ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে আমরা নতুন দেশ পেয়েছি: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৫, ১৩: ৪২

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে আমরা যে দেশটাকে পেলাম, তা এবার নতুন করে গড়তে চাই।

বিজ্ঞাপন

গতকাল শনিবার সাভারে গেন্ডা বালুর মাঠে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫ উপলক্ষ্যে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

শ্রমিক সমাবেশে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

শ্রমিক সমাবেশে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারি লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব .) আব্দুল হাফিজ (এনডিসি, পিএসসি), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

শ্রমিক সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা জেলার বিভাগীয় কমিশনার, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যবৃন্দ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধি, সাভার উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার ব্যক্তিবর্গ এবং সাভারের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা চাই শিল্পের বিকাশ। চাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিল্প তৈরি করতে। এজন্য আমাদের মালিকপক্ষ শ্রমিক পক্ষের উভয়ের বন্ধন এবং মালিকপক্ষের সর্বোচ্চ শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা। শ্রমিক চায় ট্রেড ইউনিয়ন যে ট্রেড ইউনিয়ন হতে হবে দায়িত্বশীল।

তিনি আরো বলেন, ৫৪ বছরে আর যাইহোক বিগত সরকারের সময় স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা, সুব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। যেখানে আপনারা নিশ্চয়ই উপলব্ধি করছেন যে রাজনীতির হাতে আপনারা বারবার মার খাচ্ছেন।

শারমীন এস মুরশিদ বলেন, আমাদের শিল্প হোক সংকীর্ণ রাজনীতি মুক্ত, দলীয় রাজনীতি মুক্ত। রাজনীতি হতে হবে আমাদের শ্রমিকের কল্যাণের রাজনীতি। রাজনীতি হতে হবে শিল্পের সুবিকাশ, বিশালতা এবং দেশের মঙ্গলের জন্য।

শ্রমিক-মালিক সম্পর্কের ভারসাম্য ও ট্রেড ইউনিয়নের দায়িত্বশীলতার ওপর জোর দিয়ে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ ও সম্মানজনক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, পাশাপাশি মালিকপক্ষকেও অবশ্যই কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা এমন ট্রেড ইউনিয়ন চাই, যা রাজনৈতিক হাতিয়ার নয়, বরং শিল্পের কণ্ঠস্বর। ইউনিয়নগুলো যেন ন্যায্যতা ও শিল্পের স্থিতিশীলতার জন্য কাজ করে।

তিনি বলেন, ৮০ শতাংশ মেয়েরা গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করে এদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। তাদের সুস্বাস্থ্য, সুব্যবস্থাপনার দিকে আমার মন্ত্রণালয় নজর রাখবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত