১১ কোটির অবৈধ সম্পদ

বেনজীরের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দুদকের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ৫৪

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে তার সম্পদের তথ্য পেতেও সংস্থাটির পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সোমবার ওই চার্জশিটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, বেনজীর পরিবারের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংসহ আরও কয়েকটি দুর্নীতির মামলা তদন্তাধীন রয়েছে, পর্যায়ক্রমে আইনি প্রক্রিয়ায় নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বেনজীরের বিরুদ্ধে ১১ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া অত্যাধুনিক ফ্ল্যাট, জমি, বিলাসবহুল রিসোর্ট- সবকিছুর মালিকানা জুড়ে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। অঢেল সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগে তদন্ত করছে দুদক। সংস্থাটির অনুসন্ধানে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সম্পদের খোঁজ মিলেছে।

তিনি আরও জানান, বেনজীরের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় সম্পদ ও ব্যবসায়িক বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে দেশগুলোতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

দুদক জানায়, কমিশনের নোটিশে সম্পদ বিবরণী দাখিলকালে বেনজীর আহমেদ ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৫ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য জমা দেন। তবে তদন্তে তার নামে ৭ কোটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮৭ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৮ কোটি ১২ লাখ ৩১ হাজার ২৬৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ থাকার প্রমাণ মেলে। তিনি ১ কোটি ৮৫ লাখ ৩১ হাজার ৬২২ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ২ কোটি ৪০ লাখ ৪১ হাজার ২৯৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ গোপন করেছেন বলে দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে।

এ ছাড়া অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস ও মালিকানা গোপনের উদ্দেশ্যে তিনি তার নাবালিকা কন্যা যাহরা যারীন বিনতে বেনজীরের নামে অর্জিত সম্পদ এর বিবরণীতে প্রদর্শন করেননি।

দুদক আরও জানায়, বেনজীর আহমেদের নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ১৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। এর বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ মাত্র ৬ কোটি ৫৯ লাখ ৪২ হাজার ৬৬৮ টাকা। নির্ধারিত সময়ে তিনি ১ কোটি ৯৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৩ টাকা ব্যয় করেছেন। ফলে তার অবৈধ সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকা। দুদক জানায়, বেনজীর আহমেদ তার অপরাধলব্ধ অর্থের প্রকৃতি, উৎস ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করে তা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও যৌথ মূলধনি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন। এ কার্যক্রম দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত