
এমরান এস হোসাইন

সংস্কার বাস্তবায়নে চলতি মাসেই শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় সংলাপ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন বিদেশ সফর শেষে এ মাসের শেষভাগে এ সংলাপ শুরু হতে পারে। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হবে।
সরকারের পক্ষে ওই কমিশন সংলাপে নেতৃত্ব দেবেন। রাজনৈতিক দল ছাড়াও জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা পালনকারী ছাত্রসমাজ, এনজিও প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ১৬ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জানুয়ারিতেই সংস্কার বাস্তবায়নে সব রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় সংলাপ অনুষ্ঠানের কথা জানিয়েছিলেন।
ওই ভাষণে ড. ইউনূস বলেছিলেন, ছয় কমিশনের চেয়ারম্যানদের নিয়ে একটি ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ প্রতিষ্ঠা করার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। এর কাজ হবে রাজনৈতিক দলসহ সব পক্ষের সঙ্গে মতামত বিনিময় করে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপন হবে সেগুলো চিহ্নিত করা এবং বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করা।
উল্লেখ্য, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ৫টি সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। কমিশনগুলো হলো সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এ ছাড়া ৩১ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার কথা রয়েছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫টি কমিশনই তাদের প্রতিবেদন এরই মধ্যে চূড়ান্ত করেছে। ১৫ জানুয়ারি তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেবেন।
রিপোর্ট জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন আমার দেশকে বলেন, আমরা প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছি। ইনশাআল্লাহ ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে এটি হস্তান্তর করব। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য আব্দুল আলীমও ১৫ জানুয়ারি রিপোর্ট দেবেন বলে আমার দেশকে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন গঠনের কথা জানিয়েছিলেন। সংস্কার কমিশনের সদস্যদের দিয়ে তার নেতৃত্বে এই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হবে বলেও ওই ভাষণে তিনি জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের কার্যক্রম চলমান। দু-এক দিনের মধ্যেই এই কমিশন গঠন করা হবে। এই কমিশনের চেয়ারম্যান হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা এবং ভাইস চেয়ারম্যান হচ্ছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। অন্য ৫টি সংস্কার কমিশনের সভাপতি এ কমিশনের সদস্য হচ্ছেন। এ ছাড়া সরকারের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টাও এই কমিশনের সদস্য থাকতে পারেন।
জানা যায়, প্রধান উপদেষ্টা ২০ জানুয়ারি থেকে চার দিনের জন্য বিদেশ সফরে যাবেন। সেখান থেকে এসেই সংস্কার বিষয়ে সংলাপের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবেন। বিদেশ সফরের আগে তিনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের কাজ শেষ করে কমিশনের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে কোন প্রক্রিয়ায়, কাদের সঙ্গে, কীভাবে সংলাপ করা হবে সেটা চূড়ান্ত করা হবে।
সংলাপের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমরা আশা করছি ৫টি সংস্কার কমিশন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবেন। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বসে সংলাপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
সংলাপে সরকার পক্ষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নেতৃত্ব দেবে। প্রফেসর ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণে যেমনটি জানিয়েছিলেন- তার নেতৃত্বে এই কমিশন হচ্ছে। সংস্কার কমিশনগুলোর প্রধানরা এর সদস্য হবেন। এর বাইরে অন্য কেউ থাকছেন কি না, এই মুহূর্তে সেটা বলতে পারছি না।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রথম ধাপে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। গত ৩ অক্টোবর নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন হয়েছিল। সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছিল ৬ অক্টোবর।
এই পাঁচ কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। ৫টি কমিশনের সময় সপ্তাহ দু-একের মতো বাড়িয়ে কমিটির রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ১৫ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়। আর বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় এক মাসের মতো বাড়িয়ে করা হয় ৩১ জানুয়ারি।

