ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে ৫৮ দিন

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩: ৪৭
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪: ১৬

বঙ্গোপসাগরে সকল ধরনের মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখার বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সকল ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার সচিবালয়ে আসন্ন রমজান মাসে মৎস‍্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম এবং বিগত ৬ মাসে মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ‍্য জানান।

উপদেষ্টা বলেন, সামুদ্রিক জলসীমায়ও ইলিশ ও অন্যান্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য আহরণের ওপর প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান দিয়ে যে কোন প্রকার মৎস্য ও চিংড়ি, কাঁকড়া, লবস্টার ইত্যাদি (ক্রাস্টাশিয়ান্স) আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। এর ফলে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ ১২.৭৮% বৃদ্ধির রেকর্ড রয়েছে।

তিনি বলেন, এই সময়কালে প্রতিবেশী দেশের সাথে সমন্বয় না থাকায় অন্য দেশের মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশের মাছ আহরণে সুযোগ নিচ্ছে। তাই মৎস্য আহরণকারী সংগঠন এবং মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যান পিরিয়ড সমন্বয় করার দাবি উত্থাপিত হয়ে আসছে।

উপদেষ্টা বলেন, তারই পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ও অন্যান্য অংশীজন এবং মৎস্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়।

কারিগরি কমিটি সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের স্থায়িত্বশীল আহরণ ও স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ মাছের ব্রিডিং পিরিয়ড এপ্রিল থেকে জুন মাস হওয়ায় ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এছাড়া হাওরে দেশীয় মাছ সংরক্ষণের জন্য ১৫ মে হতে ১৪ জুন পর্যন্ত পানি আসার প্রেক্ষিতে ২০ দিন বা সর্বোচ্চ ১ মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধের বিষয়ে মতামত দেয়া হয়েছে বলে উপদেষ্টা জানান।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত