পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন শিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষক এখন জাপানে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাকুরা সায়েন্স প্রোগ্রাম’র ইন্টারন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন তারা। সাত দিনের এই নলেজ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ রাসেল আল আহম্মেদ। আট সদস্যের দলটি ২৬ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক এবং ল্যাবগুলোয় বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন।
দেশে এসে সেই অভিজ্ঞতাগুলো তারা কাজে লাগাবেন। এমন একটি গবেষক দল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নলেজ শেয়ারিংয়ে গেলেন। এর মাধ্যমে দুই প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবে; তারা পরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করবে।
শিক্ষকসহ যে সাত শিক্ষার্থী গেলেন, তারা হলেনÑপ্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ রাসেল আল আহমেদ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী অর্পা কর পূজা, পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের মো. আব্দুর রাকিব, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইসিই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মোসা. মুন্নী খাতুন ও কামিল আহমেদ, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আরিফুল ইসলাম ও মানব চন্দ্র চন্দ এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জাবিন তাসনিম উপমা।
এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীরা কৃষিক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার শেখা এবং অত্যাধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা অর্জনকে কাজে লাগিয়ে তা প্রয়োগ করতে শিখবেন। তারা সেখানে পাইথন প্রোগ্রামিং ব্যবহার এবং কৃষিতথ্যের মেশিন লার্নিং বিশ্লেষণের মাধ্যমে, স্মার্ট কৃষি সম্পর্কিত এআই প্রযুক্তির মূল বিষয়গুলো শিখবেন। এছাড়া ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মার্ট কৃষিতে এআই রোবট, অপটিক্যাল যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ ল্যাবগুলো পরিদর্শন করবেন। কৃষি এবং প্রকৌশলকে একত্র করে পরবর্তী প্রজন্মের স্মার্ট কৃষিব্যবস্থা সম্পর্কে শিখবেন এবং তাদের নিজ নিজ দেশে কৃষি সমস্যার সমাধানের জন্য ব্যবহারিক এআই জ্ঞান অর্জন করবেন।
সেখান থেকে ফিরে এসে নিজ দেশে কৃষি সমস্যার সমাধান করে মানবসম্পদ বিকাশে অবদান রাখতে পারবেন। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মধ্যে এক শক্তিশালী ও কার্যকর নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা আরো দৃঢ় হবে। এর ফলে তারা দীর্ঘমেয়াদি গবেষণার ভিত্তি স্থাপন করতে পারবেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল-আওয়াল বলেন, ‘ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এলাকাটি কৃষিনির্ভর। এই সাতজন শিক্ষার্থীর মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এবং মেশিন লার্নিংয়ের ওপর যথেষ্ট দক্ষতা (স্কিল) আছে; এ জন্য তারা এ প্রোগ্রামে যাচ্ছেন।’

