সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত ৬ হাজার ৫৩১ জন দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। তৃতীয় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত হন তারা।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ চূড়ান্ত কার্যক্রম এবং অপেক্ষমাণ তালিকা থেকেও নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপ নিয়ে প্রহসন যেন থামছেই না।
মানবন্ধনে তারা বলেন, গত বছরের ১১ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৫ ডিসেম্বর জেলা শিক্ষা অফিস এবং ৮ ডিসেম্বর স্কুল পদায়ন সম্পর্কিত নিয়োগ আদেশ জারি করা হয়। নিজ নিজ জেলা সিভিল সার্জনে মেডিকেল টেস্ট এবং জেলা শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদানও সম্পন্ন করা হয়েছে। অনেক জেলার কিছু কিছু উপজেলায় চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তরা যোগদান পত্রও হাতে পেয়েছেন। চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরও যোগদান করতে না পেরে ৬ হাজার ৫৩১টি পরিবার এ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য ভুক্তভোগী এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে। সবাই এক প্রকার মানসিক বিপর্যয় ও মানবেতর জীবনযাপন করছি।
ভুক্তভোগীরা বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকেরই বয়স শেষ, তাদের আর কোনো চাকরিতে আবেদন করার সুযোগও নেই। তাদের জীবনের দায়ভার আসলে কে নেবে? কর্তৃপক্ষ কেন এর দ্রুত সমাধান করছে না? আমরা কার কাছে এর যথাযথ বিচার চাইবো? ফলাফল প্রকাশের দীর্ঘদিন পার হওয়ার পরও যোগদান করতে পারছি না। আমাদের একটাই দাবি দ্রুত এর সমাধান করে আমাদের যোগদানের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। ৬ হাজার ৫৩১ জন কেন নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে? এই মুহূর্তে আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে। আমরা অনতিবিলম্বে যোগদান করতে চাই।’
মানববন্ধনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তৃতীয় ধাপের সমন্বয়ক তালুকদার পিয়াস, জেরিন, নওরীন, লিজা আক্তারসহ প্রায় দুই থেকে তিন শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

