বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়াসহ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। রোববার সবশেষ সারা দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি ও শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এদিন সকাল থেকে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় তারা আন্দোলন শুরু করে শিক্ষক-কর্মচারীরা। ফলে রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের সরাতে পুলিশ লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি ছুড়লে কয়েকজন আহত হন।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যেতে দেখা যায়। আটকের পর কয়েকজকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
মূলত বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলমের নেতৃত্বে একটি দল আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ৫ মিনিটের মধ্যে রাস্তা ছেড়ে দিতে আলটিমেটাম দেয়।
ডিসি মাসুদ শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা শহীদ মিনারে চলে যান; পাঁচ মিনিট সময় দেওয়া হলো। পাঁচ মিনিট পরে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। আপনাদের নেতারা শহীদ মিনারে চলে গেছেন। সুতরাং আপনারা এখানে রাস্তা অবরোধ করবেন না। এরপরই পুলিশ রাস্তা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের সরাতে লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি ছোড়ে।

শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল তিন দাবিতে আন্দোলন করছেন। ১. বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়া। ২. শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা করা। ৩. কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়ার ভাতা ৫০০ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ করার বিষয়ে সম্মতি দেয় অর্থ বিভাগ। এরপর এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে আপত্তি শুরু হয়। শিক্ষকেরা বলে আসছেন মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বৃদ্ধি শিক্ষকদের জন্য ‘লজ্জার বিষয়’। তাঁরা মূল বেতনের অন্তত ২০ শতাংশ হারে (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়িভাড়া দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।


সোমবার থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে অচল প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক