কবিতা
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিরবচ্ছিন্ন ফ্লাইট পরিচালনায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা। এসব ঘটনায় শুধু যাত্রীদের দুর্ভোগই বাড়ছে না, বরং ক্ষতির মুখে পড়ছে সরকারি সংস্থাটি। এর জন্য দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাম্প্রতিক সময়ে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইট বাতিল, চাকা খুলে পড়া, উইন্ড শিল্ড ফেটে যাওয়া, দেরিতে যাত্রার ঘটনা ঘটেছে। আবার কখনো আটকে পড়ছে বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার। এসব ক্ষেত্রে সংস্থাটি রক্ষণাবেক্ষণের কথা জানালেও স্বল্প কারিগরি মেরামত না হলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বিধ্বংসী ঘটনা।
অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুবা অব্যাহত ত্রুটির এই ধারা প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তিকে আরো সংকটের মুখে ফেলতে পারে। তাই ভবিষ্যৎ কার্যক্রম ও যাত্রীসেবায় আস্থা ফেরাতে জরুরি হয়ে উঠেছে বিমানের কার্যকর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাপনা ও বহর সম্প্রসারণ। তবে বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, সম্প্রতি এসব ঘটনায় যাত্রীদের নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি রাখা হচ্ছে না।
বিমানের সাবেক এক পাইলট আমার দেশকে জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো জবাবদিহি নেই। যারা অ্যাভিয়েশন ব্যবসা বুঝবেনÑব্যবস্থাপনায় এমন দক্ষ লোক বসানো প্রয়োজন। কিন্তু এখানে দেখা যায় রাজনৈতিক প্রভাব ও দলাদলি। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে বিমান পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হলেও এখনো এটির সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হয় রাজনৈতিক প্রভাবে। এক কথায় সরকার নিয়ন্ত্রিত। যখন যে সরকার আসে, তখন তার লোক বিমানের শীর্ষ পদগুলোতে বসানো হয়। সবাই মাস শেষে মোটা অঙ্কের বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু সবার মধ্যেই একটি গাছাড়া ভাব থাকে। কে কী কাজ করছেনÑএগুলো নিয়ে কারো কিছু বলার নেই।
বিমানের বর্তমান একজন পাইলট আমার দেশকে জানান, আমাদের ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার ঘন ঘন পরিবর্তন হয়। ফলে কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা হচ্ছে না। এ ছাড়া দেশের বাইরে উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন স্টেশনে নির্ধারিত এজেন্ট থাকলেও অনেক সময় তাদের সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর নতুন করে রিনিউ ঠিক সময়ে করা হয় না। তখন দেশ থেকে বাইরের স্টেশনে প্রকৌশলী পাঠাতে হয় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। এজন্য বিমানে প্রকৌশলী-স্বল্পতা দেখা দেয়। আবার অনেক দক্ষ প্রকৌশলী বিদেশি এয়ারলাইনসে চাকরি নিয়ে চলে যান। অনেক সময় উড়োজাহাজের স্পেয়ার পার্টসের প্রয়োজন থাকলেও তা ঠিকমতো কেনা হয় না। আবার একাধিক হোল্ড আইটেম লিস্টও দেখা যায়। তার সংখ্যা কখনো কখনো আট বা তার অধিক দেখা যায়।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন সৈয়দ এম নাসের আমার দেশকে বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ। বিমানের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকতেই পারে; কিন্তু কোনো অবস্থাতেই সেফটি ও যাত্রীসেবার মানের সঙ্গে আপস করা যাবে না। ছোট ছোট যান্ত্রিক ত্রুটিগুলো হলো সতর্কতামূলক সংকেত। এ কারণে এখন থেকেই বিমানকে সচেতন হতে হবে। তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে তখন কিছু করার থাকবে না।
সবশেষ দুর্ঘটনা ঘটেছে গত ২৮ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা-দাম্মাম রুটের একটি উড়োজাহাজে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) আল মাসুদ খান জানান, উড়োজাহাজটির কেবিন প্রেশারের একটি বিপদসংকেত পান বৈমানিক। এ পরিস্থিতিতে কোনো ধরনের ঝুঁকি না নিয়ে বৈমানিক উড়োজাহাজটি ঢাকায় ফেরত আনেন। তবে যাত্রীদের অন্য একটি উড়োজাহাজে দাম্মামের উদ্দেশে পাঠানো হয়।
গত ১৯ জুলাই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম হয়ে শারজাহগামী একটি ফ্লাইটে ত্রুটি ধরা পড়ায় ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের আকাশ থেকে ঢাকায় ফিরে আসে। ফ্লাইটটি ছিল বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজ। পাইলট সিগন্যাল অ্যালার্ম পেয়ে জরুরি অবতরণ করেন।
এর তিনদিন আগের রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের একটি বোয়িং-৭৮৭ উড়োজাহাজের চাকা ফেটে যায়। এতে ঢাকাগামী বিজি-১৪৮ ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে আসতে পারেনি। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন ২২০ যাত্রী।
গত ৫ জুলাই সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকাগামী বিজি-৩৮৯ ফ্লাইট উড্ডয়নের কিছুক্ষণ আগে হঠাৎ বাতিল করা হয়। বিমান কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের পরদিন আসতে বললেও কোনো কারণ জানানো হয়নি। ওইদিনই মদিনা থেকে চট্টগ্রামে আসা বিজি-১৩৮ ফ্লাইট শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণের পর রানওয়ের এক প্রান্তে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আটকে পড়ে।
এর আগে ৩ জুলাই কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর একটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ রানওয়েতে আটকে যায়। পরে পুশ কার্ট দিয়ে সেটিকে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরদিন ঢাকায় ফিরিয়ে আনলে তাতে নোজ ল্যান্ডিং গিয়ার লকসহ আরো কিছু ত্রুটি পাওয়া যায়।
গত জুন মাসেই বেশ কয়েকটি যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২৭ জুন ঢাকা থেকে ব্যাংককগামী বিজি-৩৮৮ ফ্লাইট যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পাঁচ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে যায়। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম আমার দেশকে বলেন, ধারাবাহিক ঘটনাগুলো বিমানের ইমেজ ক্ষুণ্ণ করছে। এমনিতেই বাজারে তাদের ইমেজ সংকট রয়েছে। ফলে ধারাবাহিক ঘটনাগুলোতে যাত্রীদের ওপর একটি প্রভাব পড়ছে। তিনি বলেন, বিমানের এয়ারক্রাফটগুলো দিন দিন অনেক পুরোনো হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে নানা ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা দিচ্ছে। ফলে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। এ মুহূর্তে বিমানের উচিত হবে নতুন এয়ারক্রাফট যুক্ত করা। নতুবা নানারকম দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে এবং বাজারে এর প্রভাব আরো বিস্তৃত হবে।
কাজী ওয়াহিদুল আলম আরো বলেন, বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বেশ দক্ষ। তারা বারবার চেষ্টা করে বিভিন্ন ত্রুটি সারানোর কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু যেহেতু এয়ারক্রাফটগুলো দীর্ঘদিনের পুরাতন, সেহেতু বারবারই এ সমস্যা দেখা দেবে। তাই বিমান ব্যবস্থাপনা বিভাগের উচিত এখনই এসব সমস্যার সমাধান এবং নতুন নতুন রুট চিন্তা করে সেগুলো বাস্তবায়নে মনোযোগী হওয়া।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এবিএম রওশন কবীর আমার দেশকে বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে বিমান কখনো আপস করে না। এখন ছোটখাট টেকনিক্যাল সমস্যাও আমলে নেওয়া হচ্ছে। কোনো ধরনের ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। এটিই এখন বিমানের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাছাড়া নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ তো রয়েছেই। নতুন উড়োজাহাজ কেনা হচ্ছে জানিয়ে রওশন কবীর আরো বলেন, শিগগিরই নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত হবে বিমানবহরে। এর মাধ্যমেই সব সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিরবচ্ছিন্ন ফ্লাইট পরিচালনায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা। এসব ঘটনায় শুধু যাত্রীদের দুর্ভোগই বাড়ছে না, বরং ক্ষতির মুখে পড়ছে সরকারি সংস্থাটি। এর জন্য দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাম্প্রতিক সময়ে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইট বাতিল, চাকা খুলে পড়া, উইন্ড শিল্ড ফেটে যাওয়া, দেরিতে যাত্রার ঘটনা ঘটেছে। আবার কখনো আটকে পড়ছে বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার। এসব ক্ষেত্রে সংস্থাটি রক্ষণাবেক্ষণের কথা জানালেও স্বল্প কারিগরি মেরামত না হলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বিধ্বংসী ঘটনা।
অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুবা অব্যাহত ত্রুটির এই ধারা প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তিকে আরো সংকটের মুখে ফেলতে পারে। তাই ভবিষ্যৎ কার্যক্রম ও যাত্রীসেবায় আস্থা ফেরাতে জরুরি হয়ে উঠেছে বিমানের কার্যকর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাপনা ও বহর সম্প্রসারণ। তবে বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, সম্প্রতি এসব ঘটনায় যাত্রীদের নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি রাখা হচ্ছে না।
বিমানের সাবেক এক পাইলট আমার দেশকে জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো জবাবদিহি নেই। যারা অ্যাভিয়েশন ব্যবসা বুঝবেনÑব্যবস্থাপনায় এমন দক্ষ লোক বসানো প্রয়োজন। কিন্তু এখানে দেখা যায় রাজনৈতিক প্রভাব ও দলাদলি। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে বিমান পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হলেও এখনো এটির সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হয় রাজনৈতিক প্রভাবে। এক কথায় সরকার নিয়ন্ত্রিত। যখন যে সরকার আসে, তখন তার লোক বিমানের শীর্ষ পদগুলোতে বসানো হয়। সবাই মাস শেষে মোটা অঙ্কের বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু সবার মধ্যেই একটি গাছাড়া ভাব থাকে। কে কী কাজ করছেনÑএগুলো নিয়ে কারো কিছু বলার নেই।
বিমানের বর্তমান একজন পাইলট আমার দেশকে জানান, আমাদের ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার ঘন ঘন পরিবর্তন হয়। ফলে কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা হচ্ছে না। এ ছাড়া দেশের বাইরে উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন স্টেশনে নির্ধারিত এজেন্ট থাকলেও অনেক সময় তাদের সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর নতুন করে রিনিউ ঠিক সময়ে করা হয় না। তখন দেশ থেকে বাইরের স্টেশনে প্রকৌশলী পাঠাতে হয় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। এজন্য বিমানে প্রকৌশলী-স্বল্পতা দেখা দেয়। আবার অনেক দক্ষ প্রকৌশলী বিদেশি এয়ারলাইনসে চাকরি নিয়ে চলে যান। অনেক সময় উড়োজাহাজের স্পেয়ার পার্টসের প্রয়োজন থাকলেও তা ঠিকমতো কেনা হয় না। আবার একাধিক হোল্ড আইটেম লিস্টও দেখা যায়। তার সংখ্যা কখনো কখনো আট বা তার অধিক দেখা যায়।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন সৈয়দ এম নাসের আমার দেশকে বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ। বিমানের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকতেই পারে; কিন্তু কোনো অবস্থাতেই সেফটি ও যাত্রীসেবার মানের সঙ্গে আপস করা যাবে না। ছোট ছোট যান্ত্রিক ত্রুটিগুলো হলো সতর্কতামূলক সংকেত। এ কারণে এখন থেকেই বিমানকে সচেতন হতে হবে। তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে তখন কিছু করার থাকবে না।
সবশেষ দুর্ঘটনা ঘটেছে গত ২৮ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা-দাম্মাম রুটের একটি উড়োজাহাজে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) আল মাসুদ খান জানান, উড়োজাহাজটির কেবিন প্রেশারের একটি বিপদসংকেত পান বৈমানিক। এ পরিস্থিতিতে কোনো ধরনের ঝুঁকি না নিয়ে বৈমানিক উড়োজাহাজটি ঢাকায় ফেরত আনেন। তবে যাত্রীদের অন্য একটি উড়োজাহাজে দাম্মামের উদ্দেশে পাঠানো হয়।
গত ১৯ জুলাই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম হয়ে শারজাহগামী একটি ফ্লাইটে ত্রুটি ধরা পড়ায় ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের আকাশ থেকে ঢাকায় ফিরে আসে। ফ্লাইটটি ছিল বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজ। পাইলট সিগন্যাল অ্যালার্ম পেয়ে জরুরি অবতরণ করেন।
এর তিনদিন আগের রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের একটি বোয়িং-৭৮৭ উড়োজাহাজের চাকা ফেটে যায়। এতে ঢাকাগামী বিজি-১৪৮ ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে আসতে পারেনি। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন ২২০ যাত্রী।
গত ৫ জুলাই সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকাগামী বিজি-৩৮৯ ফ্লাইট উড্ডয়নের কিছুক্ষণ আগে হঠাৎ বাতিল করা হয়। বিমান কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের পরদিন আসতে বললেও কোনো কারণ জানানো হয়নি। ওইদিনই মদিনা থেকে চট্টগ্রামে আসা বিজি-১৩৮ ফ্লাইট শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণের পর রানওয়ের এক প্রান্তে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আটকে পড়ে।
এর আগে ৩ জুলাই কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর একটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ রানওয়েতে আটকে যায়। পরে পুশ কার্ট দিয়ে সেটিকে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরদিন ঢাকায় ফিরিয়ে আনলে তাতে নোজ ল্যান্ডিং গিয়ার লকসহ আরো কিছু ত্রুটি পাওয়া যায়।
গত জুন মাসেই বেশ কয়েকটি যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২৭ জুন ঢাকা থেকে ব্যাংককগামী বিজি-৩৮৮ ফ্লাইট যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পাঁচ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে যায়। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম আমার দেশকে বলেন, ধারাবাহিক ঘটনাগুলো বিমানের ইমেজ ক্ষুণ্ণ করছে। এমনিতেই বাজারে তাদের ইমেজ সংকট রয়েছে। ফলে ধারাবাহিক ঘটনাগুলোতে যাত্রীদের ওপর একটি প্রভাব পড়ছে। তিনি বলেন, বিমানের এয়ারক্রাফটগুলো দিন দিন অনেক পুরোনো হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে নানা ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা দিচ্ছে। ফলে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। এ মুহূর্তে বিমানের উচিত হবে নতুন এয়ারক্রাফট যুক্ত করা। নতুবা নানারকম দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে এবং বাজারে এর প্রভাব আরো বিস্তৃত হবে।
কাজী ওয়াহিদুল আলম আরো বলেন, বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বেশ দক্ষ। তারা বারবার চেষ্টা করে বিভিন্ন ত্রুটি সারানোর কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু যেহেতু এয়ারক্রাফটগুলো দীর্ঘদিনের পুরাতন, সেহেতু বারবারই এ সমস্যা দেখা দেবে। তাই বিমান ব্যবস্থাপনা বিভাগের উচিত এখনই এসব সমস্যার সমাধান এবং নতুন নতুন রুট চিন্তা করে সেগুলো বাস্তবায়নে মনোযোগী হওয়া।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এবিএম রওশন কবীর আমার দেশকে বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে বিমান কখনো আপস করে না। এখন ছোটখাট টেকনিক্যাল সমস্যাও আমলে নেওয়া হচ্ছে। কোনো ধরনের ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। এটিই এখন বিমানের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাছাড়া নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ তো রয়েছেই। নতুন উড়োজাহাজ কেনা হচ্ছে জানিয়ে রওশন কবীর আরো বলেন, শিগগিরই নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত হবে বিমানবহরে। এর মাধ্যমেই সব সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে।
আগামী শুক্র ও শনিবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম পুরোদমে চলবে। এ জন্য ঢাকা কাস্টমস হাউসের সব শুল্ক দলের অফিস খোলা থাকবে। বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এসংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।
৪৪ মিনিট আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট চেয়ে জটিলতা তৈরি করছে বিএনপি। নভেম্বরে গণভোট হলে নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় থাকবে। বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিন দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকার নতুন ১২ নির্দেশনা জারি করেছে। বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা হতে ১২টি নির্দেশনা সংবলিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেপর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট ক্রয় করতে হবে, যেখানে প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস এবং কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।
২ ঘণ্টা আগে