আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটি এই ফোরামেই নিষ্পত্তি হওয়া উচিত : আখতার হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার
তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটি এই ফোরামেই নিষ্পত্তি হওয়া উচিত : আখতার হোসেন

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুটি এত গুরুত্বপূর্ণ যে, এটি এই ফোরামেই সম্পূর্ণভাবে নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। তা না হলে বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদি অনিশ্চয়তার দিকে যাবে।”

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপি বলেছে বাছাই কমিটি একমত না হলে বিষয়টি সংসদে পাঠানো যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেন। মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের ফাঁকে সাংবাদিকদের বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব বলেন, আগের তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় সাবেক বিচারপতিকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রাখার বিধান ছিল, যা বর্তমান প্রস্তাবে বাতিল করা হয়েছে। এবার একটি রাজনৈতিক বাছাই কমিটি প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দলের একজন প্রতিনিধি—মিলে প্রার্থী বাছাই করবেন।

যদি ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব না হয়, তাহলে ‘র‍্যাংক চয়েজ ভোটিং’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিধান থাকছে। এ প্রক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের একজন করে বিচারপতি যুক্ত হয়ে মোট সাতজন সদস্য ভোটে অংশ নেবেন। এই বিচারপতিরা নিজে থেকে কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবেন না—তারা শুধু ভোট দেবেন।

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি এখনো একটি খসড়া এবং দলীয়ভাবে তারা তা পর্যালোচনা করছেন। তিনি বলেন, “এই খসড়ায় আমরা মৌলিক সংস্কারের প্রতিটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত দেখতে চাই। যদি তা বাদ দেওয়া হয়, তাহলে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে—সই করব কি না।”

তিনি জানান, আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে তারা ‘লিগাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার’ (LFO) করার প্রস্তাব দিয়েছেন। একই সঙ্গে, যে সংস্কারগুলো রাজনৈতিক দলগুলো সম্মিলিতভাবে মেনে নিচ্ছে, তা যেন পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসা কোনো দল উপেক্ষা করতে না পারে—এই নিশ্চয়তাও চান তারা।

সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবও আসে তার বক্তব্যে। আখতার বলেন, “যদি গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান পুনর্লিখন করা যায়, তাহলে সেগুলো সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। আর এই সংস্কারগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন যেন ভবিষ্যতে প্রণীত না হয়—সে নিশ্চয়তার বিধান রাখার প্রস্তাবও দিয়েছি।”

সংলাপের শেষ দিকে তিনি বলেন, “আমরা চাই, মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব এই সনদ বাস্তবায়নের পথে যাওয়া হোক। দীর্ঘমেয়াদি বিতর্ক বা জটিলতায় আমরা যেতে চাই না।”

আখতার হোসেন জানান, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে খুব শিগগিরই জুলাই সনদ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক বক্তব্য কমিশনে জমা দেওয়া হবে এবং পরে তা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরা হবে।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন