হোটেল বয় থেকে সোনা চোরাকারবারি, অবশেষে সিআইডির জালে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ৫৭
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ৫৭
ফাইল ছবি

সোনা চোরাচালানের মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শ্যাম ঘোষের নামে থাকা সম্পত্তি ক্রোক করেছে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-এর ফাইন্যানশিয়াল ক্রাইম ইউনিট। বুধবার দুপুরে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

সিআইডি জানায়, স্বর্ণ চোরাকারবারের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শ্যাম ঘোষের বিরুদ্ধে ডিএমপি কোতয়ালী থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে উঠে এসেছে, শ্যাম ঘোষ একজন সোনা ব্যবসায়ী। তার কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ঢাকার সূত্রাপুরে পিতার হোটেলে কাজ করতেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্বর্ণের দোকানে চাকরির মাধ্যমে তিনি অবৈধভাবে প্রাপ্ত সোনা ক্রয়-বিক্রয় করেছেন এবং আইন অনুযায়ী আয়ের উৎস গোপন করেছেন।

তদন্তে বেরিয়ে আসে, সোনা চোরাকারবারের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে শ্যাম ঘোষ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট ও দোকান ক্রয় করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো যমুনা ফিউচার পার্কের ৬ষ্ঠ তলার সি ব্লকে তিনটি দোকান (দোকান নং 5C-054, 5C-055, 5C-056) এবং ‘ইন্ডিয়ান ডোমেস্টিক স্পাই’ নামক রেস্টুরেন্ট। এছাড়া কোতয়ালী থানার ওয়াইজঘাটে ‘বাবুলী স্টার সিটি’ ভবনের ৫ম তলায় একটি ফ্ল্যাট (ফ্ল্যাট নং ৪/সি) এবং স্বামীবাগের ‘স্বর্ণচাপা’ ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় নিজ ও তার ভাই যৌথ মালিকানাধীন ফ্ল্যাট (ফ্ল্যাট নং এ-৬) রয়েছে। বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের ব্লক-বি, লেভেল-৫-এ ‘নন্দন জুয়েলার্স’নামক স্বর্ণের দোকানও তার যৌথ মালিকানাধীন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে মহানগর স্পেশাল জজ, গত ২৫ সেপ্টেম্বর উক্ত সম্পত্তির উপর ক্রোকাদেশ দেন। ক্রোককৃত সম্পত্তি রক্ষণের জন্য ডিএমপি কমিশনারকে রিসিভার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। সিআইডি ফাইন্যানশিয়াল ক্রাইম ইউনিট এ সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং মামলার তদন্ত অব্যাহত রেখেছেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত