স্টাফ রিপোর্টার
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) প্রোটোকল অনুযায়ী সব নিয়ম মেনেই কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে ।
তবে বিমানবন্দরগুলোতে সিভিল এভিয়েশনের অগ্নি নির্বাপনের সক্ষমতা থাকলেও সেটা আরো বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক।
মঙ্গলবার বেবিচক আয়োজিত বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
চেয়ারম্যান বলেন, বিমানবন্দরে সপ্তাহে এক দিন ফায়ার ড্রিল করা হয়। আগুন লাগার পরও আইকাওর সব নিয়ম মেনেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, আগুন নেভাতে আসা কোনও ফায়ার ভেহিকেলকে বাধা দেওয়া হয়নি।
তিনি বিষয়টি নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা এমন কোনো অভিযোগ করেননি। তবে যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেক গুজবও ছড়ানো হচ্ছে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এগুলো পরিহার করতে হবে।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের আরও দল যোগ দিলে নিয়ন্ত্রণে আসে। আনুমানিক দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনাল বিশেষ করে ইমপোর্ট কার্গো টার্মিনাল এলাকায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
প্রথমে টাওয়ার থেকে ধোঁয়া দেখা যায়, এরপর খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই । তবে এটি এখনও তদন্তাধীন বিষয়। একাধিক তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।তদন্তের পরই বলা যাবে প্রকৃত কারন। তিনি বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরের এই আগুনের ঘটনায় আইকাওর মানদণ্ডে কোনো প্রভাব পড়বে না। কার্গো অপারেশন এক দিনের জন্যও বন্ধ রাখা হয়নি; নয় নম্বর গেট দিয়ে কার্যক্রম চালু রয়েছে।
তিনি বলেন, আগুনের সময় উত্তর পাশে বিমানের হ্যাঙ্গার এবং দক্ষিণ পাশে মূল টার্মিনাল ভবন ছিল, কিন্তু আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় আগুন সেই অংশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েনি। আল্লাহর রহমতে কোনও প্রাণহানি ঘটেনি।
মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক আরও বলেন, আগুন লাগার সময় টার্মিনালের ভেতরে বেশ কয়েকটি বিমান ছিল। আমরা দ্রুত সেগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছি, যাতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকে। উত্তর ও দক্ষিণ উভয় পাশেই কাট-অফ মেকানিজম ব্যবহার করে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হই। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলেই বড় বিপর্যয় এড়ানো গেছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান জানান, কুরিয়ারের খোপ ভেঙে প্রাথমিকভাবে আগুন নেভাতে ব্যর্থ হয় বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট। পরবর্তীতে আগুনে ছড়িয়ে পড়ে পুরো কমপ্লেক্স।
এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, রানওয়ের অ্যাপ্রোনে যে পণ্যসামগ্রী স্তুপ করে রাখা হয়েছিল, যার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশে সমস্যা হয় । নিয়ম অনুযায়ী ২১ দিনের মধ্যে এসব পণ্য অপসারণের কথা। কিন্তু সেখানে বছর ধরে পণ্য পড়ে থাকে। তিনি জানান, কার্গো ভিলেজের ভবনটি সিভিল অ্যাভিয়েশনের হলেও ভেতরের কার্যক্রম পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ঢাকা কাস্টমস হাউস ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা।
তবে তদন্তের স্বার্থে কোনো সংস্থার ওপর দায় দিতে চান না এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কার্গো ভিলেজে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে কোনো আমদানি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে। দাহ্য পদার্থের কারণেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গোতে লাগা আগুনের তীব্রতা বেশি ছিল।
এ কারণে প্রাথমিক অবস্থায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ফায়ার ব্রিগেডসহ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ৪০টির বেশি ফায়ার ভেহিকেল যোগ দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অনেকগুলো সংস্থা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তাদের তদন্ত শেষে আগুনের প্রকৃত ও সুনিশ্চিত কারণ জানা যাবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আর্থিক বিষয়টি সমঝোতা না হওয়ায় বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে নতুন কার্গো ভবন বুঝে নেওয়া যাচ্ছে না। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যে টাকা দাবি করছে তার সঙ্গে তাদের প্রায় হাজার কোটি টাকার একটি গ্যাপ রয়েছে।
মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, আগুনের সময় ১৫টি ফ্লাইট ভিন্ন ভিন্ন রুটে পাঠানো হয়েছে। আর এ সময় বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় যত যাত্রী আটকে পড়েছিলেন তাদের পরদিন বিকাল ৪টার মধ্যে নির্ধারিত গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) প্রোটোকল অনুযায়ী সব নিয়ম মেনেই কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে ।
তবে বিমানবন্দরগুলোতে সিভিল এভিয়েশনের অগ্নি নির্বাপনের সক্ষমতা থাকলেও সেটা আরো বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক।
মঙ্গলবার বেবিচক আয়োজিত বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
চেয়ারম্যান বলেন, বিমানবন্দরে সপ্তাহে এক দিন ফায়ার ড্রিল করা হয়। আগুন লাগার পরও আইকাওর সব নিয়ম মেনেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, আগুন নেভাতে আসা কোনও ফায়ার ভেহিকেলকে বাধা দেওয়া হয়নি।
