আমার দেশ অনলাইন
প্রশাসন সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটিতে অনুমোদন পেলে শিগগিরই জনপ্রশাসনে যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ১৩০ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হতে পারে। তবে ২০১৮ সালের রাতের ভোটের কারিগর হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী জেলাপ্রশাসকদের (ডিসি) সুপারিশের আওতায় নেওয়া হয়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র আমার দেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে সচিবদের শূন্য পদগুলো পূরণেও তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে দুই শতাধিক অতিরিক্ত সচিব বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মরত আছেন। এর বাইরে যুগ্ম সচিব থেকে ১৩০ জনকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত সচিব করা হতে পারে। জনপ্রশাসনে পদোন্নতির ধারাবাহিকতা ও গতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে অনুমোদিত পদের বাইরেও পদোন্নতি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইমাম-মোয়াজ্জিনদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেবে সরকারইমাম-মোয়াজ্জিনদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেবে সরকার
পদোন্নতির প্রক্রিয়ার বিষয়ে ওই কর্মকর্তা জানান, অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির জন্য এবার বিসিএস ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ ব্যাচে ৩৭৮ জন কর্মকর্তা থাকলেও সবাইকে পদোন্নতির জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। এ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বেশ কয়েকজন ২০১৮ সালের রাতের ভোটের সময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া যাদের বিরুদ্ধে অসদাচারণ, শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তাদের পদোন্নতির জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) পদোন্নতির তালিকা এখন পর্যালোচনা করছে। মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের পর এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক কর্মকর্তা। বর্তমানে অতিরিক্ত সচিবের জন্য অনুমোদিত পদের সংখ্যা দুশ’র কিছু বেশি। নির্দিষ্ট পদের বেশি অতিরিক্ত সচিব করার বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, জনপ্রশাসনে এখন একটি রীতি দাঁড়িয়েছে যে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে যেসব উইং রয়েছে সেগুলোর প্রধানের পদে অতিরিক্ত সচিবদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন করপোরেশন ও অটোনোমাস প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানের পদেও অতিরিক্ত সচিবদের পদায়ন করা হচ্ছে। এতে প্রায় চারশ’র বেশি অতিরিক্ত সচিবের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান তিনি।
সচিবদের শূন্য পদ পূরণে তালিকা চূড়ান্ত
গত ২০ জুন বিভিন্ন দপ্তরের পাঁচজন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। এ পাঁচজনসহ মোট ৯ জন সচিবের পদ শূন্য রয়েছে। এসব শূন্য পদ পূরণে সরকার ১২ জন কর্মকর্তার একটি তালিকা করা হয়েছে। এদের মধ্য থেকেই ক্রমানুযায়ী সচিবদের শূন্য পদগুলো পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান আমার দেশকে বলেন, প্রশাসনকে গতিশীল করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি প্রশাসনের চলমান প্রক্রিয়া। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোতে সচিবদের শূন্য পদগুলো পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পদোন্নতি ও পদায়নের প্রক্রিয়া কেমন হওয়া উচিতÑ এমন প্রশ্ন ছিল জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ মো. ফিরোজ মিয়ার কাছে। জবাবে তিনি বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সামনের নির্বাচনে দেশের তরুণ ভোটাররাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ভোট দিতে প্রবলভাবে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। একটি সুষ্ঠু ও দক্ষ জনপ্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবদের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, রাজনৈতিক সরকারের সময় পদোন্নতির ক্ষেত্রে বেশ চাপ থাকে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় এ ধরনের কোনো চাপ নেই বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। ফলে প্রশাসনের দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা দূর করার এখন যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, সরকারকে এটি মাথায় রেখেই প্রশাসন সাজাতে হবে। যেসব কর্মকর্তা সৎ, দক্ষ, সাহসী ও উদ্যমী এবং যাদের রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির রেকর্ড নেই পদোন্নতির ক্ষেত্রে এসএসবি ওইসব কর্মকর্তার বিবেচনায় নিলে প্রশাসন নিরপেক্ষ শক্তিশালী হবে। এমন একটি প্রশাসনই এখন দেশের জন্য খুব জরুরি বলেও মনে করেন জনপ্রশাসন নিয়ে কাজ করা এ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা।
প্রশাসন সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটিতে অনুমোদন পেলে শিগগিরই জনপ্রশাসনে যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ১৩০ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হতে পারে। তবে ২০১৮ সালের রাতের ভোটের কারিগর হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী জেলাপ্রশাসকদের (ডিসি) সুপারিশের আওতায় নেওয়া হয়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র আমার দেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে সচিবদের শূন্য পদগুলো পূরণেও তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে দুই শতাধিক অতিরিক্ত সচিব বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মরত আছেন। এর বাইরে যুগ্ম সচিব থেকে ১৩০ জনকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত সচিব করা হতে পারে। জনপ্রশাসনে পদোন্নতির ধারাবাহিকতা ও গতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে অনুমোদিত পদের বাইরেও পদোন্নতি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইমাম-মোয়াজ্জিনদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেবে সরকারইমাম-মোয়াজ্জিনদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেবে সরকার
পদোন্নতির প্রক্রিয়ার বিষয়ে ওই কর্মকর্তা জানান, অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির জন্য এবার বিসিএস ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ ব্যাচে ৩৭৮ জন কর্মকর্তা থাকলেও সবাইকে পদোন্নতির জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। এ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বেশ কয়েকজন ২০১৮ সালের রাতের ভোটের সময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া যাদের বিরুদ্ধে অসদাচারণ, শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তাদের পদোন্নতির জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) পদোন্নতির তালিকা এখন পর্যালোচনা করছে। মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের পর এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক কর্মকর্তা। বর্তমানে অতিরিক্ত সচিবের জন্য অনুমোদিত পদের সংখ্যা দুশ’র কিছু বেশি। নির্দিষ্ট পদের বেশি অতিরিক্ত সচিব করার বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, জনপ্রশাসনে এখন একটি রীতি দাঁড়িয়েছে যে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে যেসব উইং রয়েছে সেগুলোর প্রধানের পদে অতিরিক্ত সচিবদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন করপোরেশন ও অটোনোমাস প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানের পদেও অতিরিক্ত সচিবদের পদায়ন করা হচ্ছে। এতে প্রায় চারশ’র বেশি অতিরিক্ত সচিবের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান তিনি।
সচিবদের শূন্য পদ পূরণে তালিকা চূড়ান্ত
গত ২০ জুন বিভিন্ন দপ্তরের পাঁচজন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। এ পাঁচজনসহ মোট ৯ জন সচিবের পদ শূন্য রয়েছে। এসব শূন্য পদ পূরণে সরকার ১২ জন কর্মকর্তার একটি তালিকা করা হয়েছে। এদের মধ্য থেকেই ক্রমানুযায়ী সচিবদের শূন্য পদগুলো পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান আমার দেশকে বলেন, প্রশাসনকে গতিশীল করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি প্রশাসনের চলমান প্রক্রিয়া। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোতে সচিবদের শূন্য পদগুলো পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পদোন্নতি ও পদায়নের প্রক্রিয়া কেমন হওয়া উচিতÑ এমন প্রশ্ন ছিল জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ মো. ফিরোজ মিয়ার কাছে। জবাবে তিনি বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সামনের নির্বাচনে দেশের তরুণ ভোটাররাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ভোট দিতে প্রবলভাবে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। একটি সুষ্ঠু ও দক্ষ জনপ্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবদের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, রাজনৈতিক সরকারের সময় পদোন্নতির ক্ষেত্রে বেশ চাপ থাকে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় এ ধরনের কোনো চাপ নেই বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। ফলে প্রশাসনের দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা দূর করার এখন যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, সরকারকে এটি মাথায় রেখেই প্রশাসন সাজাতে হবে। যেসব কর্মকর্তা সৎ, দক্ষ, সাহসী ও উদ্যমী এবং যাদের রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির রেকর্ড নেই পদোন্নতির ক্ষেত্রে এসএসবি ওইসব কর্মকর্তার বিবেচনায় নিলে প্রশাসন নিরপেক্ষ শক্তিশালী হবে। এমন একটি প্রশাসনই এখন দেশের জন্য খুব জরুরি বলেও মনে করেন জনপ্রশাসন নিয়ে কাজ করা এ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা।
পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট ক্রয় করতে হবে, যেখানে প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস এবং কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।
২৪ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৪২ মিনিট আগেপ্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করে সনদে স্বাক্ষরের যে উদ্যোগ নিয়েছিল, তা ছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা ঐক্য ও পরিবর্তনের প্রতি যৌথ অঙ্গীকারের প্রতীক। এটি আসন্ন নির্বাচনের আগে আস্থা তৈরিতেও সহায়ক হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেঅংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনি যুদ্ধকে স্বাগত জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, নির্বাচনী যুদ্ধে আমাদের জিততেই হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।
১ ঘণ্টা আগে