স্টাফ রিপোর্টার
সংবিধান সংস্কার কমিশন বড় ধরনের কাঠামোগত সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তাই তাদের সুপারিশের বাস্তবায়ন রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে। দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হলে নির্বাচনের আগে-পরে করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবে আশু করণীয় প্রস্তাব নেই জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, কমিশনের সুপারিশ একটা আরেকটার সঙ্গে সংযুক্ত। স্কেল হয়তো ডাউন করা যেতে পারে, কিন্তু পুরো বাদ দেওয়া প্রায় অসম্ভব। সেই বিবেচনায় প্রধান করণীয় হচ্ছে ভবিষ্যতে যে নির্বাচন হবে, তার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ ঐক্য এবং প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করা যে, তারা ক্ষমতায় গেলে সংস্কারের জন্য কাজ করবে।
সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বড় ধরনের কাঠামোগত সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছি। এগুলোর ক্ষেত্রে প্রথমে দরকার জাতীয় ঐকমত্য। রাজনৈতিক দলগুলো যেহেতু নির্বাচন করবেন, দেশ চালাবেন তাদের মধ্যে ঐকমত্য জরুরি। আগে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তারা যদি ঐকমত্যে পৌঁছান, তাহলে সেটি এখন করতে চান, না নির্বাচনের পরে, নতুন সংসদে, নাকি গণভোটের মাধ্যমে করতে চান, তারাই নির্ধারণ করবেন। সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য আছে বলে মনে করেন কমিশন প্রধান।
৭০ অনুচ্ছেদের সংশোধনের সুপারিশের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী একের ভেতর চার। তার অভাবনীয় ক্ষমতা। তিনি চাইলে রাষ্ট্রপতিকে দিয়েও অনেক কিছু করতে পারেন। এ রকম ক্ষমতাশালী ব্যক্তিকে কীভাবে অপসারণ করবেন, যদি অনাস্থা প্রস্তাব না আনা যায়। ৭০ অনুচ্ছেদ অবিকৃত রেখে মৌলিক জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারবেন বলে আমাদের মনে হয় না।
গণভোটের সুপারিশ যৌক্তিক বলে মনে করেন আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, দেশে বহুবার সংবিধান সংশোধন হয়েছে কিন্তু তারা কখনো সেখানে দেশের ৫০ শতাংশ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেনি। বাহাত্তরের সংবিধানে গণভোট না থাকলেও জনগণের মতামত নিতে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে তা যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে তা বাতিল করা হয়।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ গণভোটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে কিনা—এমন প্রশ্নে আলী রীয়াজ বলেন, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। সেই সুপারিশ দেওয়ার এখতিয়ার আমাদের কর্মপরিধির মধ্যেই নেই।
বহুত্ববাদ সুপারিশের বিষয়ে তিনি বলেন, বহুত্ববাদের সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে ধর্ম বিবেচনায় ভিন্ন মত নয়। জাতি পরিচয়ে ভিন্ন হতে পারে। এখানে বহুত্ববাদের ধারণা হচ্ছে- বাংলাদেশে ভাষা, সাংস্কৃতিক, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, ধর্ম- সমস্ত কিছুর মধ্যে যে পার্থক্যগুলো আছে, সেগুলোকে শুধুমাত্র স্বীকার বা স্বীকৃতি নয়, তাদের যেন সমমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করা যায়। সে কারণে আমরা বহুত্ববাদিতার কথা বলেছি।
তিনি বলেন, বহুত্ববাদের ধারণা অনেক ব্যাপক। এতে বিভিন্ন ধরনের মত পথ রয়েছে। যেকোন ধর্মের ভেতরেও বিভিন্ন রকম মত পথ আছে। রাষ্ট্রের কাজ হবে তার সবগুলোতে সমন্বয় করা। সবাইকে সমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করা। আমাদের কাছে বহুত্ববাদিতা ধারণাটা মনে হয়েছে আরও বেশি ব্যাপক, যাতে বিভিন্ন রকম মত-পথ, পরিচয়কে সংশ্লিষ্ট করতে পারব। বহুত্ববাদের বিষয়টি ধর্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় বলে জানান তিনি।
বহুত্ববাদ টার্মটি বাদ দেয়ার জন্য একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী থেকে দাবি তোলা হয়েছে- এ বিষয়ে কমিশনের অবস্থান কী জানতে চাইলে আলী রীয়াজ বলেন, বহুত্ববাদের সাথে ধর্মকে কেউ কেউ ভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করা চেষ্টা করছে। তাদের ব্যাখ্যাটিকে সঠিক বলে আমরা মনে করি না। কারণ ধর্মে যে একত্ববাদের কথা বলা হয় তার সাথে এর কোন সম্পরক নেই। এটা সমাজ রাজনীতিকে বিভিন্ন রকমের মতপথ ও বৈচিত্র্যকে অন্তর্ভূক্ত করা এবং সমান মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করা। তারা পরিচয়ের কারণে রাষ্ট্র দ্বারা ভিন্নভাবে ট্রিটেড না হয় সেটা নিশ্চিত করা। এখানে ধর্মের সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই।
সুপারিশের প্রায় সবক্ষেত্রে কমিশনের সদস্যরা একমত হলেও রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সুপারিশে হয়নি বলে জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, আমাদের অংশীজনের একটি ব্যাপক অংশ এটি রাখার কথা বলেছেন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এটা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিশন সদস্য সুমাইয়া খায়ের, ইমরান সিদ্দিক, মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ড. শরীফ ভূঁইয়া, এম মঈন আলম ফিরোজী, ফিরোজ আহমেদ, মো. মুসতাইন বিল্লাহ।
সংবিধান সংস্কার কমিশন বড় ধরনের কাঠামোগত সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তাই তাদের সুপারিশের বাস্তবায়ন রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে। দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হলে নির্বাচনের আগে-পরে করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবে আশু করণীয় প্রস্তাব নেই জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, কমিশনের সুপারিশ একটা আরেকটার সঙ্গে সংযুক্ত। স্কেল হয়তো ডাউন করা যেতে পারে, কিন্তু পুরো বাদ দেওয়া প্রায় অসম্ভব। সেই বিবেচনায় প্রধান করণীয় হচ্ছে ভবিষ্যতে যে নির্বাচন হবে, তার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ ঐক্য এবং প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করা যে, তারা ক্ষমতায় গেলে সংস্কারের জন্য কাজ করবে।
সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বড় ধরনের কাঠামোগত সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছি। এগুলোর ক্ষেত্রে প্রথমে দরকার জাতীয় ঐকমত্য। রাজনৈতিক দলগুলো যেহেতু নির্বাচন করবেন, দেশ চালাবেন তাদের মধ্যে ঐকমত্য জরুরি। আগে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তারা যদি ঐকমত্যে পৌঁছান, তাহলে সেটি এখন করতে চান, না নির্বাচনের পরে, নতুন সংসদে, নাকি গণভোটের মাধ্যমে করতে চান, তারাই নির্ধারণ করবেন। সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য আছে বলে মনে করেন কমিশন প্রধান।
৭০ অনুচ্ছেদের সংশোধনের সুপারিশের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী একের ভেতর চার। তার অভাবনীয় ক্ষমতা। তিনি চাইলে রাষ্ট্রপতিকে দিয়েও অনেক কিছু করতে পারেন। এ রকম ক্ষমতাশালী ব্যক্তিকে কীভাবে অপসারণ করবেন, যদি অনাস্থা প্রস্তাব না আনা যায়। ৭০ অনুচ্ছেদ অবিকৃত রেখে মৌলিক জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারবেন বলে আমাদের মনে হয় না।
গণভোটের সুপারিশ যৌক্তিক বলে মনে করেন আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, দেশে বহুবার সংবিধান সংশোধন হয়েছে কিন্তু তারা কখনো সেখানে দেশের ৫০ শতাংশ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেনি। বাহাত্তরের সংবিধানে গণভোট না থাকলেও জনগণের মতামত নিতে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে তা যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে তা বাতিল করা হয়।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ গণভোটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে কিনা—এমন প্রশ্নে আলী রীয়াজ বলেন, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। সেই সুপারিশ দেওয়ার এখতিয়ার আমাদের কর্মপরিধির মধ্যেই নেই।
বহুত্ববাদ সুপারিশের বিষয়ে তিনি বলেন, বহুত্ববাদের সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে ধর্ম বিবেচনায় ভিন্ন মত নয়। জাতি পরিচয়ে ভিন্ন হতে পারে। এখানে বহুত্ববাদের ধারণা হচ্ছে- বাংলাদেশে ভাষা, সাংস্কৃতিক, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, ধর্ম- সমস্ত কিছুর মধ্যে যে পার্থক্যগুলো আছে, সেগুলোকে শুধুমাত্র স্বীকার বা স্বীকৃতি নয়, তাদের যেন সমমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করা যায়। সে কারণে আমরা বহুত্ববাদিতার কথা বলেছি।
তিনি বলেন, বহুত্ববাদের ধারণা অনেক ব্যাপক। এতে বিভিন্ন ধরনের মত পথ রয়েছে। যেকোন ধর্মের ভেতরেও বিভিন্ন রকম মত পথ আছে। রাষ্ট্রের কাজ হবে তার সবগুলোতে সমন্বয় করা। সবাইকে সমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করা। আমাদের কাছে বহুত্ববাদিতা ধারণাটা মনে হয়েছে আরও বেশি ব্যাপক, যাতে বিভিন্ন রকম মত-পথ, পরিচয়কে সংশ্লিষ্ট করতে পারব। বহুত্ববাদের বিষয়টি ধর্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় বলে জানান তিনি।
বহুত্ববাদ টার্মটি বাদ দেয়ার জন্য একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী থেকে দাবি তোলা হয়েছে- এ বিষয়ে কমিশনের অবস্থান কী জানতে চাইলে আলী রীয়াজ বলেন, বহুত্ববাদের সাথে ধর্মকে কেউ কেউ ভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করা চেষ্টা করছে। তাদের ব্যাখ্যাটিকে সঠিক বলে আমরা মনে করি না। কারণ ধর্মে যে একত্ববাদের কথা বলা হয় তার সাথে এর কোন সম্পরক নেই। এটা সমাজ রাজনীতিকে বিভিন্ন রকমের মতপথ ও বৈচিত্র্যকে অন্তর্ভূক্ত করা এবং সমান মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করা। তারা পরিচয়ের কারণে রাষ্ট্র দ্বারা ভিন্নভাবে ট্রিটেড না হয় সেটা নিশ্চিত করা। এখানে ধর্মের সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই।
সুপারিশের প্রায় সবক্ষেত্রে কমিশনের সদস্যরা একমত হলেও রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সুপারিশে হয়নি বলে জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, আমাদের অংশীজনের একটি ব্যাপক অংশ এটি রাখার কথা বলেছেন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এটা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিশন সদস্য সুমাইয়া খায়ের, ইমরান সিদ্দিক, মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ড. শরীফ ভূঁইয়া, এম মঈন আলম ফিরোজী, ফিরোজ আহমেদ, মো. মুসতাইন বিল্লাহ।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশোধিত বিধির গেজেট প্রকাশ করে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করাসহ ২ দফা দাবিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ৪৩তম বিসিএস নন–ক্যাডার প্রত্যাশী আবেদনকারী প্রার্থীরা।
২৪ মিনিট আগেসরকারী কর্মকমিশনের (পিএসসি) নবনিয়োগপ্রাপ্ত সদস্য একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক শপথ গ্রহণ করেছেন।
৪৪ মিনিট আগেরাজধানীর ধানমন্ডি ও বনানীতে পৃথক ঘটনায় দুই অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
১ ঘণ্টা আগেনতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোট। বুধবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংগঠনের নেতারা। এ ঘটনায় নতুন কর্মসূচি হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে
১ ঘণ্টা আগে