ডাক বিভাগের বেদখল সম্পদ পুনরুদ্ধার করা হবে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৩০

ডাক বিভাগের বেদখল হওয়া সম্পদ দ্রুত পুনরুদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

বৃহস্পতিবার ঢাকার আগাওগাঁওয়ে ডাক বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষ্যে এর আগে সকালে শোভাযাত্রা করে ডাক বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

ফয়েজ আহমদ বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা ডাক বিভাগের মোট সম্পদের পাশাপাশি বেদখল সম্পদের তালিকা প্রস্তুত করেছি। বিভাগীয় কমিশনার এবং ডিসিদের সমন্বয়ে ডাক বিভাগের বেদখল সম্পদ পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে।

তিনি আরো বলেন, এড্রেস ম্যানেজমেন্টের বর্তমান স্ট্রাকচার আধুনিক অর্থনীতি ব্যবস্থার জন্য উপযোগী নয়। তাই বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এড্রেস ম্যানেজমেন্টকে ডিজিটাল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেখানে এরিয়া কোড, স্ট্রিট কোড এবং হাউজ কোড গুলো সমন্বিত করা হবে এবং একইসঙ্গে এড্রেসের সাথে জিও ফেন্সিং করা হবে। যেহেতু ঠিকানা ব্যবস্থাপনার সাথে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার, সেজন্য বিষয়টাকে ডাক এবং কুরিয়ার আইন হালনাগাদের মাধ্যমে এড্রেস করার কাজ করছি। এসময়, ডাক ও কুরিয়ারের সংশোধিত আইন আগামী নভেম্বরের মধ্যেই মন্ত্রিপরিষদে উপস্থাপন করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এই উপদেষ্টা বলেন, মেইল এবং পার্সেল ট্র্যাকিং সিস্টেমের আওতায় বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ট্র্যাকিং করা যায়। তাই এই ট্রাকিং সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের মানোন্নয়নের মাধ্যমে ট্র্যাকিং ত্রুটিহীন করার কাজ শুরু হয়েছে। যার মাধ্যমে মেইল এবং পার্সেল ট্র্যাকিং প্রায় শতভাগে উন্নীত হবে। এছাড়া, ই-কমার্সের সাথে ডাক বিভাগকে সমন্বিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে যাতে শহর এবং গ্রামে মানুষ একইভাবে সেবা পায়। পাশাপাশি ই-কমার্সের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়া আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম শাহাবুদ্দিনসহ মন্ত্রণালয়সহ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত