ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ পুরোনো কায়দায় আগুন–সন্ত্রাস শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এ জন্য নিজেদের মধ্যে বিভাজন ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি হলে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল ঢাকা মহানগর উত্তর–দক্ষিণ যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ সময় ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, স্বৈরাচার কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা করে দিয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব অন্য একটি দেশের হাতে প্রায় তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে আজ তারা পালিয়ে গেছে। সেখানে বসে বসে তারা বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা এবং পুরোনো কায়দায় আগুন–সন্ত্রাস শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৪–৯৫ সালে ঢাকার শেরাটন হোটেলের সামনে দোতলা বিআরটিসি বাসে গানপাউডার দিয়ে আগুন লাগিয়ে ১১ জন মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। তারা ১৭৪ দিন হরতাল করেছিল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আদালতের রায়কে কেন্দ্র করে তারা আবারও পুরোনো কায়দায় মাঠে নেমেছে। জাতি ৫ আগস্টের পর যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, সেই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। আজ যদি আমাদের মধ্যে বিভাজন হয়, তাহলে লাভ হবে পতিত স্বৈরাচারের। এর ফল ভোগ করার জন্য তারা উঠে পড়ে লেগেছে।
এ সময় ভূমিকম্পের বিষয়ে সতর্ক করে ডা. জাহিদ বলেন, “কিছুক্ষণ আগে ভূমিকম্প হয়েছে এবং ভূমিকম্পে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করি।” ভূমিকম্প নিয়ে প্রস্তুতির প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “আজকের ভূমিকম্প হওয়ার পর ভাবার কোনো কারণ নেই—আমরা অনেক নিরাপদ আছি। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।”
এসআর

