শপথ ছাড়াই মেয়র হিসেবে ইশরাকের সংবর্ধনা, যা বললেন আসিফ

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৫, ১০: ০৪
আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, ১০: ২৭
সভার ব্যানারে ইশরাক হোসেনের নামের শেষে ‘মাননীয় মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন’ লেখা ছিল। ইনসেটে আসিফ মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘ডিএসসিসির মেয়র ইস্যুতে স্থানীয় সরকার বিভাগ কোনো আইন ভঙ্গ করেনি। বিষয়টি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গেজেটের মেয়াদ ও পরে সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় সরকার বিভাগের শপথ দেওয়ার কোনো আইনি সুযোগ নেই। তবে এভাবে ক্ষমতা দেখিয়ে নগর ভবন দখল, দক্ষিণ ঢাকার দৈনন্দিন নাগরিক সেবায় বিঘ্ন ঘটানো দায়িত্বহীনতা এবং আইনের শাসনের প্রতি অবমাননা। ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের একজন নেতার কাছ থেকে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ প্রত্যাশা করিনি।’

সোমবার শপথ গ্রহণ না করেই বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে সংবর্ধনা নেওয়ায় এক প্রতিক্রিয়ায় আমার দেশকে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।

বিজ্ঞাপন

আসিফ মাহমুদ বলেন, অবরোধের কারণে বিগত মাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ নাগরিক সেবা হ্রাস পেয়েছে। আমাদের কর্মকর্তারা ওয়াসা অফিসে বসে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে নাগরিক সেবা বাধাগ্রস্ত না হয়। ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের অংশীজনদের থেকে আমরা আরো দায়িত্বশীল এবং পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি।

এ নিয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, বিষয়টি আইনি ও রাজনৈতিক। তবে এতে নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। একজন কর্মচারী হিসেবে এর বেশি কিছু বলতে পারি না।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পাঠ করানোর দাবিতে রাস্তা দখল ও নগর ভবন তালাবদ্ধ করে টানা আন্দোলন করছেন ইশরাক ও তার অনুসারীরা। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের ওপর নগরবাসী ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত।

ফলে মানুষ প্রতিদিন যেমন যানজটে অতিষ্ঠ, তেমনি নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত। ইশরাকের আন্দোলন লন্ডনে অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার ঐতিহাসিক বৈঠকের সাফল্যকে ম্লান করে দিচ্ছে বলে একবাক্যে বলছেন সবাই। তারা মনে করেন, বিএনপির উচিত ইশরাককে এখনই থামানো। নইলে এই অযৌক্তিক আন্দোলন বিএনপিকে বিতর্কে ফেলবে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত