টাইফয়েডের টিকা ক্যাম্পেইন শুরু, পাবে ৫ কোটি শিশু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ১৩
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ৩০
আজিমপুরে গার্লস স্কুলে টাইফয়েডের টিকা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন সিভিল সার্জন

দেশব্যাপী শিশুদের টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। রোববার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

বিজ্ঞাপন

এই কর্মসূচিতে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) মাধ্যমে স্থায়ী কেন্দ্রের পাশাপাশি অস্থায়ী কেন্দ্রেও চলবে টিকাদান। জন্মনিবন্ধন নেই এমন শিশুরাও পাবে এই টিকা।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জ্বর প্রতিরোধ, সংক্রমণ হ্রাস, জ্বরের কারণে সৃষ্ট জটিলতা ও মৃত্যু হ্রাসের লক্ষ্যে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে এজন্য নিবন্ধনের আহ্বান জানানো হলেও গতকাল শনিবার পর্যন্ত নানা জটিলতায় আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। তাই নিবন্ধন না থাকলেও টিকা নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গত বৃহস্পতিবার টিকা ক্যাম্পেইন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জানান, প্রতিরোধযোগ্য মারাত্মক সংক্রমণ রোগগুলোর মধ্যে টাইফয়েডের জ্বর অন্যতম। সালমোনেলা টাইফি নামে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে এই রোগ হতে পারে। দূষিত পানি খাবারের মাধ্যমে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে টাইফয়েড হয়ে থাকে।

তিনি জানান, এই টিকার মান শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার পরই জাতীয় ক্যাম্পেইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০১৯ সালে এই টিকা পাকিস্তানে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২০২২ সালে এই টিকা নেপালেও সফলভাবে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ভারতের মুম্বাইয়ে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে কার্যক্রম চলমান থাকবে। জন্ম নিবন্ধন ছাড়াও ম্যানুয়ালি এই টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত