হজরত ঈসা (আ.)-এর জন্মের এক হাজার বছর আগে জেরুজালেমকেন্দ্রিক বিশাল এক রাজ্য পরিচালনা করতেন নবী হজরত দাউদ (আ.)। হজরত দাউদের পরে বিশাল সেই রাজ্যের অধিকারী হলেন তার ছেলে নবী হজরত সুলায়মান (আ.)। ইতিহাসবিদদের বর্ণনা অনুসারে হজরত দাউদ ও সুলায়মানের বিশাল সেই রাজত্বের সীমানা ছিল উত্তরে আজকের লেবানন, সিরিয়া ছাড়িয়ে তুরস্কের আদানা পর্যন্ত, দক্ষিণে বর্তমান ইসরাইল ও মিসরের নীলনদ অববাহিকা পর্যন্ত, পূর্বে জর্ডান ও ইরাক ছাড়িয়ে কুয়েত পর্যন্ত এবং দক্ষিণ-পূর্বে সৌদি আরব ও ইয়েমন থেকে ওমান পর্যন্ত।
ইহুদি গবেষকরা এই সীমানাকে বৃহত্তর ইসরাইল রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। জায়নবাদী বা ইহুদিদের জন্য ধর্মভিত্তিক আলাদা যে ইসরাইল নামক রাষ্ট্র বর্তমানে রয়েছে, তার সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য হলো এই বৃহত্তর ইসরাইল রাষ্ট্র উদ্ধার করা। বর্তমানে ইসরাইল রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের লক্ষ্য বৃহত্তর ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ সম্পন্ন করা। এ পরিকল্পনায় রয়েছে লেবাননের লিতানি নদীর দক্ষিণ উপকূল পর্যন্ত এবং সিরিয়ার দক্ষিণের অংশবিশেষ দখল করে বর্তমান ইসরাইল রাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত করা।
বৃহত্তর ইসরাইল রাষ্ট্রের যে পরিকল্পনা তাতে ফিলিস্তিন নামক কোনো রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নেই। ফলে বর্তমান গাজা ও পশ্চিম তীরকেন্দ্রিক যে নামে মাত্র ফিলিস্তিন রাষ্ট্র আছে, তাও মিশে যাবে বৃহত্তর এই ইসরাইল রাষ্ট্রের সীমানায়। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিভিন্ন সময় ভাষণে বৃহত্তর ইসরাইল রাষ্ট্রের মানচিত্র প্রদর্শন করেছেন। ইসরাইলের উগ্রপন্থি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতমার বেন গাভির ও আরেক উগ্রপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজেলালসহ নেতানিয়াহু সরকারের বেশ কয়েকজন কট্টরপন্থি মন্ত্রী সম্প্রতি বৃহত্তর এ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে এনেছেন খোলাখুলিভাবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, তারা ‘টু স্টেটস সলিউশন’ মানে না। এর মানে হলো ইসরাইলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন নামক আলাদা কোনো রাষ্ট্রের অস্তিত্ব তারা স্বীকার করে না।
১৯ জানুয়ারি হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় কোনো ফিলিস্তিনি থাকতে পারবে না। তাদের স্থায়ীভাবে অন্য কোথাও চলে যেতে হবে। গাজার ফিলিস্তিনিদের নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি প্রথমে জর্ডান ও মিসরকে প্রস্তাব দেন। কিন্তু উভয় দেশ প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্পের এ প্রস্তাব। গোটা আরব দাঁড়ায় মিসর ও জর্ডানের পক্ষে। ফলে ট্রাম্প এরপর গাজার ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেন সুদান, সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডকে। সুদানও এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। মূলত গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে সরিয়ে নেওয়ার এ প্রস্তাব নেতানিয়াহু সরকারের। তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দিয়ে বাস্তবায়ন করতে চেয়েছে এ পরিকল্পনা। কিন্তু এ পরিকল্পনা আরবরা প্রতিহত করায় ইসরাইল এখন যে পথ বেছে নিয়েছে, তা হলো এমন পরিস্থিতি তৈরি করা, যাতে সেখানে কোনো অবস্থাতেই কোনো ফিলিস্তিনি গাজায় বাস করতে না পারে, তারা যেন স্বেচ্ছায় সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়। গাজায় এখন চলছে গণহত্যাসহ জাতিগত নিধন কার্যক্রম।
১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিম তীর ইসরাইলের দখলে। বাকি ছিল গাজা। সেটাও এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। বাশার আল আসাদের পতনের পর ইসরাইল দখল করেছে সিরিয়ার মাউন্ট হারমন ও তার আশপাশের বেশ কিছু এলাকা। হিজবুল্লাহর বিপর্যয়ের পর দক্ষিণ লেবাননও এখন ইসরাইলের জন্য নিরাপদ। সাম্প্রতিক এসব অগ্রগতি বৃহত্তম ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথকে অনেকটা সুগম করেছে।
জায়নবাদী ইসরাইলিদের বিশ্বাস জেরুজালেম যাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে তারা বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করবে। কী আছে জেরুজালেমে যে কারণে তার এত গুরুত্ব? কোরআনে সুরা বনি ইসরাইলে আল্লাহ মসজিদুল আকসার চারপাশকে বরকতময় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মুসলমানদের প্রথম কিবলা জেরুজালেম। ইহুদিদের বিশ্বাস বায়তুল আকসা মসজিদ কম্পাউন্ড বিশেষ করে ‘ডোম অব রক’-এর নিচে রয়েছে হজরত সুলায়মান (আ.) নির্মিত মসজিদের ভিত্তি। ডোম অব রকের নিচে কোথাও লুকিয়ে আছে একটি সিন্দুক, যে সিন্দুকের কথাও উল্লেখ আছে কোরআনের সুরা বাকারায়। সেই সিন্দুক উদ্ধার করতে চায় জায়নবাদী ইসরাইলিরা। কোরআনে বলা হয়েছে, এই সিন্দুকে সংরক্ষিত আছে হজরত মুসা ও হারুন পরিবারের রেখে যাওয়া কিছু সামগ্রী এবং মানুষের জন্য প্রশান্তিদায়ক নিদর্শন। আল্লাহ বনি ইসরাইলের জন্য তালুত নামে এক রাজা মনোনীত করেছিলেন। রাজত্বের চিহ্নস্বরূপ আল্লাহর হুকুমে ফেরেশতারা এই সিন্দুক বহন করে আনে তালুতের কাছে। রাজা তালুতের অধীনে তখন একজন যোদ্ধা ছিলেন হজরত দাউদ। যুদ্ধে রোমান সেনাপতি জালুতকে হত্যা করেন দাউদ। এরপর আল্লাহ দাউদকে রাজত্ব দান করলেন।
ইহুদিদের ভাষায়, হজরত সুলায়মান তার রাজত্বকালে একটি টেম্পল বা মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। সেই মন্দিরের ঠিক মাঝখানে একটি রুমের মধ্যে তিনি স্থাপন করেছিলেন মুসা ও হারুন (আ.) পরিবারের সেই সিন্দুকটি।
জায়নবাদী ইহুদিদের স্বপ্ন—তারা একদিন পুনর্নির্মাণ করবে তাদের ভাষায় হজরত সুলায়মানের মন্দির। এজন্য তারা একদিন উড়িয়ে দেবে বায়তুল আকসা, ডোম অব রকসহ সেখানে মুসলমানদের যত স্থাপনা আছে, তার সবকিছু। এরপর তারা সেখানে ব্যাপকভাবে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে উদ্ধার করবে হজরত সুলায়মানের মসজিদের সীমানা এবং সেই সিন্দুক।
কোরআনে বর্ণিত আছে, জিনদের মাধ্যমে বিশেষ এক মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন হজরত সুলায়মান। হজরত ঈসার (আ.) জন্মের ৫৮৬ বছর আগে সেই মসজিদটি সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিলেন ব্যাবিলনের সম্রাট নেবুকড নেজার। হত্যা করা হয়েছিল সেখানকার ইহুদিদের। যারা বেঁচে যায় তাদের দাস হিসেবে নিয়ে গিয়েছিল ব্যাবিলনে। কিন্তু মাত্র ৪৮ বছরের মাথায় খ্রিষ্টপূর্ব ৫৩৯ সালে পারস্য জয়কারী রাজা সাইরাস ব্যাবিলনীয়দের হাত থেকে জেরুজালেম উদ্ধার করেন এবং সেখানে ফেরত আসার অনুমতি দেন ইহুদিদের। ইহুদিরা তখন সুলায়মানের মসজিদ পুনর্নির্মাণ করে। এরপর ৭০ খ্রিষ্টাব্দে রোমান সেনাপতি টাইটাস জেরুজালেম দখল করে ইহুদিদের হত্যা করেন এবং মসজিদটি আবার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেন।
জেরুজালেমে ইহুদিদের ওপর দুবারের এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ আছে কোরআনে। ৬৩৭ সালে বিনা রক্তপাতে খলিফা হজরত উমরের (রা.) জেরুজালেম জয়ের মাধ্যমে ফিলিস্তিন মুসলমানদের অধীনে আসে। দীর্ঘ ৪০০ বছরের মাথায় মুসলমানদের খিলাফত ব্যবস্থা যখন দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন ফ্রান্সের পোপ আরবান দি সেকেন্ড ১০৯৫ সালে জেরুজালেম মুসলমানদের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য ধর্মযুদ্ধ বা ক্রুসেড ঘোষণা করেন। ১০৯৯ সালে তার নেতৃত্বে মুসলমানদের গণহত্যার মাধ্যমে খ্রিষ্টানরা দখল করে জেরুজালেম। এরপর ২০০ বছর ধরে চলে জেরুজালেম নিয়ে খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের মধ্যে রক্তাক্ত ধর্মযুদ্ধ। ১১৮৭ সালে গাজি সালাহউদ্দিন আইউবি খ্রিষ্টানদের পরাজিত করে উদ্ধার করেন জেরুজালেম। পরবর্তী সময়ে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের রাজার নেতৃত্বে দুটি ধর্মযুদ্ধ পরিচালিত হয় সালাহউদ্দীনের বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রতিবারই তারা ব্যর্থ হন জেরুজালেম জয় করতে। ১৯১৭ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে উসমানীয় খেলাফতের পতনের পর জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিন ব্রিটেনের দখলে আসে।
উনিশ শতকের শেষের দিকে ইউরোপে প্রচণ্ড ইহুদিবিদ্বেষ দেখা দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় জন্ম নেয় জায়নবাদ বা ইহুদি রাষ্ট্রের ধারণা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রভাবশালী ইহুদিরা তাদের জন্য আলাদা একটি রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা সামনে হাজির করে। এ পরিকল্পনায় প্রথম সমর্থন দেয় ব্রিটেন ১৯১৭ সালে। ফিলিস্তিন ব্রিটেনের অধীনে আসার পর ১৯২০ সাল থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ইহুদিরা জড়ো হতে থাকে ফিলিস্তিনে। এ ধারা অব্যাহত থাকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত। ফিলিস্তিনে সারা বিশ্ব থেকে ইহুদিরা এসে জড়ো হওয়ায় সংঘাত শুরু হয় আরবদের মধ্যে। এ সংঘাত ১৯৪৭ সালে যুদ্ধে রূপ নেয় আরব ও বহিরাগত ইহুদিদের মধ্যে। এরপর ব্রিটেনসহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী শক্তি সিদ্ধান্ত নেয় ফিলিস্তিন নামক ভূখণ্ড আরব ও বহিরাগত ইহুদিদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার।
১৯৪৮ সালের ১৪ মে তারা ঘোষণা দেয় ইসরাইল নামক রাষ্ট্রের। পরের দিন ১৫ মে আরবরা নতুন এ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এ যুদ্ধে পশ্চিমাদের সহায়তায় ইসরাইল দখল করে নেয় ফিলিস্তিনের প্রায় ৮০ ভাগ ভূখণ্ড। দখলীকৃত এ ভূখণ্ড থেকে ব্রিটেনের সহায়তায় ইসরাইলি প্যারামিলিটারি অস্ত্রের মুখে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে বাড়িঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়। সরকারি হিসেবেই তখন হত্যা করা হয় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে। তাড়িয়ে দেওয়া ফিলিস্তিনিদের সব বাড়িঘর ও জায়গাজমি বিতরণ করা হয় বহিরাগত ইহুদিদের মধ্যে। ১০ লাখের মতো ফিলিস্তিনি তখন আশ্রয় নেয় বর্তমান গাজায়। এ ছাড়া ক্রমান্বয়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নেয় সিরিয়া, লেবনান, মিসরসহ বিভিন্ন দেশে। বর্তমানে কেবল জর্ডানেই আছে ৬০ লাখের বেশি ফিলিস্তিন উদ্বাস্তু।
আজকে গাজায় যে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরাইল, তাদের লাখ লাখ পূর্বপুরুষ একসময় আজকের ইসরাইল নামক ভূখণ্ডের মালিক ছিল। সেখানেই ছিল তাদের বাড়িঘর। আজকের গোটা ইসরাইল নামক দেশ একসময় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড হিসেবেই পরিচিত ছিল। গাজার অনেক ফিলিস্তিনি আজও বহন করছে বর্তমান ইসরাইলে তাদের পূর্বপুরুষদের বাড়িঘরের চাবি এবং অনেক স্মৃতি। ১৯৪৮ সালে এভাবে অস্ত্রের মুখে ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িঘর ও জায়গাজমি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব শক্তির জোরে ইহুদিদের জন্য গঠন করে ইসরাইল নামক রাষ্ট্র। এর পর থেকে আজ অবধি ইসরাইল রাষ্ট্রের সীমানা ক্রমে সম্প্রসারিত হয়েছে ফিলিস্তিনের অন্যান্য এলাকায়। ১৯৪৮ সালে যে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর থেকে তাড়িয়ে গাজায় জড়ো করা হয়েছিল, আজ তাদেরই বংশধরদের সেখানে পিষে মারছে ইসরাইল।
অতীতে আরব দেশগুলো একত্র হয়ে পরপর পাঁচবার যুদ্ধ করেছে ইসরাইলের বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রতিবারই আরবরা পরাজিত হয়েছে ইসরাইলের কাছে, কারণ ইসরাইলের পেছনে ছিল সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র। যখনই আরবদের সম্মিলিত আক্রমণে ইসরাইল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে, তখনই যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের জন্য খুলে দিয়েছে তাদের অস্ত্রের ভান্ডার। অতীতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আরবদের যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে মিসর, সিরিয়া ও জর্ডান। অর্থ জুগিয়েছে সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলো। কিন্তু দীর্ঘকাল ধরে সৌদি আরব, মিসর, জর্ডানসহ প্রায় সব আরব দেশের সিংহাসন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে।
বৃহত্তর ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ এখন অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক মসৃণ। ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার হামাস আর লেবাননের হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহ ধ্বংস হওয়ায় এবং সিরিয়া থেকে আসাদের বিদায়ের ফলে ইরান এখন ইতিহাসের অন্যতম দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। ইয়েমেনে ইরানের আরেক প্রক্সিবাহিনী হুথিদেরও সমূলে ধ্বংসের লক্ষ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র হামলা শুরু করেছে নতুন করে। ফলে ইসরাইল যেন মধ্যপ্রাচ্যে এখন এক বাধাহীন হায়েনা। আরবরা নীরবে দেখছে গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা।
লেখক : সহকারী সম্পাদক, আমার দেশ

