শরীফ ইকবাল রাসেল, নরসিংদী
নরসিংদীর নারী উদ্যোক্তা ডলি খানমের হাত ধরে গড়ে ওঠা ‘হৃদয় কোয়েল হ্যাচারি’র ডিম, বাচ্চা ও পাখি যাচ্ছে সারা দেশে। এখন নিজের ১৩টি খামারে নিয়মিত ৬০ হাজারেরও বেশি পাখি রয়েছে। আর সারা দেশে তিনি প্রায় ১০ হাজারের মতো খামার নিয়ন্ত্রণ করেন।
এদিকে কোয়েল পাখির খামার সম্প্রসারণে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ—এমন দাবি করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্তৃপক্ষ।
জেলার পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের পলাশেরচর গ্রামে পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা হৃদয় কোয়েল হ্যাচারির উদ্যোক্তা ডলি খানম। দু’সন্তানের জননী এই ডলি।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিজ খামারে পাখিদের জন্য পানি ও খাবার দিচ্ছেন ডলি। খামারের পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন মনোহরদী, চরাঞ্চল আলোকবালী, গাজীপুরের কাপাসিয়া ও মাধবদী থেকে কয়েকজন উদ্যোক্তা। তারা এসেছেন কেউ কোয়েল পাখির ডিম, কেউ পাখির বাচ্চা, কেউবা আবার ডিম দেবে এমন পাখি এবং একজন এসেছেন খাবার নিতে। তাদের কেউ ইউটিউবে, কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবার কেউবা আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে এখানে এসেছেন।
এ সময় কথা হয় উদ্যোক্তা ডলি খানমের সঙ্গে। গল্পের ছলে কোয়েল পাখির শুরু থেকে এ পর্যন্ত বড় হওয়ার গল্প শোনালেন। গল্প করতে করতে তিনি বলেন, ২০০২ সালে শিবপুর উপজেলায় তার বাবার বাড়ি থেকে শখের বশে এক জোড়া কোয়েল পাখি আনেন ছেলে হৃদয়। এদের মধ্যে একটি পুরুষ পাখি, অন্যটি স্ত্রী পাখি। এই পাখি দুটি লালন-পালন শুরু করেন। স্ত্রী পাখি রোজ একটি করে ডিম দিতে থাকে। এই ডিম সিদ্ধ করে খেতে দিলে হৃদয় প্রথমে খেতে অনীহা প্রকাশ করত। কদিন পরে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া নিয়মে পরিণত হয় হৃদয়ের।
চিকিৎসকদের মতে কোয়েল পাখির ডিম অধিক পুষ্টিগুণ-সমৃদ্ধ, কোলেস্টেরল-মুক্ত ও সুস্বাদু। তাই মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী এই কোয়েল পাখির ডিম। এছাড়া অল্প সময়ের মধ্যে অধিক লাভজনক হওয়ায় এতে উৎসাহিত হয়ে বাণিজ্যিকভাবে কোয়েল পালনের সিদ্ধান্ত নেন ডলি খানম ও তার স্বামী ডা. দিদার আলম। সেই থেকে কোয়েল পালনের যাত্রা শুরু করেন এই দম্পতি। স্বামী পল্লি চিকিৎসক ডা. দিদার আলম সামলাতেন বাইরের দিক। আর খামারের দেখাশোনা করেন ডলি খানম। এভাবে চলতে থাকলেও কিছুদিন পরে স্বামী ডা. দিদার আলম মারা যান।
এতে তিনি দমে যাননি। স্বামীর মৃত্যুর পর কয়েকজন কর্মচারী নিয়ে শুরু করেন বাণিজ্যিকভাবে কোয়েল পালন। এদিকে বিএসসি পাস করা বড় ছেলে হৃদয়কে চাকরিতে না দিয়ে যুক্ত করেন নিজের গড়া কোয়েল খামারেই। এই খামারের ডিম, বাচ্চা ও পাখি এখন যাচ্ছে দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত। এছাড়া নিজের ১৩টি খামারে নিয়মিতই থাকে ৬০ হাজারেরও বেশি পাখি।
