বশীর আহমেদ
যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য এবং কানাডা। আগামীকাল শুক্রবার লন্ডন থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ১৮ জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হবে বলে স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আমার দেশকে জানিয়েছেন। তবে শেষ মুহূর্তে এই সংখ্যা বাড়তে বা কমতে পারে। এদিকে কানাডাও একই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন।
অবৈধ অভিবাসন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ করার পাশাপাশি বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সতর্ক করে বলেছেন, আমরা যদি আমাদের ঘর ঠিক করতে না পারি অর্থাৎ অবৈধ অভিবাসন যদি না ঠেকানো যায় তাহলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে আমাদের। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অন্য কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, অবৈধ অভিবাসন এখন পশ্চিমা দেশগুলোতে প্রধান রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। অভিবাসন ইস্যুটি এখন তাদের নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করছে। ফলে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে যে কোনো দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অভিবাসন ইস্যুটি প্রাধান্য পাচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কূটনৈতিক এ প্রসঙ্গে আমার দেশকে বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের বহুমাতৃক স্বার্থ জড়িত রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে যে কোনো ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার ক্ষেত্রে অবৈধ অভিবাসন ইস্যুটি সামনে চলে আসছে যা আমাদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে বৈধ অভিবাসনকে উৎসাহিত করছে। আমাদের এই সম্ভাবনাকে রীতিমতো হুমকির মধ্যে ফেলছে অবৈধ অভিবাসন। ওই কূটনীতিক জানান, গত ৬ মাসে সারা বিশ্ব থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইতালিতে প্রবেশ করেছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে ৩৩ শতাংশই বাংলাদেশি।
চলতি মাসের ৩০ তারিখে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির ঢাকা সফরে আসার কথা ছিল। তবে ওই সফর স্থগিত করা হয়েছে। ওই সফরের আলোচনার মূল এজেন্ডাই ছিল অভিবাসন। অবৈধ অভিবাসন বন্ধে তিনি বাংলাদেশের সহযোগিতা চান। উল্লেখ্য, ইতালি সরকার ‘ফলুসি ডিক্রি’ কর্মসূচির অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশসমূহ থেকে মৌসুমি এবং অমৌসুমি খাতে কর্মী নিয়োগ করে থাকে। দীর্ঘ ৮ বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশ পুনরায় এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ইতালিতে নতুন করে মৌসুমি কাজের সুযোগ তৈরি হয়।
২০২৩ সালে ইতালি সরকার ১৬ হাজার ৮৭৯ জন বাংলাদেশিকে ভিসা প্রদান করে। তবে পরবর্তী সময়ে ইতালীয় কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে দেখতে পায় যাদের ভিসা দেওয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশেরই ওয়ার্ক পারমিট এবং অন্যান্য ডকুমেন্টস ভুয়া এবং জাল। এই জালিয়াতি ধরা পড়ার পর বাংলাদেশিদের জন্য ইতালির ভিসা প্রদানের সংখ্যা একেবারেই কমে যায়। ২০২৪ সালে মাত্র এক হাজার ১৬৪ জন বাংলাদেশিকে ভিসা প্রদান করা হয়। ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবরের আগে ইস্যু করা সব ওয়ার্ক পারমিট স্থগিত করা হয়। এই পরিস্থিতিতে ৪০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশির ভিসা আবেদন অনিষ্পত্তি অবস্থায় রয়ে গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশি এবং আন্তর্জাতিক একটি শক্তিশালী দালালচক্রের ফাঁদে পড়েছে অধিকাংশ ভিসা আবেদনকারী। এসব আবেদনের সঙ্গে ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট এবং জাল নথিপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এসব ভুয়া নথিপত্র যাচাই-বাছাই করতে দীর্ঘ সময় লাগছে। ইতালিতে যাওয়ার জন্য অনেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়েছে দালালচক্রকে। দালালচক্রের ফাঁদে পড়া বেশ কয়েকশ’ বাংলাদেশি গত ২৩ জুলাই ভিসার দাবিতে ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সতর্ক করে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের নেতিবাচক প্রচার এবং কার্যক্রম ইতালি সরকারের বিরূপ মনোভাব তৈরি করতে পারে যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের সম্ভাবনাকে শেষ করে দিতে পারে। এদিকে চলতি বছর বাংলাদেশিদের জন্য ইতালির ভিসা প্রদানের হার কিছুটা বেড়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ২ হাজার ১৩১ জনকে ভিসা দিয়েছে ইতালি।
