নির্বাচন কমিশন (ইসি) যখন পরবর্তী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে, তখন অনেকেই কেবল ‘নির্বাচনের তারিখ’ জানার জন্য উৎকর্ণ হয়ে থাকেন। কিন্তু সাংবিধানিক দায়িত্ব হিসেবে ইসির ঘোষিত এই তফসিল কেবল একটি তারিখের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি হলো একটি সম্পূর্ণ আইনি দলিল, যা নির্বাচন আয়োজনের আদ্যোপান্ত প্রক্রিয়াকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বেঁধে দেয়।
যা কিছু থাকে তফসিলে
নির্বাচন আয়োজন করার জন্য যেসব কাজকর্ম জড়িত রয়েছে তার সবকিছুর জন্য একটি সময় বেঁধে দেওয়া হয় তফসিলে। খুব সহজ ভাষায় এটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখের একটি আইনি ঘোষণা। যেমন প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতার মনোনয়নের কাগজ কত তারিখ জমা দেওয়া শুরু করতে পারবেন, সেটি ঘোষণা করা হয়।
মনোনয়নের কাগজ নির্বাচন কমিশন কত দিনের মধ্যে বাছাই করবে, বাছাই প্রক্রিয়ায় যদি সেটি বাতিল হয়ে যায়, তাহলে প্রার্থিতাপ্রত্যাশী ব্যক্তি কতদিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন তার সময় বেঁধে দেয় কমিশন।
যারা প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন তাদের তালিকা কবে নাগাদ ছাপানো হবে, নির্বাচনি প্রচারণা কবে থেকে শুরু করা যাবে আর কত দিন পর্যন্ত তা চালানো যাবে, সেটির উল্লেখ থাকে। সাধারণত প্রার্থীর নির্বাচনি প্রতীক ঘোষণার সাথে প্রচারণা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত থাকে। নির্বাচন কত তারিখ হবে, কোন সময়ে শুরু হবে আর কোন সময় পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে তার বিস্তারিত এবং ভোটের পর ভোট গণনা কিভাবে এবং কোথায় হবে তারও পরিষ্কার উল্লেখ থাকে। এই পুরো বিষয়টির সমষ্টিকেই নির্বাচনের তফসিল বলা হয়।

