সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গে মাল্টি ডিসিপ্লিনে কাজ করছে বার্ন ইন্সটিটিউট

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে ৫ সদস্যদের চীনা চিকিৎসক দল আসছেন ঢাকায়। এছাড়া ইতোমধ্যেই ঢাকায় আসা সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গে মাল্টি ডিসিপ্লিনে কাজ করছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।

বৃহস্পতিবার ব্রিফিংয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন এসব কথা বলেন।

নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে কিছু ভালো খবর যেমন আছে তেমনি খারাপ খবরও আছে। এই মুহূর্তে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৪২ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তাছাড়া আইসিইউতে রয়েছে আটজন। এর মধ্যে খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে ছয় জন। এই ছয়জনের মধ্যে তিন জন তুলনামূলক কিছুটা ভাল আছে। তাছাড়া আরও দুইজন নিহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউটে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ভালো খবর হলো দুই দিনে আমাদের ১৩ জন রোগীকে কেবিনে স্থানান্তর করতে পেরেছি। তাদের অনেককেই আগামী দুই একদিনের মধ্যে হয়ত বাসায় পাঠাতে পারবো। তাছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন ছয়জন রোগী।

বিদেশি চিকিৎসকদের বিষয়ে তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। মাল্টি ডিসিপ্লিনে কাজ করা হচ্ছে। রোগীদের ড্রেসিং ও চিকিৎসার জন্য যা দরকার তা একসঙ্গে বসে করা হয়। তাছাড়া ভারত থেকে ইতিমধ্যে প্রতিনিধি দল চলে এসেছে। তারা আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। চীন থেকে চিকিৎসক দল এখনও আসেনি। আশা করছি আজ রাতের (বৃহস্পতিবার রাত) মধ্যে পাঁচ জনের একটি বিশেষজ্ঞ দল চলে আসবে। তারা যদি কোনো সহযোগিতা করতে চান তাহলে আমরা তা গ্রহণ করবো।

অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন আরো বলেন, আমাদের এই মুহূর্তে রক্তের কোন প্রয়োজন নেই। আমাদের কাছে চামড়ার দানের জন্য অনেকে আসছেন কিন্তু আমরা এখন তা নিচ্ছি না। আমাদের ব্যাংকে আছে যদি লাগে তাহলে সেখান থেকে ব্যবহার করতে পারবো। অনেকে আমাদের কাছে বিকাশ, নগদ বা বিভিন্নভাবে টাকা পাঠাতে চাচ্ছেন। তবে এসবের কোন প্রয়োজন নেই কারণ সরকার থেকে আমাদের সব ধরনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।