ওমর আলী সানি, আগৈলঝাড়া (বরিশাল)
মিজানুর রহমান সংসারে এমাত্র উপার্জনকারী। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় থেকে মুদি ব্যবসা করতেন। পিতা-মাতা গ্রামের বাড়ি থাকেন । তাদের সংসারে খরচ যোগাতে ব্যবসায়ী কাজের জন্য ঢাকা থাকতেন। তিনি ঢাকার রামপুরা বনশ্রী এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন ও দোকানঘর ভাড়া নিয়ে মুদি মনোহারির ব্যবসা করতেন।
২০২৪ সালের ১৯ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বাসায় খাওয়া দাওয়া শেষ করে দোকানে যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে গুলি করে । গুলি মিজানুরের বাম পায়ের হাঁটুতে লাগে। তিনি মাটিতে লুটে পড়েন। পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন মিজানুর। তিনি মোবাইলে তার স্ত্রী মারিয়া আফরিন তুসী ও বোন আছমা বেগমকে জানালে তারা গিয়ে প্রথমে এ্যাডভান্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা বলে গুলি বের করা সম্ভব না। তারপরে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। মিজানুর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই মারা যান। ২০ জুলাই সকালে ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ নিজ গ্রামে নিয়ে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। শহীদ মিজানুর রহমান বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের পূর্ব কেশব কাঠী গ্রামের মো. কামাল হোসেনের একমাত্র ছেলে।
শহীদ মিজানুর রহমানের স্ত্রী মারিয়া আফরিন তুসী বলেন, আমাদের একটি ২০ মাসের ছেলে সন্তান রয়েছে। আমি এখন কি নিয়ে বাঁচব। আমার ছেলে আব্বু আব্বু বলে ডাকে। আমার ছেলে তার আব্বুকে চিনল না। সকলে তাদের পিতার আদর পাবে আমার ছেলে পিতার আদর থেকে বঞ্চিত হলো। যারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। আমি আজও রাতে ঘুমাতে পারি না। সব সময় আমার চোখের সামনে তাকে রক্তাক্তভাবে দেখতে পাই।
শহীদ মিজানুর রহমানের মা শাহানাজ পারভীন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার বুক যারা খালি করেছে আমি তাদের বিচার চাই। শহীদ মিজানুর রহমানের পিতা মো. কামাল হোসেন বলেন, আমার একমাত্র ছেলে ছিল মিজানুর রহমান মোল্লা। আয়ের একমাত্র সম্বল ছিল আমার ছেলে। আমার একমাত্র ছেলেকে ঢাকায় পুলিশ গুলি হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই সরকারের কাছে। কেন আমার নির্দোষ ছেলেকে হত্যা করল। আমার বুক খালি করল। আমাদের কে দেখবে।
মিজানুর রহমান সংসারে এমাত্র উপার্জনকারী। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় থেকে মুদি ব্যবসা করতেন। পিতা-মাতা গ্রামের বাড়ি থাকেন । তাদের সংসারে খরচ যোগাতে ব্যবসায়ী কাজের জন্য ঢাকা থাকতেন। তিনি ঢাকার রামপুরা বনশ্রী এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন ও দোকানঘর ভাড়া নিয়ে মুদি মনোহারির ব্যবসা করতেন।
২০২৪ সালের ১৯ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বাসায় খাওয়া দাওয়া শেষ করে দোকানে যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে গুলি করে । গুলি মিজানুরের বাম পায়ের হাঁটুতে লাগে। তিনি মাটিতে লুটে পড়েন। পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন মিজানুর। তিনি মোবাইলে তার স্ত্রী মারিয়া আফরিন তুসী ও বোন আছমা বেগমকে জানালে তারা গিয়ে প্রথমে এ্যাডভান্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা বলে গুলি বের করা সম্ভব না। তারপরে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। মিজানুর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই মারা যান। ২০ জুলাই সকালে ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ নিজ গ্রামে নিয়ে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। শহীদ মিজানুর রহমান বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের পূর্ব কেশব কাঠী গ্রামের মো. কামাল হোসেনের একমাত্র ছেলে।
শহীদ মিজানুর রহমানের স্ত্রী মারিয়া আফরিন তুসী বলেন, আমাদের একটি ২০ মাসের ছেলে সন্তান রয়েছে। আমি এখন কি নিয়ে বাঁচব। আমার ছেলে আব্বু আব্বু বলে ডাকে। আমার ছেলে তার আব্বুকে চিনল না। সকলে তাদের পিতার আদর পাবে আমার ছেলে পিতার আদর থেকে বঞ্চিত হলো। যারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। আমি আজও রাতে ঘুমাতে পারি না। সব সময় আমার চোখের সামনে তাকে রক্তাক্তভাবে দেখতে পাই।
শহীদ মিজানুর রহমানের মা শাহানাজ পারভীন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার বুক যারা খালি করেছে আমি তাদের বিচার চাই। শহীদ মিজানুর রহমানের পিতা মো. কামাল হোসেন বলেন, আমার একমাত্র ছেলে ছিল মিজানুর রহমান মোল্লা। আয়ের একমাত্র সম্বল ছিল আমার ছেলে। আমার একমাত্র ছেলেকে ঢাকায় পুলিশ গুলি হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই সরকারের কাছে। কেন আমার নির্দোষ ছেলেকে হত্যা করল। আমার বুক খালি করল। আমাদের কে দেখবে।
জুলাই আন্দোলনে গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো এক যোদ্ধাকে বাদী দেখিয়ে অভিনব কায়দায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মৌলভীবাজার শহরে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন জসিমও। চৌমুহনায় মিছিলকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবুও পিছু হটেনি সাহস নিয়ে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে পুলিশ ও ছাত্রলীগকে লক্ষ্য
৩১ আগস্ট ২০২৫চব্বিশের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একজন যোদ্ধা তরুণ আলেম মাওলানা শফিকুর রহমান। আন্দোলন ঘিরে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় পতিত আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে তার বাগবিতন্ডার একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। রামপুরা এলাকায় আন্দোলনকারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করতে দেখা যায় তাকে।
২৯ আগস্ট ২০২৫তাইমুরের বাবা পুলিশের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভুঁইয়া তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘একজন মানুষকে মারতে কয়টা গুলি লাগে স্যার’। আমার ছেলের কি দোষ ছিল, কেন তাকে এত কষ্ট দিয়ে মারা হলো? কেন তার শরীরে দুইশ গুলি মারা হলো।
১৯ আগস্ট ২০২৫