স্টাফ রিপোর্টার
রাজধানীর পিলখানায় হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় করা বিস্ফোরক আইনের মামলার ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি বিচার। কবে নাগাদ এ মামলার বিচার শেষ হবে বলতে পারছেন না রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষসহ সংশ্লিষ্টরা। তবে দ্রুত সাক্ষী হাজির করে মামলার বিচার শেষ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা। এদিকে নিহত সেনা পরিবারের দাবি ওইদিনের নারকীয় ঘটনার নেপথ্যের কুশীলবসহ সব আসামি সাজা পাবে।
এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলছেন, এটা মিথ্যা মামলা। প্রকৃত আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ নিয়ে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের অভিযোগের তীর সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার দিকে।
বর্তমানে বিস্ফোরক মামলাটি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর স্থাপিত ঢাকার দুই নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইব্রাহিম মিয়ার আদালতে মামলাটি বিচারাধীন। এ মামলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে সাক্ষ্য দেন একজন। আগামি ১৩ মার্চ মামলা পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য আছে। এছাড়াও ওইদিন ৪৬২ জনের বিডিআর জওয়ানের জামিন আবেদনের ওপর শুনানির কথা রেয়েছে। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি ১৭৮ জন বিডিআর জওয়ান জামিনে কারামুক্ত হন।
ট্রাইব্যুনালের প্রধান চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের বিস্ফোরক আইনের মামলায় এ পর্যন্ত ১৭৮ জন বিডিআর সদস্যের জামিন হয়েছে। আসামিপক্ষ থেকে আরও ৪৬২ জনের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। তাদের জামিন বিষয়ে শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৩ মার্চ দিন ধার্য রয়েছে।
তিনি বলেন, এ মামলার চার্জশিটে ১১৪৫ জন সাক্ষী রয়েছেন। এর মধ্যে ২৮৫ জন সাক্ষী দিয়েছেন। আগামী তারিখে আরও সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করা হবে। আমরা নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। সাক্ষী হাজির করে মামলার বিচার দ্রুত শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
রাষ্ট্রপক্ষের এই চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, জামিন প্রাপ্তি বা জামিন নামঞ্জুর ন্যায় বিচার এমনটা বলা যাবে না। জামিনের জন্য মিডিয়াতে একটি গ্রুপ সক্রিয়। এর বিপরিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪ জন সামরিক কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিরাপরাধ মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এছাড়া পরিবারকেও হেনস্তা করা হয়েছে। এখানে যারা জড়িত বা এর বাইরেও থাকতে পারে বলে প্রসিকিউশন মনে করে। আজকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বিচার প্রার্থীরা চান এর মাস্টার মাইন্ডসহ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. ফয়সাল হোসেন বলেন, এটা একটা মিথ্যা মামলা। এ ঘটনায় কিছু মানুষ মারা গেছে এটা তো সত্য। তবে প্রকৃত আসামি ধরা পড়েনি। ভিকটিমদের পরিবারও বলেছে ন্যায়বিচার হয়নি। কারণ প্রকৃত আসামিরা বিচারের আওতায় আসেনি। যারা মামলার আসামি তারা ঘটনার সাথে জড়িত না। কাজেই আশা করছি, তারা ন্যায়বিচারে খালাস পাবেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। সে ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে যায়।
হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরও ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন।
হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন। অন্যদিকে হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়।
এদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজও শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে এই মামলার বিচার ঝুলে যায়।
ক্ষমতার পালাবদলের অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠছে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
রাজধানীর পিলখানায় হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় করা বিস্ফোরক আইনের মামলার ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি বিচার। কবে নাগাদ এ মামলার বিচার শেষ হবে বলতে পারছেন না রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষসহ সংশ্লিষ্টরা। তবে দ্রুত সাক্ষী হাজির করে মামলার বিচার শেষ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা। এদিকে নিহত সেনা পরিবারের দাবি ওইদিনের নারকীয় ঘটনার নেপথ্যের কুশীলবসহ সব আসামি সাজা পাবে।
এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলছেন, এটা মিথ্যা মামলা। প্রকৃত আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ নিয়ে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের অভিযোগের তীর সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার দিকে।
বর্তমানে বিস্ফোরক মামলাটি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর স্থাপিত ঢাকার দুই নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইব্রাহিম মিয়ার আদালতে মামলাটি বিচারাধীন। এ মামলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে সাক্ষ্য দেন একজন। আগামি ১৩ মার্চ মামলা পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য আছে। এছাড়াও ওইদিন ৪৬২ জনের বিডিআর জওয়ানের জামিন আবেদনের ওপর শুনানির কথা রেয়েছে। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি ১৭৮ জন বিডিআর জওয়ান জামিনে কারামুক্ত হন।
ট্রাইব্যুনালের প্রধান চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের বিস্ফোরক আইনের মামলায় এ পর্যন্ত ১৭৮ জন বিডিআর সদস্যের জামিন হয়েছে। আসামিপক্ষ থেকে আরও ৪৬২ জনের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। তাদের জামিন বিষয়ে শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৩ মার্চ দিন ধার্য রয়েছে।
তিনি বলেন, এ মামলার চার্জশিটে ১১৪৫ জন সাক্ষী রয়েছেন। এর মধ্যে ২৮৫ জন সাক্ষী দিয়েছেন। আগামী তারিখে আরও সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করা হবে। আমরা নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। সাক্ষী হাজির করে মামলার বিচার দ্রুত শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
রাষ্ট্রপক্ষের এই চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, জামিন প্রাপ্তি বা জামিন নামঞ্জুর ন্যায় বিচার এমনটা বলা যাবে না। জামিনের জন্য মিডিয়াতে একটি গ্রুপ সক্রিয়। এর বিপরিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪ জন সামরিক কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিরাপরাধ মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এছাড়া পরিবারকেও হেনস্তা করা হয়েছে। এখানে যারা জড়িত বা এর বাইরেও থাকতে পারে বলে প্রসিকিউশন মনে করে। আজকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বিচার প্রার্থীরা চান এর মাস্টার মাইন্ডসহ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. ফয়সাল হোসেন বলেন, এটা একটা মিথ্যা মামলা। এ ঘটনায় কিছু মানুষ মারা গেছে এটা তো সত্য। তবে প্রকৃত আসামি ধরা পড়েনি। ভিকটিমদের পরিবারও বলেছে ন্যায়বিচার হয়নি। কারণ প্রকৃত আসামিরা বিচারের আওতায় আসেনি। যারা মামলার আসামি তারা ঘটনার সাথে জড়িত না। কাজেই আশা করছি, তারা ন্যায়বিচারে খালাস পাবেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। সে ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে যায়।
হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরও ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন।
হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন। অন্যদিকে হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়।
এদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজও শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে এই মামলার বিচার ঝুলে যায়।
ক্ষমতার পালাবদলের অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠছে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
পরে অন্য সিনিয়র রিপোর্টারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এ্যানি। এ সময় আমার দেশ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ভারপ্রাপ্ত চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৭ মিনিট আগেসেন্টমার্টিন দ্বীপে নৌযান চলাচলের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেতিনি আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় ও এসেম্বলিতে তামাকের ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। এছাড়া শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সময়েও এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এ সময় উপদেষ্টা তামাকমুক্ত বিদ্যালয় ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
২ ঘণ্টা আগেআগামী শুক্র ও শনিবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম পুরোদমে চলবে। এ জন্য ঢাকা কাস্টমস হাউসের সব শুল্ক দলের অফিস খোলা থাকবে। বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এসংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে