ভ্যাট কমল বিস্কুট ও কেকের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭: ৪৯

অবশেষে বিস্কুট ও কেকের উপর আরোপিত ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মেশিন কিংবা হাতে প্রস্তত-উভয় ধরনের বিস্কুট ও কেকের উপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট কার্যকর হবে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এনবিআর।

এর আগে গত ৯ জানুয়ারি বিস্কুট ও কেকের উপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছিল। দেড় মাসের মাথায় তা কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো। সে হিসাবে ভ্যাটের পরিমাণ কমলেও আগের তুলনায় ভ্যাটের হার বেড়েছে আড়াই শতাংশ।

দেড় মাসের মাথায় বিস্কুট-কেকের ওপর থেকে ভ্যাটের হার কমানো হয়েছে। মেশিনে প্রস্তুত ও হাতে বানানো—উভয় ধরনের বিস্কুটের ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। বিস্কুটের মতো কেকের ওপরও একই হারে ভ্যাট আরোপ হবে।

ভ্যাট কমানো সংক্রান্ত এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মেশিনে প্রস্তুত বিস্কুট, হাতে তৈরি বিস্কুট (প্রতি কেজি ২০০ টাকার বেশি) এবং কেকের (প্রতি কেজি ৩০০ টাকার বেশি) ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য হবে।

ভ্যাট বাড়ানো হলেও গত দেড় মাসে বিস্কুট ও কেক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্কুট-কেকের দাম বাড়ায়নি। ভ্যাটের হার কমানোর জন্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এনবিআরসহ সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে। এরই প্রেক্ষিতে এনবিআর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশে ভ্যাট নামিয়ে আনলো। তবে বর্ধিত ভ্যাট হার কমানোর পরও তা আগের ভ্যাট হারের চেয়ে আড়াই শতাংশ বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বিস্কুট-কেকের বিদ্যমান দাম বহাল রাখতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

এদিকে খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, বিস্কুটের চাহিদার ৮০-৯০ শতাংশই দেশে উৎপাদিত হয়। বাজারে ৫, ১০ ও ১৫ টাকা দামের বিস্কুটের প্যাকেটের চাহিদা বেশি। সীমিত আয়ের মানুষ এসব বিস্কুট বেশি খান। তাই ভ্যাট বাড়ানোর ফলে এসব বিস্কুটের দাম বাড়লে তাতে সীমিত আয়ের মানুষই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এ কারণে বিস্কুট–কেকের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত