স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি

খাগড়াছড়ির ঘটনায় অপরাধীদের ছাড় দেবে না সরকার

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৪০

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিন পাহাড়ি নিহত এবং মেজরসহ ১৩ জন সেনাসদস্য, গুইমারা থানার ওসিসহ তিন পুলিশ সদস্য এবং আরও অনেকে আহতের ঘটনায় কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে সরকার।

রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুঃখও প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপ্রধান তথ্য অফিসার/পরিচালক) ফয়সল হাসানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিনজন নিহত এবং মেজরসহ ১৩ জন সেনাসদস্য, গুইমারা থানার ওসিসহ তিন পুলিশ সদস্য এবং আরও অনেকে আহতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে সে পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধারণ ও শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক আহসান হাবিব পলাশ গণমাধ্যমকে জানান, মরদেহগুলো খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

পাহাড়ি এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চলমান অবরোধ, মিছিল ও সমাবেশের পর সহিংস পরিস্থিতির জেরে খাগড়াছড়িতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল থেকে খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে এবং গাছের গুড়ি দিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়।

শনিবার অবরোধ চলাকালে দুপুরের পর সদর উপজেলা পরিষদ এলাকা, মহাজনপাড়া, নারিকেল বাগান, চেঙ্গী স্কোয়ার ও শহীদ কাদের সড়কে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

ঘটনার সময় স্বনির্ভর ও নারিকেল বাগান এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকানে হামলা চালানো হয়। সহিংসতা বাড়তে থাকায় দুপুর থেকে খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পাশাপাশি ৭ প্লাটুন বিজিবি, সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত