জনশক্তি রপ্তানিতে সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫: ০৬
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬: ৩১

মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশে সিন্ডিকেট বন্ধের দাবি জানিয়েছে বায়রার সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট। এছাড়াও বিমানের টিকেট সিন্ডিকেট বন্ধ এবং সৌদি আরবে একক ভিসায় সত্যায়ন বিহীন বহির্গমন ছাড়পত্র চালুর দাবি জানায় সংগঠনটি।

বিজ্ঞাপন

সোমবার সকালে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বায়রার সাবেক সভাপতি এম এ এইচ সেলিম। তিনি বলেন, বিগত স্বৈরাচারী ও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু ভুলনীতি ও কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতিকারী, লোভী, অপরাধী এবং ষড়যন্ত্রকারী ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই সেক্টরটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। স্বৈরাচারী সরকারের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে ও প্রত্যক্ষ সমর্থনে সিন্ডিকেট হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও তাদের কোনো বিচার করেনি। এই বিচারহীনতার কারণে সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ড আমিন, স্বপনেরা পুনরায় মালয়েশিয়াতে সিন্ডিকেট করে অভিবাসী কর্মী রপ্তানি করার চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়েছে, দেশপ্রেমিক অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে কিন্তু মন্ত্রণালয় ও বিএমইটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মকাণ্ডে কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং মনে হচ্ছে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের প্রেতাআত্মা এখনো মন্ত্রণালয় ও বিএমইটির প্রতিটি টেবিলে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

এম এ এইচ সেলিম বলেন, চিহ্নিত চক্রটি পুনরায় সিন্ডিকেট করে মালয়েশিয়াতে জনশক্তি রপ্তানি করার পাঁয়তারা করছে এবং তাদেরকে নাকি আমাদের মন্ত্রণালয়ের কেউ কেউ সহযোগিতাও করছেন। এবার যদি অন্তর্বর্তী সরকার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়াতে কর্মী রপ্তানির সুযোগ দেন, তাহলে তাদের সাথে স্বৈরাচারী সরকারের পার্থক্য কোথায়?

সরকার সিন্ডিকেটের ফাঁদে পা দিবেন না এবং বাজারটি সকলের বৈধ রপ্তানিকারকদের জন্য উন্মুক্ত রাখবেন বলে আশা করেন তিনি। যদি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়া বা অন্য কোনো দেশে অভিবাসী কর্মী পাঠানোর চেষ্টা করা হয় তাহলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।

সৌদি আরবের ভোগান্তির কথা তুলে ধরে এই সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের অভিবাসী কর্মীদের বৃহত্তর শ্রমবাজার। সেখানে বর্তমানে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ শ্রমিক কর্মরত। কিন্তু দূতাবাসের কর্মীর সংখ্যা খুবই কম। বিগত অনেক বছর থেকে ২৫ জনের নিচে কোনো চাহিদা পত্রের সত্যায়নের প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতিটা চাহিদাপত্র দূতাবাস থেকে সত্যায়ন করা বাধ্যতামূলক করে দেন। এতে করে হাজার কর্মী ও শত শত রপ্তানিকারক ভীষণ বেকায়দায় পড়ে যায়। সরকারের এই প্রজ্ঞাপনের ফলে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকেরা শ্রমিক রপ্তানি করতে পারছে না। নিয়োগকর্তারাও বাংলাদেশের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছে।

বাজার চালু রাখার স্বার্থে, অভিবাসী কর্মী ও রপ্তানিকারকদের হয়রানি বন্ধ করার জন্য পূর্বে নিয়মে বহির্গমন ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য আমরা সরকারের নিকট বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। এর পাশাপাশি সিন্ডিকেট প্রথা ভেঙে দিয়ে প্রতিটি রুটে যৌক্তিক ভাড়া ও অভিবাসী কর্মীদের জন্য লেবার ফেয়ার চালু করার দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে বায়রার সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্টের মহাসচিব মোস্তফা মাহমুদসহ বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাব-জেলে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা, সরকারের কাছে যে আহ্বান জানালেন ব্যারিস্টার আরমান

অসদাচারণের দায়ে টঙ্গী পাইলট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শোকজ

জরুরি অবস্থা জারি করলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট

গুম-খুনে জড়িত ১৫ সেনা কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত। ট্রাইব্যুনালে হাজির। সাবজেলে প্রেরণ

এবার ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা সেই এমপি প্রার্থীর

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত