ডাস্টবিনের পেছনে কার মুখ

আলফাজ আনাম
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১: ১৪

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ছয় মাসের মাথায় গণহত্যাকারীদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। গত দেড় দশকে মুজিবের রাজপরিবার দেশে যে নিপীড়নমূলক শাসক চাপিয়ে দিয়েছিল, তা স্বাভাবিক করতে ফ্যাসিস্টদের প্রতি মানবিক আচরণ ও সম্মান জানানোর বয়ান হাজির করা হচ্ছে। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর যে প্রচারবিদরা গা-ঢাকা দিয়েছিলেন, তারা আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে সরব হয়ে উঠেছেন। আবার শুরু হয়ে গেছে মুজিববন্দনা দিয়ে মুজিবকন্যার অপরাধকে আড়াল করার চেষ্টা। গত দেড় দশকে হাসিনার চারপাশে চেনামুখগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন ব্যাপক তৎপর।

বিজ্ঞাপন

হাসিনার ভাষণ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ মানুষ ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভেঙে দেওয়ার পর ফ্যাসিস্টের পুনর্বাসনের পেছনের চিন্তাবিদদের অনেকে প্রকাশ্যে চলে এসেছেন। বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে ২৬ জনের বিবৃতিতে বাড়ি ভাঙার নিন্দা জানিয়ে সরকারকে দায়ী করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন সরকারের সঙ্গে অতি ঘনিষ্ঠ ও সরকার গঠিত কমিশনের প্রধানও রয়েছেন। এদের অনেকে আবার বামপন্থি রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। হাসিনার ঘনিষ্ঠজন সুলতানা কামাল, এনজিও নেত্রী খুশী কবীর, বামপন্থি অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ও দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জাম চৌধুরীও আছেন।

ফ্যাসিবাদের প্রতীক এই বাড়িটিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির সঙ্গে সুর মিলিয়ে ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু এই বাড়িটি যে মুজিব ও হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল, সেটি তারা বেমালুম চেপে গেছেন। তারা এভাবে কৌশলে ফ্যাসিবাদী শাসনের সাংস্কৃতিক ও সামাজিকীকরণের কাজটি করে থাকেন। মানুষের ক্ষোভের মূল্যকে তারা চিহ্নিত করছেন মব আকারে।

এ দেশের মানুষ ভুলে যায়নি ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার সময় এই ব্যক্তিরা কেউ প্রকাশ্য ও কেউ নীরবে হাসিনার নিপীড়ন সমর্থন দিয়েছিলেন। শাহবাগে যখন ইসলামপন্থিদের প্রকাশ্যে হত্যাযজ্ঞ ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন সুলতানা কামলরা এর পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। এখন একটি বাড়ি ভাঙার জন্য তারা ন্যায়বিচারের লঙ্ঘন দেখছেন, কিন্তু শাহবাগে যখন বিচার ছাড়া ফাঁসির জন্য আন্দোলন করা হয়েছিল, তখন ন্যায়বিচারের প্রশ্ন তাদের সামনে আসেনি।

এদের কেউ কেউ অবশ্য জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের শেষের দিকে ভোল পাল্টিয়েছেন। কিন্তু দেড় দশকের ফ্যাসিস্ট শাসনে তার নিপীড়নের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। কীভাবে তারা সাংস্কৃতিক ও সামাজিকভাবে ফ্যাসিবাদীদের প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে, এবারের বইমেলা ঘিরে কিছু তৎপরতা থেকে আমাদের সামনে তা আরো স্পষ্ট হয়েছে।

বাংলা একাডেমির বইমেলায় পতিত স্বৈরাচার হাসিনার ছবি দিয়ে ডাস্টবিন বানানোর কারণে আওয়ামী লীগের গুপ্ত সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য বামপন্থি বুদ্ধিজীবীরা তাদের মনোবেদনা গোপন রাখতে পারছেন না। হাসিনার নামে ডাস্টবিন বানানো ভালো লাগেনি প্রগতিশীল এক অধ্যাপকের। তিনি তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, খুব বাজে, রুচিহীন এবং দায়িত্বহীন সংস্কৃতির পরিচয় দিয়ে শুরু হলো বাংলা একাডেমির বইমেলা। নিন্দা জানাই।

ঘটনা শুধু এখানেই শেষ নয়, প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শেখ হাসিনার ছবি লাগানো ডাস্টবিনে টিস্যু পেপার ফেলা একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন তার ফেসবুক ওয়ালে। এরপর আওয়ামী নট-নটী ও সাংবাদিকরা সরব হয়েছেন প্রেসসচিবের বিরুদ্ধে। এ কাজে নাকি ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ শিশুসহ শত শত মানুষের হত্যার নির্দেশদাতা খুনিকে ঘৃণা করা যাবে না। কেন? তিনি মুজিবকন্যা।

এরপর প্রেসসচিবের পরিবারের সদস্যদের নামে নোংরা ভিডিও বানিয়ে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই কাজ যিনি করেছেন, তিনি শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের এক পান্ডা। যার সঙ্গে বামপন্থি এই অধ্যাপকরা ফাঁসির দাবি নিয়ে ২০১৩ সালে সরব হয়েছিলেন। যিনি সে সময় ব্লগে পর্নোগ্রাফিক রচনা লিখতেন। এখন তিনি প্রেসসচিবের পরিবারের সদস্যদের পর্নোগ্রাফিক ভিডিও বানিয়ে বিদেশ থেকে তা প্রচার করছেন। এই ঘৃণ্য ব্যক্তির সঙ্গে মাত্র কয়েক দিন আগে টেলিফোনে হাসিনা আবার সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। অর্থাৎ শাহবাগি পান্ডার নোংরামির সঙ্গে ভারত ও হাসিনা সরাসরি জড়িত। হাসিনার মতো একজন সাইকোপ্যাথের পক্ষে যে শুধু এমন নোংরামি করা সম্ভব, তা সহজেই অনুমান করা যায়।

এরপর আমরা দেখছি, প্রেসসচিবের শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের কুখ্যাত সংগঠনটি। যে সংগঠনের নেতারা সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদকে তার অফিসে গিয়ে নির্যাতন করেছিল, তারাই এখন শফিকুল আলমের শাস্তি দাবি করছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে, এ ধরনের নিপীড়ক সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ করা হয়নি। এরা দেশে থেকে তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রবীণ সম্পাদক আবুল আসাদকে যখন নির্যাতন করা হয়েছিল, মামলা দিয়ে জেলে আটকে রাখা হয়েছিল, তখন এ দেশের সুশীল সম্পাদকরা তার পাশে দাঁড়াননি। ফ্যাসিস্ট এই সংগঠনগুলোর অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খোলেনি। বরং বাকস্বাধীনতা হরণ ও নিপীড়নের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের কাজ করেছে এসব গণমাধ্যম।

বামপন্থি সুশীল বুদ্ধিজীবী-শাহবাগি পান্ডা আর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যে এখন একই এজেন্ডা নিয়ে একসঙ্গে কাজ করছে, তা সহজে অনুমান করা যায়। বামপন্থি এই বুদ্ধিজীবীদের কাজ হচ্ছে ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে সমাজে যে ক্ষোভ ও ঘৃণা রয়েছে, তার মাত্রা কমিয়ে আনা। তাদের জন্য স্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করা। এ জন্য আবার সামনে আনা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুজিবের ঐতিহাসিক ভূমিকার নামে শেখ পরিবারের বন্দনা। গত দেড় দশকে মুজিব ডাইনেস্টি এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যেসব অপরাধ করেছে, সেগুলো আড়াল করা।

এরা সব সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নানা বয়ান দিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার সাংস্কৃতিক ফ্রন্ট হিসেবে কাজ করে আসছে। এখনো তারা একই কাজ করছে। ডাস্টবিনে হাসিনার ছবি দেখে রুচিতে বাধছে বামপন্থি হাসিনাপ্রেমীদের। কিন্তু তথাকথিত মঙ্গল শোভাযাত্রায় খালেদা জিয়ার হাতে পেট্রলবোমা ধরিয়ে অশ্লীল যে প্রচারণা চালানো হয়েছিল, তখন এই অধ্যাপকদের রুচিতে বাধেনি। তখন তারা এর প্রতিবাদ করেননি। এই অধ্যাপকদের রুচিতে বাধে শুধু রক্তলোলুপ হাসিনার ছবিতে। আসলে হাসিনার ডাস্টবিনের আড়াল থেকে তারা মাথা বের করে সমাজে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসিত করার ক্ষেত্র তৈরি করছেন।

এ দেশের মানুষ ভুলে যায়নি এরাই বছরের পর বছর টুপি-দাড়ি পরা ব্যক্তিদের নিয়ে নাটক-সিনেমা বানিয়ে ধর্মীয় প্রতীকগুলো ঘৃণার বিষয়ে পরিণত করেছিলেন। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ইসলামোফোবিয়ার চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখেছি। শুধু মাদরাসায় পড়ার কারণে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে শত শত শিক্ষার্থী। দাড়ি-টুপি, পাঞ্জাবি ও হিজাব পরার কারণে বহু শিক্ষার্থী ক্লাসে লাঞ্ছিত হয়েছে। পরীক্ষায় তাদের কম নম্বর দেওয়া হয়েছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীদের জন্য ত্রাস ছিলেন অনেক বামপন্থি শিক্ষক। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর এদের অনেকে তার অতীত মুছে ফেলে সুবিধা নিয়েছেন। আবার অনেকে বিএনপির মিত্র সেজেছেন। খোদ তারেক রহমানের উপস্থিতিতে এরা জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য রাখেন। অথচ এরা ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সামনে জিয়াউর রহমানকে তুলে ধরতেন নিকৃষ্ট এক সেনাশাসক হিসেবে।

