আমার দেশ অনলাইন
ভারতে প্রশিক্ষণ এবং দেশটির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশে এসে নানা রকম অপরাধী কর্মকাণ্ড করছে ইউপিডিএফ (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) সেই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির মাধ্যমে পাহাড়কে অশান্ত করার চেষ্টা করছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এখনই তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে তারা আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে এবং পাহাড়কে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারে। বিগত দেড় দশকে হাসিনা সরকারের কাছে এমন রিপোর্ট বার বার দিয়েছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু ভারতের বিরাগভাজন হতে হবে বলে বছরের পর বছর এমন রিপোর্ট দেওয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি শেখ হাসিনা।
উল্টো যেসব কর্মকর্তা এমন রিপোর্ট দিতেন তাদের কৌশলে চাকরিচ্যুত কিংবা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে শাস্তি দেওয়া হতো। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর নতুন নতুন কৌশল নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা। যার সর্বশেষ উদাহরণ হলো- কথিত ধর্ষণের অভিযোগ তুলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টায় শত শত বাড়িঘরে আগুন দেওয়া।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, ইউপিডিএফের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড কৌশলগতভাবে পরিকল্পিত এবং সীমান্তের বাইরের সমর্থন পেয়েছে। বিশেষত ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন ও লজিস্টিক সহায়তা গ্রহণের মাধ্যমে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় ভুয়া ধর্ষণ ও অপহরণের নাটক রচনা করছে। এসব নাটকের মূললক্ষ্য সামাজিক উত্তেজনা সৃষ্টি এবং প্রশাসনের ওপর চাপ তৈরি করা।
গত কয়েক মাসে পার্বত্য অঞ্চলে বিশেষ করে খাগড়াছড়িতে ঘটা কিছু ভুয়া অভিযোগ ও অপহরণের ঘটনা তদন্তে দেখা গেছে, এসব ঘটনা পরিকল্পিতভাবে প্রচার করা হয়েছে, যাতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক এবং বিভাজন সৃষ্টি হয়। গোয়েন্দা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ কৌশল ব্যবহার করে ইউপিডিএফ নিজেদের রাজনৈতিক ও সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে।
গোয়েন্দা সূত্র আরো বলছে, এসব কার্যক্রম শুধু নানিয়ারচরেই সীমিত নয়; পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য স্পর্শকাতর এলাকায়ও এ ধরনের কৌশল প্রয়োগ হতে পারে। গোয়েন্দারা সতর্ক করেছেন, যদি কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় স্তরে দ্রুত এবং স্বচ্ছ তদন্ত না করা হয়, তবে এ ধরনের নাটক আরো বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত এবং অপহরণের ঘটনার সম্ভাবনা তৈরি করবে। প্রশাসনকে এখনই প্রয়োজন, প্রমাণভিত্তিক তদন্ত, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে সামাজিক টানাপোড়েন কমানো।
ইউপিডিএফের সন্ত্রাস থামানোর আহ্বান
পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউপিডিএফের সশস্ত্র কার্যক্রম থামাতে এখনই কঠোর সামরিক অভিযান দাবি করছেন বিশ্লেষকরা। গোয়েন্দা ও মাঠপর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতে তারা বলছেন, সূত্রবিহীনভাবে ছড়ানো ভুয়া ধর্ষণ-অপহরণ নাটক এবং বিদেশি প্রশিক্ষণ ও লজিস্টিক সহায়তার আভাস প্রমাণ করে যে, ইউপিডিএফকে এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেবে।
সামরিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. শাহীদুজ্জামান বলেন, সমন্বিত দিকনির্দেশনা ছাড়া ইউপিডিএফের মতো সংগঠনকে দমন করা সম্ভব নয়। এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে যে কোনো অস্থিতিশীলতার দায় সেনাবাহিনীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। নানিয়ারচরে ইউপিডিএফের প্রভাব যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও অপহরণের ঘটনা আমাদের নিয়মিত দেখতে হবে। ফলে এখনই সমন্বিত কৌশল না নিলে পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতা অব্যাহত থাকবে।
ভারতে প্রশিক্ষণ এবং দেশটির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশে এসে নানা রকম অপরাধী কর্মকাণ্ড করছে ইউপিডিএফ (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) সেই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির মাধ্যমে পাহাড়কে অশান্ত করার চেষ্টা করছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এখনই তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে তারা আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে এবং পাহাড়কে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারে। বিগত দেড় দশকে হাসিনা সরকারের কাছে এমন রিপোর্ট বার বার দিয়েছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু ভারতের বিরাগভাজন হতে হবে বলে বছরের পর বছর এমন রিপোর্ট দেওয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি শেখ হাসিনা।
উল্টো যেসব কর্মকর্তা এমন রিপোর্ট দিতেন তাদের কৌশলে চাকরিচ্যুত কিংবা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে শাস্তি দেওয়া হতো। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর নতুন নতুন কৌশল নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা। যার সর্বশেষ উদাহরণ হলো- কথিত ধর্ষণের অভিযোগ তুলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টায় শত শত বাড়িঘরে আগুন দেওয়া।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, ইউপিডিএফের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড কৌশলগতভাবে পরিকল্পিত এবং সীমান্তের বাইরের সমর্থন পেয়েছে। বিশেষত ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন ও লজিস্টিক সহায়তা গ্রহণের মাধ্যমে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় ভুয়া ধর্ষণ ও অপহরণের নাটক রচনা করছে। এসব নাটকের মূললক্ষ্য সামাজিক উত্তেজনা সৃষ্টি এবং প্রশাসনের ওপর চাপ তৈরি করা।
গত কয়েক মাসে পার্বত্য অঞ্চলে বিশেষ করে খাগড়াছড়িতে ঘটা কিছু ভুয়া অভিযোগ ও অপহরণের ঘটনা তদন্তে দেখা গেছে, এসব ঘটনা পরিকল্পিতভাবে প্রচার করা হয়েছে, যাতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক এবং বিভাজন সৃষ্টি হয়। গোয়েন্দা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ কৌশল ব্যবহার করে ইউপিডিএফ নিজেদের রাজনৈতিক ও সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে।
গোয়েন্দা সূত্র আরো বলছে, এসব কার্যক্রম শুধু নানিয়ারচরেই সীমিত নয়; পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য স্পর্শকাতর এলাকায়ও এ ধরনের কৌশল প্রয়োগ হতে পারে। গোয়েন্দারা সতর্ক করেছেন, যদি কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় স্তরে দ্রুত এবং স্বচ্ছ তদন্ত না করা হয়, তবে এ ধরনের নাটক আরো বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত এবং অপহরণের ঘটনার সম্ভাবনা তৈরি করবে। প্রশাসনকে এখনই প্রয়োজন, প্রমাণভিত্তিক তদন্ত, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে সামাজিক টানাপোড়েন কমানো।
ইউপিডিএফের সন্ত্রাস থামানোর আহ্বান
পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউপিডিএফের সশস্ত্র কার্যক্রম থামাতে এখনই কঠোর সামরিক অভিযান দাবি করছেন বিশ্লেষকরা। গোয়েন্দা ও মাঠপর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতে তারা বলছেন, সূত্রবিহীনভাবে ছড়ানো ভুয়া ধর্ষণ-অপহরণ নাটক এবং বিদেশি প্রশিক্ষণ ও লজিস্টিক সহায়তার আভাস প্রমাণ করে যে, ইউপিডিএফকে এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেবে।
সামরিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. শাহীদুজ্জামান বলেন, সমন্বিত দিকনির্দেশনা ছাড়া ইউপিডিএফের মতো সংগঠনকে দমন করা সম্ভব নয়। এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে যে কোনো অস্থিতিশীলতার দায় সেনাবাহিনীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। নানিয়ারচরে ইউপিডিএফের প্রভাব যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও অপহরণের ঘটনা আমাদের নিয়মিত দেখতে হবে। ফলে এখনই সমন্বিত কৌশল না নিলে পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতা অব্যাহত থাকবে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশোধিত বিধির গেজেট প্রকাশ করে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করাসহ ২ দফা দাবিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ৪৩তম বিসিএস নন–ক্যাডার প্রত্যাশী আবেদনকারী প্রার্থীরা।
১৯ মিনিট আগেসরকারী কর্মকমিশনের (পিএসসি) নবনিয়োগপ্রাপ্ত সদস্য একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক শপথ গ্রহণ করেছেন।
৩৯ মিনিট আগেরাজধানীর ধানমন্ডি ও বনানীতে পৃথক ঘটনায় দুই অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
১ ঘণ্টা আগেনতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোট। বুধবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংগঠনের নেতারা। এ ঘটনায় নতুন কর্মসূচি হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে
১ ঘণ্টা আগে