কারিতাসের পরামর্শ সভায় বক্তারা

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৫, ২১: ০৯

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতি বছর অগণিত মানুষ জীবিকা হারাচ্ছে ও বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে শহরের বস্তিতে অমানবিক পরিবেশে বসবাস করছে। সেখানে নাগরিক সেবার অভাব যেমন আছে, তেমনি জীবন-জীবিকারও কোনো নিরাপত্তা নেই। এ সংকট সমাধানে আরো সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার কারিতাস বাংলাদেশের উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ডিআরইউ মিলনায়তনে ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিবাসন ও নগর জীবনের বাস্তবতা: নীতিমালা বাস্তবায়নের বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক একটি জাতীয় পরামর্শ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সভার শুরুতে কারিতাস বাংলাদেশের পরিচালক (কর্মসূচি) দাউদ জীবন দাশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীসহ দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত, বিপদাপন্ন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি নিরসন, অভিযোজন ও জীবনমান উন্নয়নমূলক সংক্রান্ত কারিতাস বাংলাদেশ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরা হয়।

সভায় উপস্থিত সংবাদকর্মীদের কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অভিবাসন সংকট বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়।

কারিতাসের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারের ড. জামিল আহমেদের সঞ্চালনায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল ও প্রথম আলোর যুগ্ম-সম্পাদক সোহরাব হাসান বক্তব্য রাখেন। ব্রাক ইউনিভার্সির সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করার কথা থাকলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। তবে এতে গণমাধ্যমে বিপুল সংখ্যক কর্মী অংশ নেন।

পরামর্শ সভায় বলা হয়, গবেষণা সংস্থা রামরু ও এসনিএমআরের মতে, ২০১১ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ১ দশমিক ৬ থেকে ২ দশমিক ৬ কোটি মানুষ জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হতে পারে। জিআইজেড এর ২০২৩ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, শহরে আশ্রয় নেয়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিবাসীদের মধ্যে ৫৭ শতাংশই উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার।

বিষয়:

জলবায়ু
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত