
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

যৌতুক প্রথা ও নারী নির্যাতন বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সমস্যাগুলোর মধ্যে সর্বাধিক অমানবিক সমস্যা। কেবল নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত নয়, উচ্চ মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারেও উপহারের নামে যৌতুক দেওয়ার চল রয়েছে বাংলাদেশে। যৌতুক বা পণ হলো মেয়ের বিয়েতে বাবা-মায়ের সম্পত্তির হস্তান্তর প্রক্রিয়া। বিয়ের সময় পাত্রীর জন্য যা কিছু মূল্যবান সামগ্রী দেওয়া হয়, তা যৌতুক। সমাজকে যৌতুকমুক্ত করতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পারিবারিক সচেতনতা। শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত পরিবারে তথাকথিত যৌতুক প্রথা সাধারণত পরিলক্ষিত হয় না, কিন্তু অন্যভাবে কন্যার পরিবারকে চাপের মধ্যে রাখা হয়, যেটা যৌতুকের অন্তর্ভুক্ত। অনেকে নিজের মেয়ে সুখে থাকবে ভেবে বেশি জিনিস দিয়ে তাকে শ্বশুরবাড়ি পাঠাতে চেষ্টা করেন। তারা একটা বিষয় বুঝতে পারেন না যে, এই দেওয়ার প্রবণতা অন্যপক্ষের চাওয়ার প্রবণতাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ যৌতুক যে লোভ, সেই লোভকে আরো উসকে দেওয়া হয়। কেননা আমাদের সমাজে ধরেই নেওয়া হয় পুত্রসন্তান মানেই ধন-সম্পদ উপার্জনের হাতিয়ার। তাকে দেখেই যেন মেয়ের বাপ-মা সবকিছু উজাড় করে দেবেন। কেউ চাকরি দেবেন, কেউ দেবেন সম্পত্তি।
সাধারণ অর্থে যৌতুক বলতে বিয়ের সময় বরকে কনের অভিভাবকের দেওয়া অর্থ বা মূল্যবান সামগ্রীকে বোঝায়। এছাড়া বর-কনের আত্মীয়, আগত অতিথিরা সাধারণত স্বেচ্ছায় নবদম্পতিকে উপহার দিয়ে থাকেন, যা তারা তাদের নতুন সংসারে সুবিধামতো ব্যবহার করতে পারেন। হিন্দু আইনে যৌতুককে নারীর সম্পত্তির উৎস বলা হয়। এতে তার নিরঙ্কুশ অধিকার স্বীকৃত। হিন্দু সমাজে নারীরা পুরুষদের মতো একইভাবে সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতো না। তাই অনেক আগে থেকেই হিন্দু সমাজে নারীদের বিয়ের সময়ে যৌতুক দেওয়ার প্রচলন ছিল। কালক্রমে তা বিয়ের পণ হিসেবে আবির্ভূত হয়, যা একসময় কনে পক্ষের জন্য কষ্টকর রীতি হয়ে দাঁড়ায়। তবে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিয়ের ক্ষেত্রে বিয়ের মোহরানা যৌতুক হিসেবে বিবেচিত হবে না। প্রচলিত আইনে যৌতুক দেওয়া বা নেওয়া উভয়ই শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে এক থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। যৌতুক দাবি করার জন্যও একই সাজা হতে পারে। আমাদের সমাজে যৌতুকের জন্য নারীর প্রতি অসম্মান ও অত্যাচারের অনেক ঘটনা ঘটে। এমনকি যৌতুকের দাবিতে স্বামী বা তার আত্মীয়-স্বজন দ্বারা অত্যাচারের পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও বিরল নয়। যারা যৌতুক নি
যৌতুকের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হলেও যথাযথ প্রয়োগ নেই। ফলে যৌতুক নামক এই অপসংস্কৃতির বলির শিকার হচ্ছে নারীরা, যা প্রতিরোধের জন্য আইনের বাস্তবায়নসহ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। দেশে নারী নির্যাতনের মতো সমস্যা ব্যাপক আকার ধারণ করার ক্ষেত্রে মুখ্য কারণ যৌতুক প্রথা। যৌতুক প্রথার সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে বিভিন্ন কারণ জড়িত। এসব কারণের মধ্যে সামাজিক কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাস, সামাজিক প্রতিপত্তি ও প্রতিষ্ঠা লাভের মোহ, দারিদ্র্য, অজ্ঞতা, উচ্চাভিলাষী জীবনযাপনের বাসনা, পুরুষশাসিত সমাজে নারীদের নিম্ন আর্থ-সামাজিক মর্যাদা ও অসহায়ত্ব