উপজেলা প্রতিনিধি, তালতলী (বরগুনা)
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল পুরো দেশ। বিক্ষোভ দমনে কারফিউ জারি করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু ক্ষুধার তারণায় বসে থাকতে পারেননি রিকশাচালক আমির হোসেন তালুকদার।
রাজধানীর রামপুরা এলাকায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বের হয়েছিলেন রুটিরুজির খোঁজে। স্ত্রী-সন্তানের জন্য রোজগার করে ঘরে ফেরার কথা থাকলেও তা আর হয়নি, গুলি করে তার ক্ষুধা চিরতরে মিটিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসে দেশের যে কয়েকটি স্থান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল তার অন্যতম ছিল রামপুরা। সেখানে ছাত্র-জনতার কাছে ধরাশায়ী হয়েছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। ১৯ জুলাই পেটের দায়ে সেই রণক্ষেত্রে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছিলেন বরগুনার তালতলীর মৌপাড়া গ্রামের মৃত্যু আলতাফ তালুকদারের ছেলে আমির।
দিনটি শুক্রবার হওয়ায় দুপুরে টিভি সেন্টার এলাকায় রাস্তার পাশে রিকশা রেখে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে রিকশা নিয়ে আবার রাস্তায় উঠতেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। লুটিয়ে পড়েন সড়কে। ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। খবর পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করেন স্বজনরা। ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ গ্রামে নিয়ে দাফন করতে বাধ্য হন তারা।
আমিরের মৃত্যুর পর থমকে যায় তার সংসারের চাকা। পরিবারের একমাত্র উপার্জক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তিন সন্তান নিয়ে মহাবিপাকে পড়েন তার স্ত্রী আন্নি আক্তার। তার স্বামীর মৃত্যুর সঙ্গে গতি হারিয়েছে রিকশার চাকা, চলছে না সংসার। কোনো আর্থিক সাহায্য না পাওয়ায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন তারা। আত্মীয়স্বজনের সহায়তায় কোনোরকমে খেয়েপরে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করছেন আন্নি।
তিনি বলেন, ‘আমার আর কিছুই রইল না। স্বামী পুলিশের গুলিতে মারা না গিয়ে আমি মারা গেলে অন্তত সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়ত না। তিন সন্তান নিয়ে অথই সাগরে পড়ে গেছি। তাদের খাওয়াপরা শিক্ষা দেওয়ার মতো অর্থ আমার হাতে নেই। কীভাবে তাদের লালনপালন করব- সেই চিন্তা সারাক্ষণ আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। সরকারি সহায়তা পেলে দুমুঠো খেয়েপরে বাঁচতে পাড়তাম, সন্তানরা লেখাপড়া করতে পারত।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম বলেন, আমির হোসেন দীর্ঘদিন ঢাকায় রিকশা চালিয়ে সংসারে সচ্ছলতা আনার চেষ্টা চালিয়েছেন। জুলাই বিপ্লবের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে তার পরিবারের সদস্যরা। জরুরিভিত্তিতে তাদের আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। একই সঙ্গে একটি স্থায়ী ব্যবস্থা হলে তিনটি শিশুর বেড়ে ওঠা সহজ হতো।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, ‘নিহত আমির হোসেনের বাড়ি পরিদর্শন করেছি। তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল পুরো দেশ। বিক্ষোভ দমনে কারফিউ জারি করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু ক্ষুধার তারণায় বসে থাকতে পারেননি রিকশাচালক আমির হোসেন তালুকদার।
রাজধানীর রামপুরা এলাকায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বের হয়েছিলেন রুটিরুজির খোঁজে। স্ত্রী-সন্তানের জন্য রোজগার করে ঘরে ফেরার কথা থাকলেও তা আর হয়নি, গুলি করে তার ক্ষুধা চিরতরে মিটিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসে দেশের যে কয়েকটি স্থান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল তার অন্যতম ছিল রামপুরা। সেখানে ছাত্র-জনতার কাছে ধরাশায়ী হয়েছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। ১৯ জুলাই পেটের দায়ে সেই রণক্ষেত্রে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছিলেন বরগুনার তালতলীর মৌপাড়া গ্রামের মৃত্যু আলতাফ তালুকদারের ছেলে আমির।
দিনটি শুক্রবার হওয়ায় দুপুরে টিভি সেন্টার এলাকায় রাস্তার পাশে রিকশা রেখে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে রিকশা নিয়ে আবার রাস্তায় উঠতেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। লুটিয়ে পড়েন সড়কে। ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। খবর পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করেন স্বজনরা। ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ গ্রামে নিয়ে দাফন করতে বাধ্য হন তারা।
আমিরের মৃত্যুর পর থমকে যায় তার সংসারের চাকা। পরিবারের একমাত্র উপার্জক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তিন সন্তান নিয়ে মহাবিপাকে পড়েন তার স্ত্রী আন্নি আক্তার। তার স্বামীর মৃত্যুর সঙ্গে গতি হারিয়েছে রিকশার চাকা, চলছে না সংসার। কোনো আর্থিক সাহায্য না পাওয়ায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন তারা। আত্মীয়স্বজনের সহায়তায় কোনোরকমে খেয়েপরে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করছেন আন্নি।
তিনি বলেন, ‘আমার আর কিছুই রইল না। স্বামী পুলিশের গুলিতে মারা না গিয়ে আমি মারা গেলে অন্তত সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়ত না। তিন সন্তান নিয়ে অথই সাগরে পড়ে গেছি। তাদের খাওয়াপরা শিক্ষা দেওয়ার মতো অর্থ আমার হাতে নেই। কীভাবে তাদের লালনপালন করব- সেই চিন্তা সারাক্ষণ আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। সরকারি সহায়তা পেলে দুমুঠো খেয়েপরে বাঁচতে পাড়তাম, সন্তানরা লেখাপড়া করতে পারত।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম বলেন, আমির হোসেন দীর্ঘদিন ঢাকায় রিকশা চালিয়ে সংসারে সচ্ছলতা আনার চেষ্টা চালিয়েছেন। জুলাই বিপ্লবের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে তার পরিবারের সদস্যরা। জরুরিভিত্তিতে তাদের আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। একই সঙ্গে একটি স্থায়ী ব্যবস্থা হলে তিনটি শিশুর বেড়ে ওঠা সহজ হতো।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, ‘নিহত আমির হোসেনের বাড়ি পরিদর্শন করেছি। তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।’
জুলাই আন্দোলনে গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো এক যোদ্ধাকে বাদী দেখিয়ে অভিনব কায়দায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মৌলভীবাজার শহরে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন জসিমও। চৌমুহনায় মিছিলকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবুও পিছু হটেনি সাহস নিয়ে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে পুলিশ ও ছাত্রলীগকে লক্ষ্য
৩১ আগস্ট ২০২৫চব্বিশের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একজন যোদ্ধা তরুণ আলেম মাওলানা শফিকুর রহমান। আন্দোলন ঘিরে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় পতিত আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে তার বাগবিতন্ডার একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। রামপুরা এলাকায় আন্দোলনকারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করতে দেখা যায় তাকে।
২৯ আগস্ট ২০২৫তাইমুরের বাবা পুলিশের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভুঁইয়া তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘একজন মানুষকে মারতে কয়টা গুলি লাগে স্যার’। আমার ছেলের কি দোষ ছিল, কেন তাকে এত কষ্ট দিয়ে মারা হলো? কেন তার শরীরে দুইশ গুলি মারা হলো।
১৯ আগস্ট ২০২৫