আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

খালেদা জিয়াকে নিয়ে হাসিনার যত ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ

বিশেষ প্রতিনিধি

খালেদা জিয়াকে নিয়ে হাসিনার যত ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের সাগরে ভাসছে সারা দেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান শোক জানিয়েছেন। খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নাগরিকরা পোস্ট দিয়েছেন। পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিদ্রুপ ও বিষোদগার করে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন সময়ে করা বক্তব্যগুলোও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাসছে।

‘খালেদা জিয়ার জন্য কেনো এতো মায়াকান্না’

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা বিএনপির চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য এত মায়াকান্না কেন? জিয়া ছিলেন খুনি। খুনির স্ত্রী খুনি। তার ছেলেও তাই।

তিনি বলেন, এরা ক্ষমতায় থাকতে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। খালেদা জিয়া শত শত জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছেন। প্রতিহিংসা থেকে মানুষকে অপমান করেছেন। উনি এত অন্যায় করেছেন যে আল্লাহও সহ্য করছেন না। তার জন্য এত মায়াকান্না কেন?’ এমন একটি ভিডিও নিজের ফেইসবুকে শেয়ার দিয়ে ফয়েজ আহমেদ শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্যে করে লিখেছেন, ‘এবার আপনি খুশি তো?’ নীচে সেলিম নামে একজন কমেন্ট করেছেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আদালত ঘোষিত রং হেডেড পারসন শেখ হাসিনা এখন দেশ থেকে পালিয়ে তার স্বদেশভূমি ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন।’ কামরুল হাসান নামে একজন লিখেছেন, ‘গালিটা দেওয়া দরকার। তবুও দিলাম না। জাতির কলঙ্ক শেখ হাসিনা।’

বয়স আশির ওপর, সময় হয়ে গেছে; কান্নাকাটি করে লাভ নাই

২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার মেথডিস্ট সেন্ট্রাল হলে নাগরিক সংবর্ধনায় দেওয়া বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা স্যাংশন দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার শুরু করেন। তিনি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। হাসিনা বলেন, তার (খালেদা জিয়া) বয়স আশির ওপরে হয়ে গেছে। ওর এখন যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। কান্নাকাটি করে লাভ নেই।’

বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে ফ্যাসিস্ট হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, পৃথিবীর কোন দেশের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায় বলতে পারেন? কোনো দেশে পাঠায়? তারা এটা দাবি করে। আমাদের কেউ কেউ আঁতেল আছে। তারা বলে, একটু কী সহানুভূতি দেখাতে পারেন না! সে এভারকেয়ার, বাংলাদেশের সবথেকে দামি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আর রোজই শুনি এই মরে মরে, এই যায় যায়। বয়সতো আশির ওপর। মৃত্যুর সময় তো হয়ে গেছে। তার মধ্যে অসুস্থ। এখানে এত কান্নাকাটি করে লাভ নাই।’

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ

এলাকার খবর
Loading...