তিনি বিষয়টি নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা এমন কোনো অভিযোগ করেননি। তবে যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেক গুজবও ছড়ানো হচ্ছে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এগুলো পরিহার করতে হবে।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের আরও দল যোগ দিলে নিয়ন্ত্রণে আসে। আনুমানিক দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনাল বিশেষ করে ইমপোর্ট কার্গো টার্মিনাল এলাকায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
প্রথমে টাওয়ার থেকে ধোঁয়া দেখা যায়, এরপর খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই । তবে এটি এখনও তদন্তাধীন বিষয়। একাধিক তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।তদন্তের পরই বলা যাবে প্রকৃত কারন। তিনি বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরের এই আগুনের ঘটনায় আইকাওর মানদণ্ডে কোনো প্রভাব পড়বে না। কার্গো অপারেশন এক দিনের জন্যও বন্ধ রাখা হয়নি; নয় নম্বর গেট দিয়ে কার্যক্রম চালু রয়েছে।
তিনি বলেন, আগুনের সময় উত্তর পাশে বিমানের হ্যাঙ্গার এবং দক্ষিণ পাশে মূল টার্মিনাল ভবন ছিল, কিন্তু আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় আগুন সেই অংশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েনি। আল্লাহর রহমতে কোনও প্রাণহানি ঘটেনি।
মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক আরও বলেন, আগুন লাগার সময় টার্মিনালের ভেতরে বেশ কয়েকটি বিমান ছিল। আমরা দ্রুত সেগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছি, যাতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকে। উত্তর ও দক্ষিণ উভয় পাশেই কাট-অফ মেকানিজম ব্যবহার করে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হই। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলেই বড় বিপর্যয় এড়ানো গেছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান জানান, কুরিয়ারের খোপ ভেঙে প্রাথমিকভাবে আগুন নেভাতে ব্যর্থ হয় বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট। পরবর্তীতে আগুনে ছড়িয়ে পড়ে পুরো কমপ্লেক্স।
এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, রানওয়ের অ্যাপ্রোনে যে পণ্যসামগ্রী স্তুপ করে রাখা হয়েছিল, যার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশে সমস্যা হয় । নিয়ম অনুযায়ী ২১ দিনের মধ্যে এসব পণ্য অপসারণের কথা। কিন্তু সেখানে বছর ধরে পণ্য পড়ে থাকে। তিনি জানান, কার্গো ভিলেজের ভবনটি সিভিল অ্যাভিয়েশনের হলেও ভেতরের কার্যক্রম পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ঢাকা কাস্টমস হাউস ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা।
তবে তদন্তের স্বার্থে কোনো সংস্থার ওপর দায় দিতে চান না এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কার্গো ভিলেজে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে কোনো আমদানি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে। দাহ্য পদার্থের কারণেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গোতে লাগা আগুনের তীব্রতা বেশি ছিল।
এ কারণে প্রাথমিক অবস্থায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ফায়ার ব্রিগেডসহ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ৪০টির বেশি ফায়ার ভেহিকেল যোগ দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অনেকগুলো সংস্থা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তাদের তদন্ত শেষে আগুনের প্রকৃত ও সুনিশ্চিত কারণ জানা যাবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আর্থিক বিষয়টি সমঝোতা না হওয়ায় বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে নতুন কার্গো ভবন বুঝে নেওয়া যাচ্ছে না। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যে টাকা দাবি করছে তার সঙ্গে তাদের প্রায় হাজার কোটি টাকার একটি গ্যাপ রয়েছে।
মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, আগুনের সময় ১৫টি ফ্লাইট ভিন্ন ভিন্ন রুটে পাঠানো হয়েছে। আর এ সময় বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় যত যাত্রী আটকে পড়েছিলেন তাদের পরদিন বিকাল ৪টার মধ্যে নির্ধারিত গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে।
মসজিদ ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা প্রণয়ন বিষয়ে কর্মশালা করেছে বাংলাদেশ মসজিদ মিশন। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কাটাবন সেন্ট্রাল পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ কর্মশালা সভাপতিত্ব করেন মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন।
২৪ মিনিট আগেতৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রত্যেকে নিজ নিজ কাজ করবে- আমরা এটাই মনে করি। মানবাধিকার সংগঠনগুলো তাদের কাজ করবে। তবে সরকারের পক্ষে তাদের সবকিছু মেনে নেওয়া কখনোই সম্ভব হবে না।
৪১ মিনিট আগেজুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে বিশেষ আদেশের খসড়া আজ বুধবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দেবেন বিশেষজ্ঞরা।
২ ঘণ্টা আগেদেশে গত একযুগে ৬৭ হাজার ৮৯০টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে এক লাখ ১৬ হাজার ৭২৬ জন নিহত এবং এক লাখ ৬৫ হাজার ২১ জন আহত হয়েছেন। ২০১৪ থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হতাহতের এই পরিসংখ্যান জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
৩ ঘণ্টা আগে