প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। দারিদ্র্য, বেকারত্ব, নারীদের নিম্নমর্যাদা ও অসহায়ত্ব, অজ্ঞতা, পুরুষদের কারো কারো বিকৃত মানসিকতা, অপসংস্কৃতির অনুপ্রবেশ, কতিপয় নারীর বিরূপ আচরণের প্রভাব প্রভৃতি নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে কাজ করে। এ সমস্যা আমাদের সমাজে বহুদিন ধরে বিরাজ করছে। বহু কারণে সৃষ্ট এ সমস্যা এক দিনে বা একক উদ্যোগে সমাধান করা বা সচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। এ সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন; অভিভাবক শ্রেণি, যুবক শ্রেণি, মহিলাসহ সবার মনে এই ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে হবে যে, যৌতুক দেওয়া ও নেওয়া দুটোই অন্যায়।
কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন? যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি শুধু নয়, মারণব্যাধির মতো আমাদের সমাজে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে। যৌতুক যারা দেয় এবং যৌতুক যারা নেয় দুপক্ষই সমান অপরাধী। এই আইনের মূলমন্ত্র জানলেও ক’জন তা মানে? তাই শুধু আইন করে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন ঘর থেকে ঘরে আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া। এ ব্যাপারে সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর আরো নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। ধর্মীয় ও সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যৌতুকবিরোধী প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পাঠ্যপুস্তকে যৌতুকবিরোধী বিষয় এবং যৌতুক-সংক্রান্ত আইনগুলো অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। মানবাধিকার সংগঠন ও এনজিওগুলো যৌতুকবিরোধী প্রচারণা চালাতে পারে। গণমাধ্যমে যৌতুকবিরোধী প্রচার অভিযানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
নারীরা কেন যৌতুকের বলি হবে? কেন তাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে? বরপক্ষ কনেপক্ষের কাছ থেকে বিয়ের আগে ও পরে মূল্যবান আসবাবপত্র, গাড়ি, বাড়ি ও জামানত দাবি করে এবং কনেপক্ষও মূল্যবান আসবাবপত্র হস্তান্তর করে বা করতে সম্মত হয়—এ ধরনের প্রথাই যৌতুক। এ সমস্যার সমাধান রয়েছে প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি ব্যক্তির সচেতন হয়ে ওঠার মধ্যেই। সবার মধ্যে যদি এই বোধ জন্ম নেয় যে, যৌতুক এক ধরনের ভিক্ষাবৃত্তি, এর মাধ্যমে কোনো সম্মানপ্রাপ্তি হয় না, বরং নিজের সম্মানহানিই ঘটে, তাহলে হয়তো আমাদের সমাজ থেকে একদিন এই ভয়াবহ অভিশাপ দূর হবে। ইদানীং ‘প্রাচ্যের রানি’ খ্যাত চট্টগ্রামে যৌতুক প্রথা সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। যৌতুক নিজস্ব সংস্কৃতি ও ভয়াবহ ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যান্য জেলার তুলনায় চট্টগ্রাম জেলার যৌতুক নামক অপসংস্কৃতি ও নেতিবাচক দিকটা একটু বেশি। এ যৌতুক প্রথার অভিশাপ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা জরুরি।

যৌতুক প্রথা ও নারী নির্যাতন বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সমস্যাগুলোর মধ্যে সর্বাধিক অমানবিক সমস্যা। কেবল নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত নয়, উচ্চ মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারেও উপহারের নামে যৌতুক দেওয়ার চল রয়েছে বাংলাদেশে। যৌতুক বা পণ হলো মেয়ের বিয়েতে বাবা-মায়ের সম্পত্তির হস্তান্তর প্রক্রিয়া। বিয়ের সময় পাত্রীর জন্য যা কিছু মূল্যবান সামগ্রী দেওয়া হয়, তা যৌতুক। সমাজকে যৌতুকমুক্ত করতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পারিবারিক সচেতনতা। শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত পরিবারে তথাকথিত যৌতুক প্রথা সাধারণত পরিলক্ষিত হয় না, কিন্তু অন্যভাবে কন্যার পরিবারকে চাপের মধ্যে রাখা হয়, যেটা যৌতুকের অন্তর্ভুক্ত। অনেকে নিজের মেয়ে সুখে থাকবে ভেবে বেশি জিনিস দিয়ে তাকে শ্বশুরবাড়ি পাঠাতে চেষ্টা করেন। তারা একটা বিষয় বুঝতে পারেন না যে, এই দেওয়ার প্রবণতা অন্যপক্ষের চাওয়ার প্রবণতাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ যৌতুক যে লোভ, সেই লোভকে আরো উসকে দেওয়া হয়। কেননা আমাদের সমাজে ধরেই নেওয়া হয় পুত্রসন্তান মানেই ধন-সম্পদ উপার্জনের হাতিয়ার। তাকে দেখেই যেন মেয়ের বাপ-মা সবকিছু উজাড় করে দেবেন। কেউ চাকরি দেবেন, কেউ দেবেন সম্পত্তি।
সাধারণ অর্থে যৌতুক বলতে বিয়ের সময় বরকে কনের অভিভাবকের দেওয়া অর্থ বা মূল্যবান সামগ্রীকে বোঝায়। এছাড়া বর-কনের আত্মীয়, আগত অতিথিরা সাধারণত স্বেচ্ছায় নবদম্পতিকে উপহার দিয়ে থাকেন, যা তারা তাদের নতুন সংসারে সুবিধামতো ব্যবহার করতে পারেন। হিন্দু আইনে যৌতুককে নারীর সম্পত্তির উৎস বলা হয়। এতে তার নিরঙ্কুশ অধিকার স্বীকৃত। হিন্দু সমাজে নারীরা পুরুষদের মতো একইভাবে সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতো না। তাই অনেক আগে থেকেই হিন্দু সমাজে নারীদের বিয়ের সময়ে যৌতুক দেওয়ার প্রচলন ছিল। কালক্রমে তা বিয়ের পণ হিসেবে আবির্ভূত হয়, যা একসময় কনে পক্ষের জন্য কষ্টকর রীতি হয়ে দাঁড়ায়। তবে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিয়ের ক্ষেত্রে বিয়ের মোহরানা যৌতুক হিসেবে বিবেচিত হবে না। প্রচলিত আইনে যৌতুক দেওয়া বা নেওয়া উভয়ই শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে এক থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। যৌতুক দাবি করার জন্যও একই সাজা হতে পারে। আমাদের সমাজে যৌতুকের জন্য নারীর প্রতি অসম্মান ও অত্যাচারের অনেক ঘটনা ঘটে। এমনকি যৌতুকের দাবিতে স্বামী বা তার আত্মীয়-স্বজন দ্বারা অত্যাচারের পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও বিরল নয়। যারা যৌতুক নি
যৌতুকের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হলেও যথাযথ প্রয়োগ নেই। ফলে যৌতুক নামক এই অপসংস্কৃতির বলির শিকার হচ্ছে নারীরা, যা প্রতিরোধের জন্য আইনের বাস্তবায়নসহ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। দেশে নারী নির্যাতনের মতো সমস্যা ব্যাপক আকার ধারণ করার ক্ষেত্রে মুখ্য কারণ যৌতুক প্রথা। যৌতুক প্রথার সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে বিভিন্ন কারণ জড়িত। এসব কারণের মধ্যে সামাজিক কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাস, সামাজিক প্রতিপত্তি ও প্রতিষ্ঠা লাভের মোহ, দারিদ্র্য, অজ্ঞতা, উচ্চাভিলাষী জীবনযাপনের বাসনা, পুরুষশাসিত সমাজে নারীদের নিম্ন আর্থ-সামাজিক মর্যাদা ও অসহায়ত্ব প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। দারিদ্র্য, বেকারত্ব, নারীদের নিম্নমর্যাদা ও অসহায়ত্ব, অজ্ঞতা, পুরুষদের কারো কারো বিকৃত মানসিকতা, অপসংস্কৃতির অনুপ্রবেশ, কতিপয় নারীর বিরূপ আচরণের প্রভাব প্রভৃতি নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে কাজ করে। এ সমস্যা আমাদের সমাজে বহুদিন ধরে বিরাজ করছে। বহু কারণে সৃষ্ট এ সমস্যা এক দিনে বা একক উদ্যোগে সমাধান করা বা সচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। এ সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন; অভিভাবক শ্রেণি, যুবক শ্রেণি, মহিলাসহ সবার মনে এই ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে হবে যে, যৌতুক দেওয়া ও নেওয়া দুটোই অন্যায়।
কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন? যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি শুধু নয়, মারণব্যাধির মতো আমাদের সমাজে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে। যৌতুক যারা দেয় এবং যৌতুক যারা নেয় দুপক্ষই সমান অপরাধী। এই আইনের মূলমন্ত্র জানলেও ক’জন তা মানে? তাই শুধু আইন করে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন ঘর থেকে ঘরে আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া। এ ব্যাপারে সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর আরো নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। ধর্মীয় ও সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যৌতুকবিরোধী প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পাঠ্যপুস্তকে যৌতুকবিরোধী বিষয় এবং যৌতুক-সংক্রান্ত আইনগুলো অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। মানবাধিকার সংগঠন ও এনজিওগুলো যৌতুকবিরোধী প্রচারণা চালাতে পারে। গণমাধ্যমে যৌতুকবিরোধী প্রচার অভিযানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
নারীরা কেন যৌতুকের বলি হবে? কেন তাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে? বরপক্ষ কনেপক্ষের কাছ থেকে বিয়ের আগে ও পরে মূল্যবান আসবাবপত্র, গাড়ি, বাড়ি ও জামানত দাবি করে এবং কনেপক্ষও মূল্যবান আসবাবপত্র হস্তান্তর করে বা করতে সম্মত হয়—এ ধরনের প্রথাই যৌতুক। এ সমস্যার সমাধান রয়েছে প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি ব্যক্তির সচেতন হয়ে ওঠার মধ্যেই। সবার মধ্যে যদি এই বোধ জন্ম নেয় যে, যৌতুক এক ধরনের ভিক্ষাবৃত্তি, এর মাধ্যমে কোনো সম্মানপ্রাপ্তি হয় না, বরং নিজের সম্মানহানিই ঘটে, তাহলে হয়তো আমাদের সমাজ থেকে একদিন এই ভয়াবহ অভিশাপ দূর হবে। ইদানীং ‘প্রাচ্যের রানি’ খ্যাত চট্টগ্রামে যৌতুক প্রথা সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। যৌতুক নিজস্ব সংস্কৃতি ও ভয়াবহ ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যান্য জেলার তুলনায় চট্টগ্রাম জেলার যৌতুক নামক অপসংস্কৃতি ও নেতিবাচক দিকটা একটু বেশি। এ যৌতুক প্রথার অভিশাপ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা জরুরি।

রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে শারমিন খানম (৪০) এসেছেন ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা ক্যাম্পে। ৩০ অক্টোবর সরেজমিনে কথা হয় তার সঙ্গে। আলাপচারিতায় শারমিন বলছিলেন, ‘নিজের শরীরের যত্ন নিজেকেই নিতে হবে। সুস্থতা আল্লাহর সবচেয়ে বড় নিয়ামত। ক্যানসার এমনটি একটি রোগ, যা মারণব্যাধি।
৩ ঘণ্টা আগে
জীবনের অন্য নাম সংগ্রাম। জীবন মানেই যুদ্ধ বা লড়াই; কখনো নিজের সঙ্গে, কখনো সমাজের সঙ্গে, কখনো সময়ের নির্মমতার সঙ্গে। ঝড়-তুফান পেরিয়ে, অন্ধকার ভেদ করে যারা সামনের পথে এগিয়ে চলেন, তাদের গল্প কখনো হার মানার নয়। বরং প্রতিটি পদক্ষেপে তারা লিখে যান বেঁচে থাকার এক নতুন কবিতা।
৪ ঘণ্টা আগে
হেমন্তের হালকা রোদে ঝলমল করছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সবুজ চত্বর। কবি হেয়াত মামুদ ভবনের সামনে কয়েকজন শিক্ষার্থী আড্ডা দিচ্ছিলেন। তাদের কারো হাতে বই আর কারো হাতে ছিল নোটখাতা। কথার ফাঁকে ফাঁকে উচ্চারিত হচ্ছিল একটাই শব্দ-‘ব্রাকসু’।
৪ ঘণ্টা আগে
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও আগ্রহ তৈরি হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে