কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে একগুচ্ছ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২১: ১৮

দেশের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচেছ সরকার। এজন্য নানা পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। বিদেশের চাহিদা অনুযায়ী জনশক্তি তৈরি করতে কারিগরি শিক্ষাকে সাজানো হবে। একইভাবে এবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্তি ও উপবৃত্তি চালুসহ আলিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি কওমি শিক্ষা নিয়েও নানা চিন্তা করছে মন্ত্রণালয়টি।

এজন্য বিশ্ববিখ্যাত গবেষকদের নিয়ে গবেষণা কাজ, শীর্ষ স্কলারদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে কনফারেন্স করারও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ-ইরাব সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ.ম কবিরুল ইসলাম এসব পরিকল্পনার কথা জানান।

তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। এই শিক্ষা ছাড়া দেশের ব্যাপক বেকারত্ব দূর করা সম্ভব নয়। এর গুরুত্ব বাড়াতেই হবে, তা নাহলে আমরা উন্নতি করতে পারব না। আগামীতে এই শিক্ষাকে শিখরে নিয়ে যেতেই হবে।

অন্যদিকে মাদ্রাসা শিক্ষাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দেশের ৯২ ভাগ মানুষ মুসলমান। তাদের বড় অংশ সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠাতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এমনকি অনেক স্কুল-কলেজে পড়া অভিভাবকও তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠাতে চান। তাদেরকে বাদ দিয়ে চলা যাবে না। আবার মাদ্রাসার দুটি ধারা আছে, আলিয়া ও কওমি। এই দুই শাখা নিয়েই স্বপ্নের কথা জানান কারিগরি সচিব।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে চার বছরের অনার্স কোর্স এবং তিন বছরের পাস কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে এক বছরের কারিগরি কোর্স চালু করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে।

কারিগরি ও মাদ্রাসা সচিব বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ইবতেদায়ি মাদ্রাসা নিয়ে দুটি উদ্যোগ নিয়েছি। প্রথমত, এসব মাদ্রাসা জাতীয়করণ, অন্তত প্রথম ধাপ হিসেবে এমপিওভুক্ত করা। এরইমধ্যে এ নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। দ্বিতীয়ত, এসব মাদ্রাসায় বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের জন্য আলাদা প্রজেক্ট করার নির্দেশনা দিয়েছি, তারা একটি ডিপিপি তৈরির প্রক্রিয়া শিগগির শুরু করবেন। এসময় তিনি ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তিটা চালুর উদ্যোগ ও মিড ডে মিল চালুর প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে বলে জানান।

মতবিনিময় সভায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম (মাদ্রাসা অনুবিভাগ), ড. মো. আয়াতুল ইসলাম (কারিগরি অনুবিভাগ), সামসুর রহমান খান (প্রশাসন ও অর্থ), ড. মো. সিরাজুল ইসলাম (উন্নয়ন অনুবিভাগ), মো. আজিজ তাহের খান (অডিট ও আইন), ইরাব সভাপতি ফারুক হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমান, ইরাবের সাবেক সভাপতি সাব্বির নেওয়াজ, নিজামুল হক, শরীফুল আলম সুমন, মীর মোহাম্মদ জসিমসহ সংগঠনটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

দেশ
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত