গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়ছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি। তার মাথার ভেতরে থাকা বুলেট এখনও বের করা সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার বিকেলে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, হাদির অবস্থা ক্রিটিক্যাল। তার মাথার ভেতরে গুলি আছে। বর্তমানে অপারেশন থিয়েটারে তার সার্জারি চলছে। হাদিকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, বেলা ২টা ২৫ মিনিটে একটি মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা আসে। মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। অপর একটি সূত্র বলছে তিনটি মোটরসাইকেলে ৬জন দুর্বৃত্তকে ঘটনাস্থল থেকে পালাতে দেখা গেছে। একটি গুলি হাদির কানের পাশ দিয়ে মাথায় ঢুকে আটকে যায়। ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা শুরুর আগ পর্যন্ত ব্যাপক রক্তক্ষরণ ও মাথার ভেতর গুলি আটকে থাকায় হাদির অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় হাদির পেছনের রিকশায় ছিলেন মো. রাফি। তিনি ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার বর্ণনা দেন। রাফি জানান, জুমার নামাজ শেষে আমরা হাইকোর্টের দিকে আসছিলাম। রিকশায় ছিলাম। বিজয়নগরে আসতেই একটা মোটরসাইকেলে করে দুজন এসে হাদি ভাইয়ের ওপর গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। আমি ভাইয়ের পেছনের রিকশায় ছিলাম।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে রাজধানী বিজয়নগরের কালভার্ট এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণাকালে দুর্বৃত্তদের ছোড়াগুলিতে আহত হন হাদি। গুলি করে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ঢামেকের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। মাথায় গুলি লাগায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে হাদির।
এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, নির্বাচনি পরিবেশে এমন সহিংস হামলা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য এটি অত্যন্ত দু:খজনক ঘটনা।
একই সঙ্গে তিনি আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।

