষণীয়। মাদরাসার শিক্ষার্থী ও আলেম-ওলামাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যেমন বই কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন, তেমনি নারীদের আগ্রহও কম নয়। তাই নারীদের জন্য আন্তর্জাতিক ইসলামি বই মেলার আয়োজক কমিটিও এবার রেখেছে নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ চত্বর ও পূর্ব চত্বর ঘুরে আন্তর্জাতিক ইসলামি বই মেলা-২০২৫’র এই চিত্র দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

মেলায় আসা নারীদের ইসলামি ইতিহাস, সংস্কৃতি, জীবনযাপন, উপন্যাস, ও বিধিবিধান সম্পর্কিত বই কিনতেই বেশি আগ্রহী দেখা গেছে। তাদের অনেকেই মনে করেন, এসব বই পড়লে নিজেদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে ইসলামি শরিয়াহ মেনে চলা ও আদর্শ চর্চা আরও সহজ হবে।

মেলায় আগত নারী পাঠকদের জন্য রাখা হয়েছে ফিমেল জোন, আলাদা ফুডকোর্ট, আলাদা নামাজের ব্যবস্থা ও শিশুদের জন্য ‘কিডস প্লে জোন’। যদিও এখন পর্যন্ত নারীদের জন্য আলাদাভাবে তৈরি করা হয়নি টয়লেট।

পল্লবী থেকে সন্তানকে সাথে নিয়ে মেলায় আসা নিশাত জাহান আমার দেশকে বলেন , আমরা চাই সন্তানদেরকে সঠিক পথে গড়ে তুলতে। ফলে ইসলামি ইতিহাস ও বিধিবিধান জানা আমাদের জন্য অপরিহার্য। বিকৃত সংস্কৃতি থেকে সন্তানদের দূরে রাখতে ইসলামি কার্টুন সমৃদ্ধ ও নবী-রাসুলদের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু বই কিনেছি সন্তানের জন্য।

ডেমরা থেকে বড় ভাইয়ের সাথে আসা মারিয়াম আক্তার আমার দেশকে বলেন, আমি দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ৩ বছর ধরে এ মেলায় আসি। আগের চেয়ে এবার অনেক ভালোভাবে সাজানো এবং বড়। আজকে আমি ‘দ্যা রিভার্স, কিভাবে আল্লাহর প্রিয় হবো?’সহ ইসলামি ইতিহাস ও সংস্কৃতি নির্ভর কয়েকটি বই কিনেছি। এই অঞ্চলে ইসলামি সংস্কৃতিকে উজ্জীবিত করতে এই মেলাকে প্রাণবন্ত করে তুলতে হবে। আমাদের তরুণ-তরুণীদের আগ্রহ ও উপস্থিতির মাধ্যমেই এটি সম্ভব। এমনকি আমাদের সবাইকে আসতে হবে, বই কিনতে হবে, পড়তে হবে এবং সেই জ্ঞানকে ছড়িয়ে দিতে হবে সবার তরে।

ধানমন্ডি থেকে আসা যায়নাব বিনতে মনোয়ার জানান, ইসলামের প্রয়োগ পরিবারিক জীবনে কেমন হওয়া উচিৎ সেটি সম্পর্কে বেশ কয়েকটি বই নিয়েছি। ইসলামি উপন্যাস নিয়েছি। আর ইমাম গাজ্জালির চিঠি বইটিও নিয়েছি। মূলত ইসলামি বই মেলায় আসা হয় শুধুমাত্র এসকল বইয়ের জন্যই। আরও বড় হোক এই বই মেলা সেই প্রত্যাশা।

মেলা কমিটির সদস্য রুহামা পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, ইসলামি সংস্কৃতি, ইতিহাস ও নারী-সংক্রান্ত বইয়ের চাহিদা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এতে বোঝা যাচ্ছে, ইসলামি বই পড়ার ক্ষেত্রে নারী পাঠকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। আর সেজন্য আমরা এবার নারীদের জন্য ফিমেল কর্ণারের ব্যবস্থা রেখেছি। তাদের পর্দা ঠিক রেখে নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। খাবারের জন্যও আলাদাভাবে ফুডকোর্ট রাখা রয়েছে। এছাড়া তাদের সাথে আসা শিশুদের জন্য রয়েছে ‘কিডস প্লে জোন’। আলাদা ওয়াশরুমের ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত করতে পারিনি তবে চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, মাসব্যাপী এ বইমেলায় ১৯৯টি স্টল রয়েছে। এতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, দেশের স্বনামধন্য ইসলামী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান, নেতৃস্থানীয় ইসলামী পুস্তক ব্যবসায়ী ছাড়াও মিশর, লেবানন ও পাকিস্তানের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এ মেলায় লেখক কর্নার, ফুড কর্নার, আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেলাটি প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা এবং ছুটির দিনে সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখার কথা রয়েছে।

মাওলানা মুহিবুল্লাহ মাদানি নিখোঁজ, সন্দেহের তীর ইসকনের দিকে

সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন তালুকদারের মৃত্যুতে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের শোক

রাবাদার রেকর্ডে স্বস্তিতে প্রোটিয়ারা

যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে খামেনির উপহাস

হোয়াইট হাউসে বলরুম নিয়ে রহস্য, নির্মাণে টাকা দিচ্ছে কারা

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত