অগ্রহায়ণ মাসের শেষার্ধে এসে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশ এলাকাসহ সারাদেশে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে সর্বনিম্ন ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এতে ক্রমেই বাড়ছে শীতের ছুঁয়া। ভোরে কুয়াশার চাদর আর সন্ধ্যায় ঠান্ডা হাওয়া জানান দিচ্ছে শীত হাজির হয়েছে রাজধানীবাসীর দুয়ারে।
আশরাফ হোসেন নামের এক রিকশা চালক বলেন, আগের কয়েক দিনের তুলনায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই শীত কিছুটা বেশি অনুভুত হচ্ছে। শীতের এই আমেজে রাজধানীর জনজীবনে ইতোমধ্যে এসেছে হালকা পরিবর্তন। সকালবেলা অফিস যাত্রীদের হাতে দেখা যাচ্ছে বাড়তি শাল-চাদর, আর ফুটপাতে বেড়েছে ডিম ও পিঠার দোকান।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে রাতের তাপমাত্রা আরও ১-২ ডিগ্রী সেলসিয়াস কমতে পারে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। এতে শীতের অনুভূতি আরও বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা আমার দেশকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারাদেশেই শীত বাড়বে। আপাতত আরও দুই-তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে আপাতত আগামী ১৮ ডিসেম্বর নাগাদ কোনো শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই।’
তিনি আরও জানান, চলতি সপ্তাহ থেকে উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশে শীতের প্রভাব বিস্তার করবে। দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে সকালের কুয়াশা ও শীতের ঘনত্ব বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক আমার দেশকে বলেন, আপাতত শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বরং ৩-৪ দিন পর শীতপ্রবণ এলাকাগুলো তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
এবার ডিসেম্বরেও কেন শীত কম অনুভুত হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বলেন, এখন পর্যন্ত কুয়াশার প্রবণতা কম এবং ডিসেম্বরের শুরুতে দিল্লি থেকে কুমল্লিা পর্যন্ত যে ধরনের কুয়াশার ছায়া পড়ে সেটাও নেই।
ফলে সকালের দিকে তাপমাত্রা কমলেও সকাল ৯টার মধ্যে উজ্জ্বল রৌদে শীত কম অনুভুত হচ্ছে। তবে ডিসেম্বরের শেষের দিকে শৈত্যপ্রবাহে শীত জেঁকে বসতে পারে।