সংস্কার বাস্তবায়নে চলতি মাসেই শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় সংলাপ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন বিদেশ সফর শেষে এ মাসের শেষভাগে এ সংলাপ শুরু হতে পারে। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হবে।
সরকারের পক্ষে ওই কমিশন সংলাপে নেতৃত্ব দেবেন। রাজনৈতিক দল ছাড়াও জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা পালনকারী ছাত্রসমাজ, এনজিও প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ১৬ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জানুয়ারিতেই সংস্কার বাস্তবায়নে সব রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় সংলাপ অনুষ্ঠানের কথা জানিয়েছিলেন।
ওই ভাষণে ড. ইউনূস বলেছিলেন, ছয় কমিশনের চেয়ারম্যানদের নিয়ে একটি ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ প্রতিষ্ঠা করার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। এর কাজ হবে রাজনৈতিক দলসহ সব পক্ষের সঙ্গে মতামত বিনিময় করে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপন হবে সেগুলো চিহ্নিত করা এবং বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করা।
উল্লেখ্য, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ৫টি সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। কমিশনগুলো হলো সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এ ছাড়া ৩১ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার কথা রয়েছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫টি কমিশনই তাদের প্রতিবেদন এরই মধ্যে চূড়ান্ত করেছে। ১৫ জানুয়ারি তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেবেন।
রিপোর্ট জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন আমার দেশকে বলেন, আমরা প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছি। ইনশাআল্লাহ ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে এটি হস্তান্তর করব। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য আব্দুল আলীমও ১৫ জানুয়ারি রিপোর্ট দেবেন বলে আমার দেশকে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন গঠনের কথা জানিয়েছিলেন। সংস্কার কমিশনের সদস্যদের দিয়ে তার নেতৃত্বে এই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হবে বলেও ওই ভাষণে তিনি জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের কার্যক্রম চলমান। দু-এক দিনের মধ্যেই এই কমিশন গঠন করা হবে। এই কমিশনের চেয়ারম্যান হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা এবং ভাইস চেয়ারম্যান হচ্ছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। অন্য ৫টি সংস্কার কমিশনের সভাপতি এ কমিশনের সদস্য হচ্ছেন। এ ছাড়া সরকারের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টাও এই কমিশনের সদস্য থাকতে পারেন।
জানা যায়, প্রধান উপদেষ্টা ২০ জানুয়ারি থেকে চার দিনের জন্য বিদেশ সফরে যাবেন। সেখান থেকে এসেই সংস্কার বিষয়ে সংলাপের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবেন। বিদেশ সফরের আগে তিনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের কাজ শেষ করে কমিশনের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে কোন প্রক্রিয়ায়, কাদের সঙ্গে, কীভাবে সংলাপ করা হবে সেটা চূড়ান্ত করা হবে।
সংলাপের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমরা আশা করছি ৫টি সংস্কার কমিশন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবেন। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বসে সংলাপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
সংলাপে সরকার পক্ষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নেতৃত্ব দেবে। প্রফেসর ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণে যেমনটি জানিয়েছিলেন- তার নেতৃত্বে এই কমিশন হচ্ছে। সংস্কার কমিশনগুলোর প্রধানরা এর সদস্য হবেন। এর বাইরে অন্য কেউ থাকছেন কি না, এই মুহূর্তে সেটা বলতে পারছি না।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রথম ধাপে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। গত ৩ অক্টোবর নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন হয়েছিল। সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছিল ৬ অক্টোবর।
এই পাঁচ কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। ৫টি কমিশনের সময় সপ্তাহ দু-একের মতো বাড়িয়ে কমিটির রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ১৫ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়। আর বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় এক মাসের মতো বাড়িয়ে করা হয় ৩১ জানুয়ারি।

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে এবং ভোটগ্রহণ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
পুলিশের পোশাকে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী এই বাহিনীর সদস্যরা নতুন নকশা ও ভিন্ন রঙের ইউনিফর্ম পরিধান করবেন। নতুন ইউনিফর্মের রঙ নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আয়রন’ বা লোহা কালার।
৬ ঘণ্টা আগে
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, উন্নত চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তিরাই সমাজে শান্তি, ন্যায়বিচার ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ তৈরি করে। চরিত্রবান মানুষ সমাজকে করে তোলে সুন্দর, নিরাপদ ও মানবিক। আর চরিত্রহীন মানুষ অনাচার, দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। চরিত্রবান মানুষ যেমন নিজের কল্যাণ বয়ে আনে, তেমনি সমাজকেও আলোকিত করে তোল
৯ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমবায় খাতকে আধুনিক ও গতিশীল করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, সঞ্চয় ও ঋণদান এবং কুটিরশিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে