জ্বালানি খাতে বকেয়া শূন্যে নেমেছে: প্রধান উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৫, ২১: ৩৩

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি দেশের মানুষকে লুটপাট তন্ত্র থেকে বের করে আনতে। আপনারা জানেন, বিগত ১৬ বছরে উন্নয়নের নামে মেগা প্রকল্প নিয়ে কি পরিমাণ লুটপাট হয়েছে। মেগা প্রকল্পগুলো যেন হয়ে উঠেছিল মেগা ডাকাতির প্রকল্প। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পুনঃরায় মূল্যয়ন করে দেখেছি যে প্রায় সব প্রকল্পেই ভৌতিক ব্যয় ধরা হয়েছে। শুধুমাত্র সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ, রেল মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ—এই পাঁচ বিভাগেই ব্যয় সংকোচন করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এই টাকা দিয়ে জ্বালানি খাতে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিয়ে বকেয়ার পরিমাণ শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করে সব ধরনের ঋণের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসা আমাদের অগ্রাধিকার।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশে বিনিয়োগ বাড়ানো ও নতুন কর্মসংস্থান তৈরিতে আমাদের গুরুত্ব দিতেই হবে। তা না হলে এদেশকে আমরা যে স্থানে নিয়ে যেতে চাই সেখানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ব্যাপারে রাজনৈতিক দল ও জনগণও আমাদের সর্বাত্মক সমর্থন করছেন। সকলের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ, কৌতূহল আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে ৩০টি মূল সংস্কারকাজকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যেই ১৮টি সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়েছে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে এবং দেশি-বিদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। গত অক্টোবর হতে মার্চ পর্যন্ত নেট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে মোট ৭৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।

ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫-এ নির্দিষ্ট খাতভিত্তিক সেশনের মাধ্যমে ব্যবসায়ী চেম্বার, ব্যাংক ও বেসরকারি খাতের অন্যান্য অংশীদারদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ইনভেস্টমেন্ট সামিটে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও আলোচনার জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল, যাতে করে পরবর্তীতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন তারা যেন বিনিয়োগবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে নিজেদের প্রতিশ্রুতির কথা জানাতে পারেন। সম্প্রতি চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী চীনের ১০০টি কোম্পানির প্রায় দেড়শ বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুতই বড় আকারের বিদেশি বিনিয়োগ দেখতে পাব।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত