স্বামী হত্যাকারীদের ফাঁসি চান শহীদ মিজানুর রহমানের স্ত্রী

ওমর আলী সানি, আগৈলঝাড়া (বরিশাল)
প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৫, ০৯: ৪৮

মিজানুর রহমান সংসারে এমাত্র উপার্জনকারী। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় থেকে মুদি ব্যবসা করতেন। পিতা-মাতা গ্রামের বাড়ি থাকেন । তাদের সংসারে খরচ যোগাতে ব্যবসায়ী কাজের জন্য ঢাকা থাকতেন। তিনি ঢাকার রামপুরা বনশ্রী এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন ও দোকানঘর ভাড়া নিয়ে মুদি মনোহারির ব্যবসা করতেন।

বিজ্ঞাপন

২০২৪ সালের ১৯ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বাসায় খাওয়া দাওয়া শেষ করে দোকানে যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে গুলি করে । গুলি মিজানুরের বাম পায়ের হাঁটুতে লাগে। তিনি মাটিতে লুটে পড়েন। পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন মিজানুর। তিনি মোবাইলে তার স্ত্রী মারিয়া আফরিন তুসী ও বোন আছমা বেগমকে জানালে তারা গিয়ে প্রথমে এ্যাডভান্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা বলে গুলি বের করা সম্ভব না। তারপরে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। মিজানুর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই মারা যান। ২০ জুলাই সকালে ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ নিজ গ্রামে নিয়ে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। শহীদ মিজানুর রহমান বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের পূর্ব কেশব কাঠী গ্রামের মো. কামাল হোসেনের একমাত্র ছেলে।

শহীদ মিজানুর রহমানের স্ত্রী মারিয়া আফরিন তুসী বলেন, আমাদের একটি ২০ মাসের ছেলে সন্তান রয়েছে। আমি এখন কি নিয়ে বাঁচব। আমার ছেলে আব্বু আব্বু বলে ডাকে। আমার ছেলে তার আব্বুকে চিনল না। সকলে তাদের পিতার আদর পাবে আমার ছেলে পিতার আদর থেকে বঞ্চিত হলো। যারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। আমি আজও রাতে ঘুমাতে পারি না। সব সময় আমার চোখের সামনে তাকে রক্তাক্তভাবে দেখতে পাই।

শহীদ মিজানুর রহমানের মা শাহানাজ পারভীন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার বুক যারা খালি করেছে আমি তাদের বিচার চাই। শহীদ মিজানুর রহমানের পিতা মো. কামাল হোসেন বলেন, আমার একমাত্র ছেলে ছিল মিজানুর রহমান মোল্লা। আয়ের একমাত্র সম্বল ছিল আমার ছেলে। আমার একমাত্র ছেলেকে ঢাকায় পুলিশ গুলি হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই সরকারের কাছে। কেন আমার নির্দোষ ছেলেকে হত্যা করল। আমার বুক খালি করল। আমাদের কে দেখবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত