• facebook
  • fb_group
  • twitter
  • tiktok
  • whatsapp
  • pinterest
  • youtube
  • linkedin
  • instagram
  • google
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বাণিজ্য
সারা দেশ
বিশ্ব
খেলা
আইন-আদালত
ধর্ম ও ইসলাম
বিনোদন
ফিচার
আমার দেশ পরিবার
ইপেপার
আমার দেশযোগাযোগশর্তাবলি ও নীতিমালাগোপনীয়তা নীতিডিএমসিএ
facebookfb_grouptwittertiktokwhatsapppinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার দেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক, মাহমুদুর রহমান 
মাহমুদুর রহমান কর্তৃক ঢাকা ট্রেড সেন্টার (৮ম ফ্লোর), ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫ থেকে প্রকাশিত এবং আমার দেশ পাবলিকেশন লিমিটেড প্রেস, ৪৪৬/সি ও ৪৪৬/ডি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ: ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।ফোন: ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল: info@dailyamardesh.comবার্তা: ফোন: ০৯৬৬৬-৭৪৭৪০০। ই-মেইল: news@dailyamardesh.comবিজ্ঞাপন: ফোন: +৮৮০-১৭১৫-০২৫৪৩৪ । ই-মেইল: ad@dailyamardesh.comসার্কুলেশন: ফোন: +৮৮০-০১৮১৯-৮৭৮৬৮৭ । ই-মেইল: circulation@dailyamardesh.com
ওয়েব মেইল
কনভার্টারআর্কাইভবিজ্ঞাপনসাইটম্যাপ
> জাতীয়

কোন দলের আপত্তি কতটা বিবেচনায় নিলেন ড. ইউনূস

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৩৪
logo
কোন দলের আপত্তি কতটা বিবেচনায় নিলেন ড. ইউনূস

আমার দেশ অনলাইন

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৩৪

সরকার গতকাল বৃহস্পতিবার জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেছে। এই আদেশ জারির আগে সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন দলের মধ্যে মতভিন্নতা ছিল।

রাজনৈতিক দলগুলোকে মতভিন্নতা কাটিয়ে সমন্বিত প্রস্তাব দিতে সরকার সাত দিন সময় দিয়েছিল; কিন্তু দলগুলোর মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে বলে জানা যায়নি।

এখন প্রশ্ন হলো, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ও গণভোট নিয়ে কোন দলের আপত্তির কতটুকু বিবেচনায় নিল ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার।

১. জুলাই সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির বিপক্ষে ছিল বিএনপি। তারা চেয়েছিল, প্রজ্ঞাপন জারি করে এটা হোক। তাদের যুক্তি, এ ধরনের আদেশ জারির এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। যদিও জামায়াত সাংবিধানিক আদেশের পক্ষে ছিল।

২. বিএনপি চেয়েছিল গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ একই দিনে হোক। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট হবে, সেটি আগেই বলেছে সরকার। বিএনপির এ দাবি পূরণ হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে জামায়াতের এই দাবি পূরণ হয়নি। জামায়াত জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোটের দাবি করেছিল।

৩. সংসদে উচ্চকক্ষ গঠন পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতি নিয়ে বিএনপির আপত্তি ছিল। বিএনপির চাওয়া ছিল, উচ্চকক্ষে ১০০ আসন বণ্টন হোক নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে। ধরা যাক, নিম্নকক্ষে একটি দল ১৫০টি আসন পেয়েছে। তাহলে উচ্চকক্ষে তাদের আসন হবে ৫০টি। উচ্চকক্ষ নিয়ে বিএনপির এ ভিন্নমত আমলে নেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে জামায়াত ও এনসিপির দাবি পূরণ হয়েছে। অর্থাৎ সংসদ নির্বাচনে দলগুলো যে অনুপাতে ভোট পাবে, সে অনুপাতে আসন বণ্টন হবে উচ্চকক্ষে। যদি কোনো দল ১০ শতাংশ ভোট পায়, তাহলে উচ্চকক্ষে আসন পাবে ১০টি। সদস্যদের নাম তারা ঠিক করবে।

৪. সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে উচ্চকক্ষেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা, অর্থাৎ ১০০ জনের মধ্যে অন্তত ৫১ জনের ভোট দরকার হবে। বিএনপি সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি উচ্চকক্ষে নেওয়ার বিপক্ষে। বিএনপির ভিন্নমত আমলে নেওয়া হয়নি।

৫. বিএনপি চেয়েছিল নোট অব ডিসেন্ট, অর্থাৎ ভিন্নমত অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ব্যবস্থা হোক। অর্থাৎ নির্বাচনে জয়ী হলে তারা রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করবে। এ বিষয়ে বিএনপির দাবি আংশিক পূরণ হয়েছে। মূল বিষয়গুলোতে বিএনপির ভিন্নমত আমলে নেওয়া হয়নি। যেমন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি), মহাহিসাব নিরীক্ষক নিয়োগ ও ন্যায়পাল নিয়োগ।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিএনপি চেয়েছিল দুদকে নিয়োগ আইনের মাধ্যমে সরকার করবে। সেটি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে রাখা হয়নি। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে দুদকে চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগ হবে বাছাই ও পর্যালোচনা কমিটির মাধ্যমে। এই কমিটি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতির (প্রধান বিচারপতি ব্যতীত) নেতৃত্বে হবে। কমিটিতে হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান, সংসদ নেতা ও বিরোধীদলীয় নেতার একজন করে প্রতিনিধি এবং প্রধান বিচারপতি মনোনীত একজন নাগরিক প্রতিনিধি থাকবেন। এই কমিটি নাম প্রস্তাব করবে, রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেবেন।

৬. তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির ভিন্নমত নেই। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন কীভাবে হবে, তা নিয়ে বিএনপির ভিন্নমত ছিল। তা আমলে নেওয়া হয়নি।

৭. এনসিপি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছিল। সেটি অনেকটা হয়েছে। তবে ঐকমত্য কমিশনের একটি বিকল্প সুপারিশে বলা হয়েছিল, নির্দিষ্ট সময়ে সংসদ সংস্কার প্রস্তাবগুলো অনুমোদনে ব্যর্থ হলে সেগুলো ২৭০ দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে। এটি নিয়ে আপত্তি ছিল বিএনপির। সরকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধান সংশোধনের সুপারিশটি আমলে নেয়নি।

৮. এনসিপি চেয়েছিল প্রধান উপদেষ্টা জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবেন। কারণ, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আপত্তি ছিল, যদিও বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আদেশ জারি করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির নামেই আদেশ জারি হয়েছে।

৯. এনসিপি গণপরিষদ গঠন অথবা আগামী সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার পক্ষে ছিল। জামায়াতও দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার পক্ষে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে আগামী সংসদকে সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। যদিও বিএনপি সংসদকে সংবিধান সংস্কার পরিষদের ক্ষমতা দেওয়ার বিপক্ষে ছিল।

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা। গত ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা। ২৮ অক্টোবর ঐকমত্য কমিশন জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রক্রিয়া সম্বলিত রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দেয়। স্বাক্ষরিত সনদের সাথে এর ফারাক থাকায় নতুন করে রাজনৈতিক অনৈক্য সৃষ্টি হয়। সমঝোতার লক্ষে অবশেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার ইনোভেটিভ আইডিয়া বৃহস্পতিবার জাতির সামনে হাজির করেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মাহমুদুর রহমান কর্তৃক প্রকাশিত এবং আল-ফালাহ প্রিন্টিং প্রেস, ৪২৩, এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭ থেকে এবং অস্থায়ীভাবে মিডিয়া প্রিন্টার্স লি. ৪৪৬/এইচ, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ : ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম এভিণিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। পিএবিএক্স : ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল : info@dailyamardesh.com

সরকার গতকাল বৃহস্পতিবার জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেছে। এই আদেশ জারির আগে সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন দলের মধ্যে মতভিন্নতা ছিল।

রাজনৈতিক দলগুলোকে মতভিন্নতা কাটিয়ে সমন্বিত প্রস্তাব দিতে সরকার সাত দিন সময় দিয়েছিল; কিন্তু দলগুলোর মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে বলে জানা যায়নি।

বিজ্ঞাপন

এখন প্রশ্ন হলো, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ও গণভোট নিয়ে কোন দলের আপত্তির কতটুকু বিবেচনায় নিল ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার।

১. জুলাই সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির বিপক্ষে ছিল বিএনপি। তারা চেয়েছিল, প্রজ্ঞাপন জারি করে এটা হোক। তাদের যুক্তি, এ ধরনের আদেশ জারির এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। যদিও জামায়াত সাংবিধানিক আদেশের পক্ষে ছিল।

২. বিএনপি চেয়েছিল গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ একই দিনে হোক। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট হবে, সেটি আগেই বলেছে সরকার। বিএনপির এ দাবি পূরণ হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে জামায়াতের এই দাবি পূরণ হয়নি। জামায়াত জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোটের দাবি করেছিল।

৩. সংসদে উচ্চকক্ষ গঠন পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতি নিয়ে বিএনপির আপত্তি ছিল। বিএনপির চাওয়া ছিল, উচ্চকক্ষে ১০০ আসন বণ্টন হোক নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে। ধরা যাক, নিম্নকক্ষে একটি দল ১৫০টি আসন পেয়েছে। তাহলে উচ্চকক্ষে তাদের আসন হবে ৫০টি। উচ্চকক্ষ নিয়ে বিএনপির এ ভিন্নমত আমলে নেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে জামায়াত ও এনসিপির দাবি পূরণ হয়েছে। অর্থাৎ সংসদ নির্বাচনে দলগুলো যে অনুপাতে ভোট পাবে, সে অনুপাতে আসন বণ্টন হবে উচ্চকক্ষে। যদি কোনো দল ১০ শতাংশ ভোট পায়, তাহলে উচ্চকক্ষে আসন পাবে ১০টি। সদস্যদের নাম তারা ঠিক করবে।

৪. সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে উচ্চকক্ষেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা, অর্থাৎ ১০০ জনের মধ্যে অন্তত ৫১ জনের ভোট দরকার হবে। বিএনপি সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি উচ্চকক্ষে নেওয়ার বিপক্ষে। বিএনপির ভিন্নমত আমলে নেওয়া হয়নি।

৫. বিএনপি চেয়েছিল নোট অব ডিসেন্ট, অর্থাৎ ভিন্নমত অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ব্যবস্থা হোক। অর্থাৎ নির্বাচনে জয়ী হলে তারা রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করবে। এ বিষয়ে বিএনপির দাবি আংশিক পূরণ হয়েছে। মূল বিষয়গুলোতে বিএনপির ভিন্নমত আমলে নেওয়া হয়নি। যেমন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি), মহাহিসাব নিরীক্ষক নিয়োগ ও ন্যায়পাল নিয়োগ।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিএনপি চেয়েছিল দুদকে নিয়োগ আইনের মাধ্যমে সরকার করবে। সেটি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে রাখা হয়নি। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে দুদকে চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগ হবে বাছাই ও পর্যালোচনা কমিটির মাধ্যমে। এই কমিটি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতির (প্রধান বিচারপতি ব্যতীত) নেতৃত্বে হবে। কমিটিতে হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান, সংসদ নেতা ও বিরোধীদলীয় নেতার একজন করে প্রতিনিধি এবং প্রধান বিচারপতি মনোনীত একজন নাগরিক প্রতিনিধি থাকবেন। এই কমিটি নাম প্রস্তাব করবে, রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেবেন।

৬. তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির ভিন্নমত নেই। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন কীভাবে হবে, তা নিয়ে বিএনপির ভিন্নমত ছিল। তা আমলে নেওয়া হয়নি।

৭. এনসিপি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছিল। সেটি অনেকটা হয়েছে। তবে ঐকমত্য কমিশনের একটি বিকল্প সুপারিশে বলা হয়েছিল, নির্দিষ্ট সময়ে সংসদ সংস্কার প্রস্তাবগুলো অনুমোদনে ব্যর্থ হলে সেগুলো ২৭০ দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে। এটি নিয়ে আপত্তি ছিল বিএনপির। সরকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধান সংশোধনের সুপারিশটি আমলে নেয়নি।

৮. এনসিপি চেয়েছিল প্রধান উপদেষ্টা জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবেন। কারণ, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আপত্তি ছিল, যদিও বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আদেশ জারি করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির নামেই আদেশ জারি হয়েছে।

৯. এনসিপি গণপরিষদ গঠন অথবা আগামী সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার পক্ষে ছিল। জামায়াতও দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার পক্ষে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে আগামী সংসদকে সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। যদিও বিএনপি সংসদকে সংবিধান সংস্কার পরিষদের ক্ষমতা দেওয়ার বিপক্ষে ছিল।

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা। গত ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা। ২৮ অক্টোবর ঐকমত্য কমিশন জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রক্রিয়া সম্বলিত রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দেয়। স্বাক্ষরিত সনদের সাথে এর ফারাক থাকায় নতুন করে রাজনৈতিক অনৈক্য সৃষ্টি হয়। সমঝোতার লক্ষে অবশেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার ইনোভেটিভ আইডিয়া বৃহস্পতিবার জাতির সামনে হাজির করেন।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

ড. ইউনূসআমার দেশজুলাই সনদ
সর্বশেষ
১

একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট জনগণ মেনে নেবে না: এটিএম আজহার

২

এনসিপির ১ হাজার ১১ মনোনয়ন বিক্রি, লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার

৩

যে লক্ষ্য নিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল তা অর্জন করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে

৪

বুমরাহর ৫ উইকেট, দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫৯ অলআউট

৫

গণমাধ্যম সংস্কার দাবি এমইউজের

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

নারীদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করা ভুল: সেনাপ্রধান

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, দেশের ৫০ ভাগ নারী। তাদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে। সেজন্য নারীদের দক্ষভাবে গড়ে তুলতে হবে। আমরা বিভিন্ন জয়গায় নারীর নেতৃত্ব ও ক্ষমতায়ন চাচ্ছি। নারীরা বিভিন্ন জায়গায় তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করবে। তারা দেশ-জাতি গঠনে কাজ করে যাবে।

২ ঘণ্টা আগে

এবার বিচারকদের কলম বিরতির হুঁশিয়ারি

আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন করে বিচারকদের কর্মের পরিবেশ ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে রোববার থেকে সারা দেশের বিচারকেরা একযোগে কলম বিরতি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

৩ ঘণ্টা আগে

ড্রামে খণ্ডিত লাশ: নিহতের বন্ধুকে প্রধান আসামি করে মামলা

হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটের কাছে ড্রাম থেকে খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় নিহত আশরাফের জরেজ নামে এক বন্ধুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে নিহত আশরাফুল হকের বোন আনজিনা বেগম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

৪ ঘণ্টা আগে

ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলার ১৪ প্লাটুন বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

৫ ঘণ্টা আগে
নারীদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করা ভুল: সেনাপ্রধান

নারীদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করা ভুল: সেনাপ্রধান

কোন দলের আপত্তি কতটা বিবেচনায় নিলেন ড. ইউনূস

কোন দলের আপত্তি কতটা বিবেচনায় নিলেন ড. ইউনূস

এবার বিচারকদের কলম বিরতির হুঁশিয়ারি

এবার বিচারকদের কলম বিরতির হুঁশিয়ারি

ড্রামে খণ্ডিত লাশ: নিহতের বন্ধুকে প্রধান আসামি করে মামলা

ড্রামে খণ্ডিত লাশ: নিহতের বন্ধুকে প্রধান আসামি করে মামলা