ব্রিটেন থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন পদস্থ কর্মকর্তা আমার দেশকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে অনেক আগে থেকেই আলোচনা চলছিল। এ ব্যাপারে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। আমরা কোনোভাবেই চাই না অবৈধভাবে কোনো বাংলাদেশি বিদেশে অবস্থান করুক। তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার যে ১৮ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসবে তাদের জন্য ইতোমধ্যে ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হয়েছে। সাধারণত কোনো দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের তালিকা পাওয়ার পর তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের পর নিশ্চিত হলে তাদের জন্য ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হয়। এই মুহূর্তে ঠিক কতজন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী ব্রিটেনে রয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা জানান, এ ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকার নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যার কথা বলেনি। তারা শুধু বলেছে, সংখ্যাটা বেশ বড়।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো শুরু হয়েছে। গত ২ আগস্ট যু্ক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমানে করে ৩৯ জন অবৈধ বাংলাদেশিকে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে কানাডার হাইকমিশনার বলেছেন, তার দেশ বৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের স্বাগত জানায়। বাংলাদেশ থেকে যারা কানাডায় যেতে চান তারা যেন সঠিক কাগজপত্র জমা দেন। কানাডার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ দেখতে পেয়েছে অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশিদের দেওয়া নথিপত্র ৯০ শতাংশই জাল। ফলে ভিসা আবেদনগুলো যাচাইয়ে অনেক সময় লাগছে এবং যারা বৈধ কাগজপত্র জমা দিচ্ছেন তাদের ভিসা পেতে বিলম্ব হচ্ছে। হাইকমিশনার আরো জানিয়েছেন, কানাডায় অবস্থানরত অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশিরাও আছেন। তবে কখন এবং কতজন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি কানাডার হাইকমিশনার।
অবৈধ অভিবাসন বাংলাদেশের জন্য এক বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সতর্ক করে বলেছেন, এই সংকট আমরা তৈরি করেছি; এটা আমাদের মেনে নিয়ে ঘর ঠিক করতে হবে। আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইমেজ সংকটে পড়ছি। অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করা ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই। কাজটা আমাদেরই করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য এবং কানাডা। আগামীকাল শুক্রবার লন্ডন থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ১৮ জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হবে বলে স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আমার দেশকে জানিয়েছেন। তবে শেষ মুহূর্তে এই সংখ্যা বাড়তে বা কমতে পারে। এদিকে কানাডাও একই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন।
অবৈধ অভিবাসন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ করার পাশাপাশি বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সতর্ক করে বলেছেন, আমরা যদি আমাদের ঘর ঠিক করতে না পারি অর্থাৎ অবৈধ অভিবাসন যদি না ঠেকানো যায় তাহলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে আমাদের। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অন্য কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, অবৈধ অভিবাসন এখন পশ্চিমা দেশগুলোতে প্রধান রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। অভিবাসন ইস্যুটি এখন তাদের নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করছে। ফলে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে যে কোনো দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অভিবাসন ইস্যুটি প্রাধান্য পাচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কূটনৈতিক এ প্রসঙ্গে আমার দেশকে বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের বহুমাতৃক স্বার্থ জড়িত রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে যে কোনো ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার ক্ষেত্রে অবৈধ অভিবাসন ইস্যুটি সামনে চলে আসছে যা আমাদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে বৈধ অভিবাসনকে উৎসাহিত করছে। আমাদের এই সম্ভাবনাকে রীতিমতো হুমকির মধ্যে ফেলছে অবৈধ অভিবাসন। ওই কূটনীতিক জানান, গত ৬ মাসে সারা বিশ্ব থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইতালিতে প্রবেশ করেছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে ৩৩ শতাংশই বাংলাদেশি।
চলতি মাসের ৩০ তারিখে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির ঢাকা সফরে আসার কথা ছিল। তবে ওই সফর স্থগিত করা হয়েছে। ওই সফরের আলোচনার মূল এজেন্ডাই ছিল অভিবাসন। অবৈধ অভিবাসন বন্ধে তিনি বাংলাদেশের সহযোগিতা চান। উল্লেখ্য, ইতালি সরকার ‘ফলুসি ডিক্রি’ কর্মসূচির অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশসমূহ থেকে মৌসুমি এবং অমৌসুমি খাতে কর্মী নিয়োগ করে থাকে। দীর্ঘ ৮ বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশ পুনরায় এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ইতালিতে নতুন করে মৌসুমি কাজের সুযোগ তৈরি হয়।
২০২৩ সালে ইতালি সরকার ১৬ হাজার ৮৭৯ জন বাংলাদেশিকে ভিসা প্রদান করে। তবে পরবর্তী সময়ে ইতালীয় কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে দেখতে পায় যাদের ভিসা দেওয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশেরই ওয়ার্ক পারমিট এবং অন্যান্য ডকুমেন্টস ভুয়া এবং জাল। এই জালিয়াতি ধরা পড়ার পর বাংলাদেশিদের জন্য ইতালির ভিসা প্রদানের সংখ্যা একেবারেই কমে যায়। ২০২৪ সালে মাত্র এক হাজার ১৬৪ জন বাংলাদেশিকে ভিসা প্রদান করা হয়। ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবরের আগে ইস্যু করা সব ওয়ার্ক পারমিট স্থগিত করা হয়। এই পরিস্থিতিতে ৪০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশির ভিসা আবেদন অনিষ্পত্তি অবস্থায় রয়ে গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশি এবং আন্তর্জাতিক একটি শক্তিশালী দালালচক্রের ফাঁদে পড়েছে অধিকাংশ ভিসা আবেদনকারী। এসব আবেদনের সঙ্গে ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট এবং জাল নথিপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এসব ভুয়া নথিপত্র যাচাই-বাছাই করতে দীর্ঘ সময় লাগছে। ইতালিতে যাওয়ার জন্য অনেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়েছে দালালচক্রকে। দালালচক্রের ফাঁদে পড়া বেশ কয়েকশ’ বাংলাদেশি গত ২৩ জুলাই ভিসার দাবিতে ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সতর্ক করে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের নেতিবাচক প্রচার এবং কার্যক্রম ইতালি সরকারের বিরূপ মনোভাব তৈরি করতে পারে যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের সম্ভাবনাকে শেষ করে দিতে পারে। এদিকে চলতি বছর বাংলাদেশিদের জন্য ইতালির ভিসা প্রদানের হার কিছুটা বেড়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ২ হাজার ১৩১ জনকে ভিসা দিয়েছে ইতালি।
ব্রিটেন থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন পদস্থ কর্মকর্তা আমার দেশকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে অনেক আগে থেকেই আলোচনা চলছিল। এ ব্যাপারে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। আমরা কোনোভাবেই চাই না অবৈধভাবে কোনো বাংলাদেশি বিদেশে অবস্থান করুক। তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার যে ১৮ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসবে তাদের জন্য ইতোমধ্যে ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হয়েছে। সাধারণত কোনো দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের তালিকা পাওয়ার পর তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের পর নিশ্চিত হলে তাদের জন্য ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হয়। এই মুহূর্তে ঠিক কতজন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী ব্রিটেনে রয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা জানান, এ ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকার নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যার কথা বলেনি। তারা শুধু বলেছে, সংখ্যাটা বেশ বড়।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো শুরু হয়েছে। গত ২ আগস্ট যু্ক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমানে করে ৩৯ জন অবৈধ বাংলাদেশিকে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে কানাডার হাইকমিশনার বলেছেন, তার দেশ বৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের স্বাগত জানায়। বাংলাদেশ থেকে যারা কানাডায় যেতে চান তারা যেন সঠিক কাগজপত্র জমা দেন। কানাডার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ দেখতে পেয়েছে অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশিদের দেওয়া নথিপত্র ৯০ শতাংশই জাল। ফলে ভিসা আবেদনগুলো যাচাইয়ে অনেক সময় লাগছে এবং যারা বৈধ কাগজপত্র জমা দিচ্ছেন তাদের ভিসা পেতে বিলম্ব হচ্ছে। হাইকমিশনার আরো জানিয়েছেন, কানাডায় অবস্থানরত অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশিরাও আছেন। তবে কখন এবং কতজন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি কানাডার হাইকমিশনার।
অবৈধ অভিবাসন বাংলাদেশের জন্য এক বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সতর্ক করে বলেছেন, এই সংকট আমরা তৈরি করেছি; এটা আমাদের মেনে নিয়ে ঘর ঠিক করতে হবে। আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইমেজ সংকটে পড়ছি। অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করা ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই। কাজটা আমাদেরই করতে হবে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশোধিত বিধির গেজেট প্রকাশ করে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করাসহ ২ দফা দাবিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ৪৩তম বিসিএস নন–ক্যাডার প্রত্যাশী আবেদনকারী প্রার্থীরা।
২০ মিনিট আগেসরকারী কর্মকমিশনের (পিএসসি) নবনিয়োগপ্রাপ্ত সদস্য একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক শপথ গ্রহণ করেছেন।
৪০ মিনিট আগেরাজধানীর ধানমন্ডি ও বনানীতে পৃথক ঘটনায় দুই অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
১ ঘণ্টা আগেনতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোট। বুধবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংগঠনের নেতারা। এ ঘটনায় নতুন কর্মসূচি হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে
১ ঘণ্টা আগে