ডলি সারা দেশের প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি খামার নিয়ন্ত্রণ করেন। এভাবে সারা দেশে কোয়েলের চাহিদা পূরণের জন্য সংগ্রহ করেন ১০টি ইনকিউবেটর, যা দিয়ে অনবরত বাচ্চা ফোটানো হয়। দুই দিনের বাচ্চা থেকে শুরু করে ডিম পাড়া পর্যন্ত কোয়েল পাখি সরবরাহ করা হচ্ছে সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কুড়িগ্রাম, গাজীপুরসহ সারা দেশে। আর সারা দেশে অর্ডার নেন অনলাইনে। শুধু তা-ই নয়, ডিম পাড়া শেষ হলে কোয়েল পাখি খাওয়ার জন্য সরবরাহ করা হয় দেশের অভিজাত রেস্তোরাঁগুলোয়।
এসব অধিকাংশই সরবরাহ করা হয় যাত্রীবাহী পরিবহনযোগে। আর মোবাইলের মাধ্যমেই পাখির পরিচর্যা, খাবার নিয়ন্ত্রণ, রোগের লক্ষণ ও সমাধানে কাজ করে থাকেন ডলি খানম। অল্প পুঁজি ও অল্প জায়গায় রোগবালাই কম হওয়ায় বেশি লাভের কারণে দিন দিন কোয়েল পালন বাড়ছে বলে দাবি কোয়েল খামারিদের।
নরসিংদী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ছাইফুল ইসলাম জানান, কোয়েল পাখি কম জায়গায় অধিক লাভজনক। কোয়েল পাখির রোগ কম হয়, ডিমের পুষ্টির মান বেশি, ডিমের চাহিদাও বেশি, মাংসেরও চাহিদা রয়েছে, তাই দিন দিন কোয়েল পালন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ, তদারকি, খোঁজখবর রাখাসহ সাধ্যমতো তাদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
কোয়েল পাখি পালনে একদিকে অল্প পুঁজিতে অধিক লাভ ও বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় দিনে দিনে বাড়ছে খামারিদের সংখ্যা। এর ফলে অন্যদিকে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা এবং ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। সেইসঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে দেশ।
নরসিংদীর নারী উদ্যোক্তা ডলি খানমের হাত ধরে গড়ে ওঠা ‘হৃদয় কোয়েল হ্যাচারি’র ডিম, বাচ্চা ও পাখি যাচ্ছে সারা দেশে। এখন নিজের ১৩টি খামারে নিয়মিত ৬০ হাজারেরও বেশি পাখি রয়েছে। আর সারা দেশে তিনি প্রায় ১০ হাজারের মতো খামার নিয়ন্ত্রণ করেন।
এদিকে কোয়েল পাখির খামার সম্প্রসারণে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ—এমন দাবি করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্তৃপক্ষ।
জেলার পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের পলাশেরচর গ্রামে পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা হৃদয় কোয়েল হ্যাচারির উদ্যোক্তা ডলি খানম। দু’সন্তানের জননী এই ডলি।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিজ খামারে পাখিদের জন্য পানি ও খাবার দিচ্ছেন ডলি। খামারের পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন মনোহরদী, চরাঞ্চল আলোকবালী, গাজীপুরের কাপাসিয়া ও মাধবদী থেকে কয়েকজন উদ্যোক্তা। তারা এসেছেন কেউ কোয়েল পাখির ডিম, কেউ পাখির বাচ্চা, কেউবা আবার ডিম দেবে এমন পাখি এবং একজন এসেছেন খাবার নিতে। তাদের কেউ ইউটিউবে, কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবার কেউবা আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে এখানে এসেছেন।
এ সময় কথা হয় উদ্যোক্তা ডলি খানমের সঙ্গে। গল্পের ছলে কোয়েল পাখির শুরু থেকে এ পর্যন্ত বড় হওয়ার গল্প শোনালেন। গল্প করতে করতে তিনি বলেন, ২০০২ সালে শিবপুর উপজেলায় তার বাবার বাড়ি থেকে শখের বশে এক জোড়া কোয়েল পাখি আনেন ছেলে হৃদয়। এদের মধ্যে একটি পুরুষ পাখি, অন্যটি স্ত্রী পাখি। এই পাখি দুটি লালন-পালন শুরু করেন। স্ত্রী পাখি রোজ একটি করে ডিম দিতে থাকে। এই ডিম সিদ্ধ করে খেতে দিলে হৃদয় প্রথমে খেতে অনীহা প্রকাশ করত। কদিন পরে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া নিয়মে পরিণত হয় হৃদয়ের।
চিকিৎসকদের মতে কোয়েল পাখির ডিম অধিক পুষ্টিগুণ-সমৃদ্ধ, কোলেস্টেরল-মুক্ত ও সুস্বাদু। তাই মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী এই কোয়েল পাখির ডিম। এছাড়া অল্প সময়ের মধ্যে অধিক লাভজনক হওয়ায় এতে উৎসাহিত হয়ে বাণিজ্যিকভাবে কোয়েল পালনের সিদ্ধান্ত নেন ডলি খানম ও তার স্বামী ডা. দিদার আলম। সেই থেকে কোয়েল পালনের যাত্রা শুরু করেন এই দম্পতি। স্বামী পল্লি চিকিৎসক ডা. দিদার আলম সামলাতেন বাইরের দিক। আর খামারের দেখাশোনা করেন ডলি খানম। এভাবে চলতে থাকলেও কিছুদিন পরে স্বামী ডা. দিদার আলম মারা যান।
এতে তিনি দমে যাননি। স্বামীর মৃত্যুর পর কয়েকজন কর্মচারী নিয়ে শুরু করেন বাণিজ্যিকভাবে কোয়েল পালন। এদিকে বিএসসি পাস করা বড় ছেলে হৃদয়কে চাকরিতে না দিয়ে যুক্ত করেন নিজের গড়া কোয়েল খামারেই। এই খামারের ডিম, বাচ্চা ও পাখি এখন যাচ্ছে দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত। এছাড়া নিজের ১৩টি খামারে নিয়মিতই থাকে ৬০ হাজারেরও বেশি পাখি।
ডলি সারা দেশের প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি খামার নিয়ন্ত্রণ করেন। এভাবে সারা দেশে কোয়েলের চাহিদা পূরণের জন্য সংগ্রহ করেন ১০টি ইনকিউবেটর, যা দিয়ে অনবরত বাচ্চা ফোটানো হয়। দুই দিনের বাচ্চা থেকে শুরু করে ডিম পাড়া পর্যন্ত কোয়েল পাখি সরবরাহ করা হচ্ছে সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কুড়িগ্রাম, গাজীপুরসহ সারা দেশে। আর সারা দেশে অর্ডার নেন অনলাইনে। শুধু তা-ই নয়, ডিম পাড়া শেষ হলে কোয়েল পাখি খাওয়ার জন্য সরবরাহ করা হয় দেশের অভিজাত রেস্তোরাঁগুলোয়।
এসব অধিকাংশই সরবরাহ করা হয় যাত্রীবাহী পরিবহনযোগে। আর মোবাইলের মাধ্যমেই পাখির পরিচর্যা, খাবার নিয়ন্ত্রণ, রোগের লক্ষণ ও সমাধানে কাজ করে থাকেন ডলি খানম। অল্প পুঁজি ও অল্প জায়গায় রোগবালাই কম হওয়ায় বেশি লাভের কারণে দিন দিন কোয়েল পালন বাড়ছে বলে দাবি কোয়েল খামারিদের।
নরসিংদী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ছাইফুল ইসলাম জানান, কোয়েল পাখি কম জায়গায় অধিক লাভজনক। কোয়েল পাখির রোগ কম হয়, ডিমের পুষ্টির মান বেশি, ডিমের চাহিদাও বেশি, মাংসেরও চাহিদা রয়েছে, তাই দিন দিন কোয়েল পালন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ, তদারকি, খোঁজখবর রাখাসহ সাধ্যমতো তাদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
কোয়েল পাখি পালনে একদিকে অল্প পুঁজিতে অধিক লাভ ও বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় দিনে দিনে বাড়ছে খামারিদের সংখ্যা। এর ফলে অন্যদিকে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা এবং ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। সেইসঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে দেশ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে