আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

ফ্যাসিবাদের টার্গেট নির্বাচন বানচাল

মেহেদী হাসান
ফ্যাসিবাদের টার্গেট নির্বাচন বানচাল

পতিত মাফিয়া শাসক শেখ হাসিনা ও দেশে-বিদেশে থাকা তার দোসরদের শেষ টার্গেট এখন নির্বাচন। তাদের লক্ষ্য এখন শুধু নির্বাচন বানচাল করা নয়; বরং এ নির্বাচন কেন্দ্র করে বাংলাদেশকে এক চূড়ান্ত অরাজকতার মধ্যে ঠেলে দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। নির্বাচন ঘিরে দেশকে ব্যাপক সংঘাত, হানাহানি ও অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করা, যাতে নির্বাচন পণ্ড হয়ে যায়। ভারতে পলাতক শেখ হাসিনার নির্বাচন বানচালের ঘোষণা, জুলাইযোদ্ধাদের হত্যার নির্দেশসহ ফ্যাসিবাদের দোসরদের যেসব ষড়যন্ত্র ও কর্মকাণ্ডের খবর প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে এটি এখন স্পষ্ট, নির্বাচনের দিন বা তার আগেই দেশে ব্যাপক হানাহানির মাধ্যমে দেশকে বড় ধরনের সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে চায় তারা। এর লক্ষ্য, নির্বাচন পণ্ড করে পুরো বিশ্বের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একজন ব্যর্থ শাসক হিসেবে হাজির করা এবং ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা। এরপর অরাজক পরিস্থিতিতে সরাসরি বা ভিন্নরূপে আবার আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসানোর আয়োজন করা। আর এটাই হলো পতিত মাফিয়া ও ফ্যাসিবাদী শাসক হাসিনা, তার দোসর আর তাদের দল আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব রক্ষার শেষ অবলম্বন। শরীফ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনাকে এর অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

চব্বিশের জুলাই বিপ্লবে মাফিয়া ও ফ্যাসিবাদী শাসক শেখ হাসিনার পতনের পর সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো একের পর এক আঘাত আসতে থাকে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে আবার দেশে মাফিয়াতন্ত্র এবং ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বহালের জন্য। কিন্তু দেশপ্রেমিক বিপ্লবী ছাত্র-জনতা প্রতিবার রাজপথে নেমে একের পর এক প্রতিহত করেছে তাদের সেই চেষ্টা। তারপরও থেমে যায়নি দেশবিরোধী দেশি-বিদেশি শক্তির চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র। বরং আরো বড় পরিসরে, আটঘাট বেঁধে ষড়যন্ত্র পরিকল্পনা নিয়ে সামনে অগ্রসর হতে থাকে তারা। এর কারণ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর সর্বশেষ বিডিআর হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা, দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও ভারতের জড়িত থাকার ঘটনা তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে উঠে আসায় পতিত ফ্যাসিবাদী এবং তার দোসররা খুব ভালো করে বুঝে গেছে তাদের আর রক্ষা নেই। ১৯৭৫ সালের পর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বদান্যতায় আওয়ামী লীগ আবার ফিলে আসতে পেরেছিল। কিন্তু এবার পরিস্থিতি এমন যে, কেউ চাইলেও তাদের আর বাংলাদেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা নেই। এটি অনুধাবনের পর পরাজিত দেশবিরোধী শক্তির সামনে একটাই পথ খোলা থাকে। আর সেটা হলো দেশকে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের পথে নিয়ে যাওয়া। এ জন্য অস্ত্র হাতে সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে পলাতক একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা। সরাসরি যুদ্ধের মাধ্যমে তারা জুলাই বিপ্লবের পক্ষের শক্তিকে খতম করে আবার ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দিয়েছে তারা।

হাদিকে গুলি করার ঘটনা বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেকে বলেছেন, নির্বাচন বানচাল করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ধাবিত করার এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’।

পতিত ফ্যাসিবাদী, তার দোসর ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এ ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে চব্বিশের জুলাই বিপ্লব রক্ষায় বর্তমান সরকার এবং বড় রাজনৈতিক দলগুলো নির্বিকার ভূমিকা পালন করেছে। দেশ ও বিদেশে ফ্যাসিবাদের দোসররা কোথায় কীভাবে দেশবিরোধী সব কলকাঠি নাড়ছে, তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এমনকি এ বিষয়ে গণমাধ্যমে লাল ব্যানার হেডলাইনের অনেক খবর প্রকাশের পরও সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দমনে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, গণমাধ্যম শুধু খবর প্রকাশ করে যাবে, ষড়যন্ত্র ফাঁস করবে, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অ্যাকশন হবে না। ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র করতেই থাকবে। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, হবে না জবাবদিহিরও কোনো আয়োজন।

প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ, স্পর্শকাতর বিভিন্ন বিভাগ কীভাবে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা নিয়ন্ত্রণ করছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে দেশের একাধিক জাতীয় দৈনিকে। কিন্তু প্রশাসনসহ এসব সংস্থাকে পুরোপুরি ফ্যাসিবাদের দোরসমুক্ত করার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমনকি সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে বর্তমান সরকার উৎখাতের লক্ষ্যে খোদ রাজধানীর বুকে গেরিলা প্রশিক্ষণসহ এ ধরনের লোমহর্ষক আরো অনেক ঘটনা ধরা পড়লেও এ ক্ষেত্রে জড়িত ও দায়ীদের বিরুদ্ধেও এখনো যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

জুলাই বিপ্লবের পর প্রশাসনসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদের বড় আর চিহ্নিত সব দোসরকে বহাল রেখেই নতুন সরকার পথচলা শুরু করে। সে হিসেবে বলা যায়, পতিত মাফিয়া ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের সঙ্গে নিয়ে দেশ পরিচালনা শুরু করে সরকার, যা ছিল জুলাই বিপ্লবের চেতনা এবং আকাঙ্ক্ষার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। পুলিশসহ বিভিন্ন স্তরের প্রশাসনে এমন অনেক কর্মকর্তা এখনো বহাল রয়েছেন, যাদের এখন খুনের দায়ে জেলে থাকার কথা। আজ প্রায় দেড় বছর হতে চলল, তারপরও রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র থেকে এখনো অপসারণ করা হয়নি পতিত মাফিয়া ও ফ্যাসিবাদের চিহ্নিত অনেক দোসরকে। যার ফলে গত সেপ্টেম্বর থেকে সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে দেশব্যাপী মোতায়েন থাকলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হয়নি। ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনায় এটি এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট, ফ্যাসিবাদের দোসরদের বহাল রেখে ইতিহাসসেরা নির্বাচন অসম্ভব। বরং এটা হতে পারে ইতিহাসসেরা একটি তামাশা। এমনকি ফ্যাসিবাদের দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে আদৌ দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব কি না—সে প্রশ্নও সামনে এসেছে।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনী মাঠে মোতায়েন থাকা অবস্থায়ও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে চিত্র, তাতে তাদের ভূমিকা নিয়ে নানা ধরনের সন্দেহ-সংশয় দানা বেধেছে এখন সাধারণ মানুষের মনেও। প্রত্যন্ত গ্রামের সাধারণ মানুষের মনেও এখন প্রশ্ন—শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হবে তো?

ড. মুহাম্মদ ইউনূস যাদের ওপর নির্ভর করে ইতিহাসসেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার কথা বলছেন, তারা তাকে এ ক্ষেত্রে কতটা সহায়তা করবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, ফ্যাসিবাদের দোসররা পলাশীর প্রান্তরে মীর জাফরের বাহিনীর মতো নীরব ভূমিকা পালন করতে পারে, যাতে ষড়যন্ত্রকারীরা দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ পায়।

গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদের দোসররা বহাল থাকায় ফ্যাসিবাদের পলাতক দোসরদের মনে এখনো আশা জেগে রয়েছে এবং তারা নানা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত হওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত হচ্ছে।

সম্প্রতি খুলনায় প্রকাশ্য দিবালোকে দুজনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পাবনায় জামায়াত প্রার্থীকে গুরুতর জখম করা হয়েছে নির্বাচনি প্রচারণায় সময়। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নির্বাচনি মিছিল চলছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও প্রতিপক্ষের মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটছে। গত নভেম্বর মাসেই হাদিকে ৩০ বার বিদেশ থেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ হুমকি দেওয়া হয়েছে ভারত থেকে। সুতরাং হাদিকে একেবারে ঘোষণা দিয়ে হত্যার জন্য গুলি করা হয়েছে। এখানে কোনো রাখঢাক ছিল না।

শেখ হাসিনা নির্বাচন বানচালের ঘোষণা দিয়েছেন। ভারত প্রকাশ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দেশকে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ ও তাদের এজেন্টমুক্ত করা যায়নি। পতিত মাফিয়া সরকার হাজার হাজার কোটি লুটের টাকা বিনিয়োগ করেছে নির্বাচন বানচাল করে সরকার পতন ঘটিয়ে আবার ফিরে আসার জন্য। এসব কোনো খবরই অজানা নয় সরকারের। তারপরও কেন সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়নি, সে প্রশ্ন এখন করছেন অনেক সাধারণ মানুষও। তাহলে কি হাদির মতো লোকের জীবন দেওয়ার বিনিময়ে সরকার সতর্ক হবে? এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে?

হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর কোনো প্রার্থীর পক্ষে কি আর স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে? যদি না পারে, তাহলে এটাকে কি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইতিহাসসেরা নির্বাচন বলা যাবে?

শরীফ ওসমান হাদি ছিলেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে একজন উচ্চকিত কণ্ঠস্বর। ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে তার প্রতিটি সাহসী উচ্চারণ এবং কর্মকাণ্ড ছিল এ দেশের কোটি কোটি দেশপ্রেমিক তরুণ-যুবকসহ সব শ্রেণির মানুষের মনের কথার প্রতিফলন ও প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশে ভবিষ্যতে ভারতের যেকোনো আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ও বাংলাদেশ ঘিরে ভারতের ষড়যন্ত্রের ভিত প্রতিনিয়ত নাড়িয়ে দিয়েছিলেন শরীফ ওসমান হাদি। এর মাধ্যমে তিনি পতিত ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ, তাদের দোসর ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর অন্যতম টার্গেটে পরিণত হন।

ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনাকে ফ্যাসিবাদ নির্মূলে সরকারের ব্যর্থতার পরিণতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। বড় রাজনৈতিক দলগুলোরও ফ্যাসিবাদ নির্মূলে ব্যর্থতার দায় রয়েছে। কারণ দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ নির্মূলে ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের অপসারণে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়নি। প্রধান দলটি শুধু ব্যস্ত যেকোনোভাবে একটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে। চব্বিশের বিপ্লবের পরপরই প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে ও আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নেওয়া হয়েছে। বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে সুরক্ষা দেওয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যা ফ্যাসিবাদকে রক্ষা ও প্রশ্রয়ের শামিল।

ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনা সম্ভবত শেষ ওয়েক আপ কল। এরপরও যদি সরকারের টনক না নড়ে, তাহলে জাতির ভাগ্যে করুণ পরিণতি নেমে আসতে পারে, তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। ধুলায় মিশে যেতে পারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সারা জীবনের সমস্ত অর্জন আর বিশ্বজোড়া সব খ্যাতি। আর মূলত এটিই করার জন্য ওত পেতে বসে আছে দেশবিরোধী দেশি-বিদেশি শক্তি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারণে বিশ্বের দরবারে অনেক হেয় হতে হয়েছে মোদি সরকার ও ভারতকে। এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ভারত অপেক্ষায় আছে। চব্বিশ্বের জুলাই বিপ্লবের পর ভারতের নিরাপত্তা-সংকট দেখা দিয়েছে। ভারত মনে করছে, তাদের ভৌগোলিক অখণ্ডতা এখন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশকে আবার যেকোনো মূল্যে কবজায় নিয়ে বা অস্থিতিশীল করে এরও প্রতিকার করতে চায় ভারত। সুতরাং সরকার ও দেশের রাজনীতিবিদরা দেশের এ ধরনের ঘোরতর বিপদ বুঝেও যদি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেন এবং ফ্যাসিবাদ আবার ফিরে আসে, তাহলে এর দায় এড়াতে পারবেন না বর্তমান সরকার ও প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতারা। আমরা চাই না পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশকে কোনো ধরনের হানাহানির দিকে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাক। চব্বিশের জুলাই বিপ্লবকে টিকিয়ে রাখতে হলে ফ্যাসিবাদ নির্মূলে একটি সর্বাত্মক শুদ্ধি অভিযানের আর কোনো বিকল্প পথ খোলা নেই।

লেখক : সহকারী সম্পাদক, আমার দেশ

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন