ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদি যে অটোরিকশায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি সেই চালক কামাল হোসেন সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর ফয়সাল আহমেদ। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে বলেন, মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। ঘটনাকালে হাদি সাক্ষী মো. কামাল হোসেনের চালিত অটোরিক্সা যোগে খলিল হোটেল, মতিঝিল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। সাক্ষী নিজেই তার বক্তব্য আদালতে প্রদান করতে ইচ্ছুক। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করছি।
গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটিতে ৩০২ ধারা যুক্ত হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা হুমায়ুন কবির এবং মা হাসি বেগম, স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু, রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ী মুফতি মো. নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, ফয়সালের সহযোগী মো. কবির, ভারতে পালাতে সহযোগিতাকারী সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম।
গত ১২ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপরে নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে চলন্ত রিকশায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একপর্যায়ে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়। সেখান থেকে অবস্থার পরিবর্তনের জন্য রাজধানীর এভারকেয়ারে নেয়া হয়। এরপর হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান তিনি।ভোরের দিকে কুয়াশার প্রকোপও বজায় থাকবে।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