২০১৫ সালে খালেদা জিয়ার বাড়ি ঘেরাও করতে গিয়েছিলেন এ দেশের সাংস্কৃতিক মাস্তানরা। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলো যখন অবরোধের কর্মসূচি পালন করেছিল, তখন বিভিন্ন স্থানে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন বাসে ও ট্রেনে আগুন দিয়ে বহু মানুষকে হত্যা করেছিল। সেসব হত্যার দায় চাপানো হতো বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর। আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে এসব মানুষের নামের তালিকা করে তা গুলশান অফিসে খালেদা জিয়ার অফিসের সামনে টানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ সময় গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছিলেন এই সাংস্কৃতিক মাস্তানরা। মানববন্ধনে ছিলেন অভিনেতা হাসান ইমাম, চঞ্চল চৌধুরী, নাদের চৌধুরী, তুষার খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওহিদুজ্জামান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনিসহ অনেকে।

শাহবাগের জন্মদাতা বামপন্থি সাংস্কৃতিক মাস্তানদের অনেকে এখন বিএনপির বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা হয়েছেন। এরা এখন বিএনপির প্রধান পরামর্শদাতা। এদের অনেকে এখন আকারে-ইঙ্গিতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অধিকার ফিরে দেওয়ার পক্ষে ওকালতি করছেন। তা না করলে নাকি জাতি বিভক্ত হয়ে পড়বে। হাসিনার দেড় দশকের অপরাধ নিয়ে কথা বলাও নাকি জাতি বিভক্ত করার প্রচেষ্টা। এভাবে খুনিদের রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার বয়ান তৈরি করা হচ্ছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ ও বিপক্ষের নামে এরা প্রথম জাতিকে বিভক্ত করেছিলেন। সেই বিভক্তির খেলা এখনো চলছে। বামপন্থিরা এখন বিএনপির ঘাড়ে চেপে বসেছেন। বিএনপিকে সামনে রেখে জাতিকে বিভক্ত করার নতুন খেলায় মেতে উঠেছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বড় অর্জন ছিল হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। সেই ঐক্যে এখন বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা করা হচ্ছে পুরোনো বিভক্তির রাজনীতি সামনে এনে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রাণকেন্দ্র ছিল দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ছাত্রদের অধিকারকেন্দ্রিক রাজনীতির পরিবর্তে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি সামনে আনা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে ছাত্রদের মধ্যে বপন করা হয়েছে বিভক্তির বীজ। এ ক্ষেত্রে সুকৌশলে বাম সংগঠনগুলোকে ব্যবহার করছে আওয়ামী লীগ।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বামপন্থি সংগঠনগুলোর কোনো কর্মী নিহত হননি। এমনকি অন্ধ বা পঙ্গু হয়েছেন, এমন নেতাকর্মীর সংখ্যাও নেই বললেই চলে। কিন্তু বিভিন্ন পদপদবি দখলে তারা পিছিয়ে থাকছেন না। রাজনীতিতে ভারতপন্থি বামদের প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত হবে। মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ নিপীড়নমূলক শাসনের কারণে জনগণ যখন বিতাড়িত করেছে, বামপন্থিরা তখন তাদের আশ্রয় দিয়েছে। তাদের মুখে ভাষা দিয়েছে। এখনো তাই হচ্ছে। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, বিএনপিকে এখন আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবনের কাজে ব্যবহারের চেষ্টা হচ্ছে। বামপন্থিদের বয়ান বিএনপিকে গেলানো হচ্ছে। আগামী দিনের রাজনীতিতে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।

বিভক্তির সুযোগ কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগ ভয়ানক প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ফিরে আসতে পারে। ইতোমধ্যে তার আলামত সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাদের হাতে রয়েছে বিপুল অর্থ। অনুগত ব্যক্তিরা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠানে বসে আছে। তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল বিশাল একটি সাংস্কৃতিক বলয় রয়েছে। এদের ব্যবহার করে প্রতিবেশী দেশে বসে প্রতিশোধপরায়ণ হাসিনা সব ঘৃণ্যপন্থা বেছে নেবেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। শাহবাগের নোংরা চিন্তার ব্যক্তিদের আবার একসঙ্গে জড়ো করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব কিংবা অভ্যুত্থানের সামনের সারির ছাত্রনেতাদের ওপর আক্রমণের সূচনামাত্র।

লেখক : সহযোগী সম্পাদক, আমার দেশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত