১৯২ দেশে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা

প্রবাসীদের ভোটগ্রহণে পোস্টাল ব্যালটেই আস্থা ইসির

গাজী শাহনেওয়াজ
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ০৫: ০১

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটগ্রহণের জন্য পোস্টাল ব্যালটেই আস্থা রাখল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে করতে ডাক বিভাগ ১৯২টি দেশকে টার্গেট করে যোগাযোগ স্থাপনে কাজ করছে। এক্ষেত্রে বিশ্ব ডাক ইউনিয়নের (ইউপিইউ) পলিসি ও নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। ভোটদান কার্যক্রমটি সহজতর করার জন্য ডাক বিভাগকে সর্বোচ্চ ২৮ দিন এবং সর্বনিম্ন আটদিন সময় ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে খরচ ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রমের জন্য ৪৮ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পাঠানো হয়েছিল পরিকল্পনা কমিশনে। কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে প্রস্তাবনাটি ইসিতে ফেরত পাঠানো হয়। সেগুলো ঠিক করে প্রস্তাবটি পুনরায় কমিশনে পাঠানো হবে। সারাবিশ্বে এক কোটি ৩০ লাখ বাংলাদেশির মধ্যে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ইসির টার্গেট ৫০ লাখ প্রবাসীর অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন করা।

বিজ্ঞাপন

ইসি ও ডাক বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘ইউপিইউ’ জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা, যা বিশ্বব্যাপী ডাক ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য কাজ করে। সংস্থাটির সদস্য সংখ্যা ১৯২টি।

এদিকে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটগ্রহণের প্রকল্প শেষ হবে ২০২৭ সালের জুনে। সরকারি অর্থায়নে এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রবাসী ভোটারদের পোস্টাল ভোটিং কার্যক্রম সম্পন্নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বাইরে ডাক বিভাগের খরচ।

প্রকল্পের চারটি উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে—প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি ভোটারদের ভোট প্রদানের লক্ষ্যে ডাকভোট (আইটি সাপোর্টেড) ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন; প্রযোজ্য ভোটারদের জন্য ডাকযোগে ভোটিং (দেশের অভ্যন্তরে আইন অনুযায়ী); অনলাইন ভোটিং (শুধু ডেভেলপমেন্ট) পদ্ধতির নিরাপত্তা, ব্যবহার যোগ্যতা ও নির্ভরযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য সফটওয়্যার উন্নয়ন করা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি ভোটার ও রাজনৈতিক দলের আস্থা বৃদ্ধি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডাক বিভাগের একজন কর্মকর্তা আমার দেশকে বলেন, ডাক বিভাগের সঙ্গে ১৯২ দেশের সম্পর্ক রয়েছে। কমিশন আমাদের বরাদ্দ দেয়নি। আমরা কাজ করছি। আমাদের দূরত্ব বিবেচনা করে সর্বোচ্চ ২৮ দিন এবং সর্বনিম্ন আটদিন সময় টার্গেট দেওয়া হয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত