বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক বিষয়ক বক্তৃতায় ইইউ রাষ্ট্রদূত

গণতন্ত্রে উত্তরণে সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি

কূটনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪৮

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ ডেলিগেশন প্রধান ও রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেছেন,বাংলাদেশে গণতন্ত্রে উত্তরণে সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করা জরুরি। আগামী বছর নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে বলে আমরা আশাবাদী এবং নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার অ্যাসোসিয়েশন অব ফর্মার অ্যাম্বাসেডরস’ আয়োজিত বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্ক বিষয়ক বক্তব্যে ইইউ রাষ্ট্রদূত এই মন্তব্য করেন। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আল হাসান, সহসভাপতি রাষ্ট্রদূত শাহেদ আখতার, সাধারণ সম্পাদক এ এফ এম গাউসুল আজম সরকার, রাষ্ট্রদূত এম শফিউল্লাহ, রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবীর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা অংশ নেন।

ইইউ রাষ্ট্রদূত বক্তব্যে বলেন, আমি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ঘুরেছি। সেখানে তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশা এবং আকাঙ্ক্ষা লক্ষ্য করেছি। তরুণ প্রজন্মের এই আকাঙ্ক্ষা পূরণের একটি সুযোগ বাংলাদেশের সামনে এখন। তরুণদের এই প্রত্যাশা পূরণে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, উন্নয়ন সহযোগীসহ সব পক্ষের একযোগে কাজ করা উচিত।

আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক উত্তরণের পথে অগ্রসর হচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গণতন্ত্রে উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারের নেয়া সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন হওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে অবশ্যই রাজনৈতিক ঐকমত্য দরকার। বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ সম্পর্কে মিলার বলেন,ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। যেকোনো বিনিয়োগকারী তার বিনিয়োগের সুরক্ষা এবং একটি স্থিতিশীল পরিবেশ চায়।

বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, মানবাধিকার, উন্নয়ন, গণতন্ত্র এবং বাক-স্বাধীনতার মত ইস্যুগুলো আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে মূলভিত্তি। এসব ইস্যুতে আমরা আগামী দিনগুলোতে আরো জোরালো-ভাবে কাজ করে যাবো। তিনি বলেন, ইইউ সবসময় বাংলাদেশ থেকে বৈধ অবিভাসন প্রত্যাশা করে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষ এবং আধাদক্ষ শ্রমিক পাঠানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, নিরাপত্তা ক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। বিশেষ করে কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইইউ বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছে। বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সামরিক ক্ষেত্রে আরো সহযোগিতা প্রয়োজন।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ইইউ তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে বলে মন্তব্য করে রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসন। তবে এই প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায় এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে।

গাজা পরিস্থিতিতে বিশ্বের জন্য বিপর্যয়র বলে মন্তব্য করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত