আধুনিক যুগের বড় ফিতনা ট্রান্সজেন্ডারিজম: ধর্ম উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ১৭
আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ২৭

ট্রান্সজেন্ডারিজমকে আধুনিক যুগের বড় ফিতনা উল্লেখ করে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, একজন ছেলের লিঙ্গ আছে, দাড়ি আছে। কিন্তু সে ইনজেকশন নিয়ে গলার কণ্ঠ পরিবর্তন করে ফেলে, দাড়ি কমিয়ে ফেলে নারী সাজে। কপালে টিপ, হাতে চুড়ি দেবে, শাড়ি পরবে ও থ্রি পিস পরবে আর বলবে আমি নারী। কিন্তু হাজার বার বললেও কাপড়ের ভেতরে যে লিঙ্গ আছে -তা বদলানো যাবে না কোনো দিন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্বগেটে ইসলামী বইমেলা প্রাঙ্গণে প্রফেসর ড. আহমদ আলী রচিত 'আধুনিক চিন্তাধারা ও মতবাদ' শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, একটা পপুলার মতবাদ আছে, বস্তুবাদ। আমরা জানি না বস্তুবাদ বলতে কি? উদারতাবাদ, মানবতাবাদ -কথাগুলো দেখতে সুন্দর, শুনতে সুন্দর কিন্তু ভিতরে অন্য কথা আছে। যুক্তিবাদ, মুক্তচিন্তা -মুক্ত হতে হতে যদি আল্লাহকে অস্বীকার করে বসি, আখিরাতকে অস্বীকার করে বসি -এই মুক্তচিন্তা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক।

তিনি বলেন, অত্যন্ত জনপ্রিয় টার্ম সেক্যুলারিজম, আধুনিকতাবাদ, জাতীয়তাবাদ ও আন্তর্জাতিকতাবাদ এসব কিছুর -ইতিবাচক ও নেতবাচক দুটোই আছে। বিশ্বায়ন, শব্দটি শুনতে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু এর ভেতরে অনেক কিছুই আছে যা সম্পর্কে এই বইয়ের বিস্তারিত আলোচনা আছে।

তিনি আরও বলেন, মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় জ্ঞান অন্যতম চালিকা শক্তি। এই জ্ঞান অর্জন, বিকাশ ও প্রসারের অন্যতম মাধ্যম হলো গবেষণা। গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা। গবেষণাধর্মী গ্রন্থ রচনার মাধ্যমে লেখক অনুসন্ধানের ফলাফল, নিজের উপলব্ধি ও চিন্তাধারাকে প্রকাশ করেন। এর মাধ্যমে জ্ঞানের নতুন দিক উন্মোচিত হয়, জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়। তাই গবেষণালব্ধ গ্রন্থ নিছক কোনো বই নয়; এটি এক অর্থে যুগের দর্পণ ও ভবিষ্যতের আলোকবর্তিকা।

উপদেষ্টা বলেন, গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হলো অজানাকে জানা ও বিদ্যমান জ্ঞানের পরিধিকে সম্প্রসারণ করা। গবেষণাধর্মী গ্রন্থের মাধ্যমে সেই নতুন জ্ঞানকে বৃহত্তর পাঠকসমাজের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম তাদের চিন্তাকে বিকশিত করতে পারে এবং বিভিন্ন জটিল সমস্যার সমাধান খুঁজে পায়।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত