ওয়াক্ফ বিল মুসলিমদের ধর্মীয় সম্পদ দখলের নীলনকশা: ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৫: ৫৪

সম্প্রতি ভারতীয় পার্লামেন্টে পাশ হওয়া ‘ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল ২০২৫’-এর মাধ্যমে মুসলিম ধর্মীয় ও দাতব্য সম্পদের ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার এক গভীর, সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই বিল ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের মুখে চরম আঘাত। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এই অগণতান্ত্রিক, বৈষম্যমূলক ও মুসলিমবিদ্বেষী আইনের তীব্র নিন্দা ও ঘৃণাভরে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

রোববার ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

নেতৃদ্বয় বলেন, বর্তমানে ভারতের ওয়াক্ফ বোর্ডের অধীনস্থ জমির পরিমাণ আনুমানিক ৯.৪ লাখ একর। এই বিশাল জমির উপর প্রতিষ্ঠিত আছে প্রায় ৮৭,২৩৫১টি ধর্মীয় ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান। এই সম্পত্তির বাজারমূল্য লক্ষ লক্ষ কোটি রুপি, যা উপমহাদেশে মুসলিম সমাজের হাজার বছরের ধর্মীয়, সামাজিক ও মানবিক অবদানের প্রতীক। এই বিলের মাধ্যমে সেই সম্পদের ওপর রাষ্ট্রীয় হিন্দুত্ববাদী দখল প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা স্পষ্ট।

ওয়াক্ফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্য অন্তর্ভুক্তি, সম্পত্তি যাচাইয়ে সরকারি অনুমতি বাধ্যতামূলক করা এবং সরকারি নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর ধারা-সবকিছুই মুসলিম সমাজের ধর্মীয় স্বাতন্ত্র্য, অধিকার ও ইতিহাসকে পদদলিত করার ঘৃণ্য পরিকল্পনার অংশ। এটি কোনো আইনি সংস্কার নয়; বরং মুসলমানদের ধর্মীয় পরিকাঠামোকে ধ্বংস করে দেওয়ার হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিবাদের নগ্ন রূপ।

তারা আরো বলেন, বাবরি মসজিদের রায়, কবরস্থান দখল, আজান ও হিজাব নিষিদ্ধকরণ, মুসলিম ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা, সংখ্যালঘু নিধন-এই সবকিছুই আজকের ভারতের ইসলামবিদ্বেষী নীতির বহিঃপ্রকাশ। ওয়াক্ফ বিল সেই ধারাবাহিকতাতেই একটি বিপজ্জনক সংযোজন।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, ভারতের এই ‘নব্য উপনিবেশবাদী’ আইন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে হবে। ওআইসি, জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে এক্ষুনি হস্তক্ষেপ করতে হবে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকেও এই বৈষম্যমূলক, মুসলিমবিরোধী আইন বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হতে হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত