স্বায়ত্তশাসনসহ ১১দফা দাবিতে পরমাণু কমিশনে লাগাতার অবস্থান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৭: ১১

স্বায়ত্তশাসন পুন:প্রতিষ্ঠাসহ ১১দফা দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি পালন করছেন পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরই অংশ হিসেবে সোমবার ঢাকায় কমিশনের প্রধান কার্যালয় সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ৪০টি প্রতিষ্ঠানে একযোগে অবস্থান কর্মসূচি এবং গণস্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই কার্যালয়ের কার্যক্রম চরম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সূত্রমতে, গত ২২ এপ্রিল ঢাকার আগারগাঁও এ অবস্থিত কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে বিজ্ঞানী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ হতে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে ১১ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২২ থেকে ২৪ এপ্রিল কমিশনের সব প্রতিষ্ঠানে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হ। মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত কমিশন চত্বরে সবাই অবস্থান গ্রহণ ও গণস্বাক্ষর গ্রহণ কর্মসূচি পালন করেন।

এসময় আন্দোলনকারীরা জানান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত পরমাণু শক্তি কমিশন একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। চারজন সদস্য ও একজন চেয়ারম্যান নিয়ে কমিশন গঠন করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে কখনো এই কমিশন পূর্ণাঙ্গ হয়নি। স্বাধীনভাবে যাতে প্রতিষ্ঠানটি সিদ্ধান্ত নিতে না পারে সেজন্যই এ অবস্থায় রাখা হয়েছে। এমনকি জিও জারির ক্ষমতাও মন্ত্রণালয়ে নেয়ায় আবেদন করলেও হয়রানি করা হয়। তাছাড়া উপযুক্ততা যাচাই না করেই ‘আইবাস’ সিস্টেমে যাওয়া নিয়ে জটিলতায় দুই মাস বেতন পাচ্ছেন না কেউ। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় আড়াই হাজার জনবল রয়েছে। বর্তমানে একজন চেয়ারম্যান ও সদস্য এর চলতি দায়িত্বে আছেন।

১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শূন্য পদে দ্রুত স্থায়ী নিয়োগ দিয়ে পূর্ণ কমিশন গঠন করতে হবে। কমিশনের স্বায়ত্তশাসন পূনঃপ্রতিষ্ঠায় মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্ববাদী আচরণ বন্ধ করতে হবে।

দেশে/বিদেশে উচ্চশিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের পূর্বানুমতি এবং মনোনয়ন দেয়ার এখতিয়ার কমিশনে ফিরিয়ে দিতে হবে।কমিশনের নিউক্লীয় তথ্যের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে, কমিশনকে ‘আইবাস প্লাস প্লাস’ সিস্টেমের বাইরে রেখে বাপশক আইন ২০১৭-এর ধারা ২০(১) ও ২০(২) অনুযায়ী কমিশনের তহবিল তফসিলি ব্যাংকে জমা ও বিধি অনুসারে ব্যয় নির্বাহের এখতিয়ার বলবৎ রাখতে হবে।

উচ্চশিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে জিও প্রদানে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করতে হবে। এছাড়া অপ্রাসঙ্গিক তথ্য চেয়ে হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের অবনমনকৃত সকল পদ নির্ধারিত গ্রেডে উন্নীত করে বৈষম্য নিরসন করতে হবে।

বাপশক চাকুরীবিধিমালা ১৯৮৫ এর ১৮(২) অনুযায়ী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের ন্যায় কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/সমপর্যায়ের বিজ্ঞানীদের গ্রেড-২, গ্রেড-১ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

মালিক সংস্থা হিসেবে কমিশনকে বাদ দিয়ে এনপিসিবিএল এবং পিডিবির মধ্যে পিপিএ সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।

সকল অস্থায়ী পদ স্থায়ীকরণ, নতুন পদ সৃজন, গবেষণা বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত কার্যক্রমে মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ বন্ধ করে গবেষণামুখী ও সম্মানজনক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

কমিশনের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের জন্য সরকারি চাকরিজীবীদের ন্যায় গৃহনির্মাণ/ফ্ল্যাট ক্রয় ঋণ, রেশন, এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সুদমুক্ত ঋণ ও গাড়ি সেবা নগদায়ন সুবিধাদি চালু করতে হবে। ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পদমানক্রম উন্নীতকরণ এবং বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের উপযুক্ত পদমানক্রম নির্ধারণ করতে হবে।

ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দলের বৈঠক

শুক্র-শনিবারও চলবে বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম

প্রধান উপদেষ্টার আদেশে জুলাই সনদের আইনি রূপ দিতে হবে

নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুরুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

আইআরআই’র সঙ্গে নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা এনসিপির

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত